শিরোনাম
সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

মিষ্টি পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

মিষ্টি পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ

লোনা জলে বেড়ে ওঠা সুস্বাদু গলদা চিংড়ি বা সাদা সোনা এখন দিনাজপুরের মিষ্টি পানিতে চাষ হচ্ছে। বিরামপুরের বিভিন্ন পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষ করে লাভবান হয়েছেন অনেক মাছ চাষি। ফলে এ এলাকায় ব্যাপক হারে গলদা চিংড়ি চাষের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এ চিংড়ির দেশে যেমন ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, তেমনি বিদেশেও রপ্তানি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ এলাকার মাছ চাষিরা। উপজেলা মৎস্য অফিস ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলক চিংড়ি চাষের জন্য তিন দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে ২২ জন চাষিকে ৫০টি করে গলদা চিংড়ির পোনা দেয়। এ পোনা চাষে সাফল্যের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকভাবে চাষ শুরু হয়। গলদা চিংড়ি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন ফয়েজ মোহাম্মদ চৌধুরী মুরাদ। তিনি জানান, দ্বিতীয় দফায় গত বছরের জুন মাসে পার্বতীপুরের সরকারি মৎস্য হ্যাচারি থেকে ১০ টাকা দরে ১৪ হাজার গলদা চিংড়ির পোনা কিনি। এ সময় মৎস্য অফিসও ১৩ হাজার পোনা ফ্রি দেয়। এসব পোনা ৪৫ দিন নার্সিং করি। এ সময় খাবারও মৎস্য অফিস সরবরাহ করে। একটি পুকুরে এককভাবে ছয় হাজার গলদা চিংড়ি চাষ করি। আমার ৫০ শতকের পুকুরে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। আরও দুই লাখ টাকার মাছ রয়েছে। এ চিংড়ি কমপক্ষে ৬০০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হবে। আগামী চৈত্র মাসে এ পুকুরের মাছ বিক্রি করতে পারব। কিছু পোনা আশপাশের বিভিন্ন খেতে ছেড়েছি সাধারণ মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, বিরামপুর মৎস্য বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বিভিন্ন সময়ে চিংড়ি চাষের বিষয়ে পরামর্শ দেন। গলদা চিংড়ি চাষ লাভজনক। আট মাসে গলদা চিংড়ির ওজন ১০০-১২০ গ্রাম হয়। পানি গভীরতা সাধারণত চার ফুট থাকতে হয়। বিক্রির উপযোগী হওয়া পর্যন্ত পুকুরের এই গলদা চিংড়ি মাছের খাবার-পোনাসহ বিভিন্ন খরচ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আয় হবে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা। তিনি মাছ চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন একজন সফল মৎস্যখামারি। যা এখন এলাকার অন্যদের কাছে অনুকরণীয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর