বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, খাগড়াছড়ি এলাকায় সীমান্তের ওপারে আরও ২০০-৩০০ শরণার্থী আছে, যাদের ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখানে প্যাট্রলিং জোরদার করা হয়েছে। এ কারণে দুই দিন ধরে চেষ্টা করেও তারা পুশইন করতে পারছে না। ওই শরণার্থীরা এখনো সীমান্তে অবস্থান করছে।
গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ল্যান্ডে না পেরে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় জাহাজে করে এনে আরও ৭৮ জনকে রেখে গেছে বিএসএফ। কোস্ট গার্ড তাদের উদ্ধার করে ভারতের নিজ এলাকায় পাঠানোর বিষয়টি দেখছে। সবমিলিয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, বরাবরের মতো বিএসএফ পুশইনের বিষয়টি স্বীকার করছে না। ওরা বলছে, এই নাগরিকরা হয়তো- নিজেই চলে গিয়েছিল ভারতে, আবার নিজেরাই বাংলাদেশে ফিরেছে।