মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার ঘন জঙ্গলে গাছের সঙ্গে শিকলে বাঁধা অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পানি, খাবার না থাকায় এবং ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাহিল হয়ে পড়ে নারী বাঁচার জন্য চিৎকার করছিলেন। তার চিৎকার শুনে এক রাখাল তাকে খুঁজে পান। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ললিতা কায়ি (৫০) নামের ওই নারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সাত দিন আগে তাকে উদ্ধার করা হলেও কেন এবং কিভাবে তিনি জঙ্গলে শিকলে বাঁধা পড়েছিলেন তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
উদ্ধারের সময় ললিতা ভীষণ দুর্বল ছিলেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতির পর তাকে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ললিতা অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী তাকে শিকলে আটকে রেখে পালিয়ে যান, যাতে তিনি ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মারা যান। পুলিশের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে তামিলনাড়ুতে তার স্বামীকে খোঁজা হচ্ছে, তবে সাত দিন পরেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
গত শনিবার পান্দুরাং গওকার নামের এক রাখাল ললিতার কান্নার আওয়াজ পান। তিনি বিবিসি মারাঠিকে জানান, জঙ্গলে গরু চরাতে গিয়ে নারীকণ্ঠের চিৎকার শুনতে পান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, ললিতা গাছের নিচে শিকলে বাঁধা অবস্থায় চিৎকার করছেন। গ্রামের লোকজনকে ডেকে এনে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ ললিতার মার্কিন পাসপোর্ট ও ভারতীয় আধার কার্ড উদ্ধার করেছে। কার্ডে দেখা যায়, তিনি তামিলনাড়ুতে থাকেন এবং একজন নৃত্যশিল্পী ও যোগব্যায়াম অনুশীলনকারী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে থাকতেন এবং বছর দশেক আগে যোগব্যায়াম শিখতে ভারতে আসেন।
তামিলনাড়ুতে তার স্বামী সতীশের সঙ্গে দেখা হয়। তবে পুলিশ ধারণা করছে, তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না। ললিতার শিকলবন্দী হওয়ার ঘটনার আসল কারণ এখনও পুলিশ উদঘাটন করতে পারেনি। বর্তমানে পুলিশ ললিতার কাছ থেকে পাওয়া মুঠোফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার থেকে ক্লু খুঁজছে। সূত্র : বিবিসি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল