রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রয়োজন সংলাপের। এ জন্য আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা উচিত। কেউ কি অস্বীকার করতে পারবে বিএনপিকে বাদ দিয়ে আলোচনা সম্ভব? সংসদে মূলত প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তাকে বাদ দিয়ে সংলাপ করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না। গত রবিবার বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের এঙ্ট্রা আওয়ার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
মুন্নী সাহার উপস্থাপনায় এ সময় অনুষ্ঠানে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইনুদ্দিন খান বাদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, এনডিএফের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু উপস্থিত ছিলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, যে কারও সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি আলোচনা করতে হয় তাহলে আলোচনা হবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে। তিনি বলেন, জামালপুরের জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, যদু মধু দিয়ে দল হয় না। সেটা প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি দল কখনো একজনকে দিয়ে হয় না। তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। গণতন্ত্রের জন্যই আমরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি। গণতন্ত্রের জন্যই আমরা এখন লড়ছি। কোনো আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করা হলে তা বিপথগামী হতে পারে। আমাদের স্বার্থটা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যখন এরশাদবিরোধী আন্দোলন করি তখন একটা জোট ছিলাম। আওয়ামী লীগ নেত্রীর আরেকটা জোট ছিল। তখন তিন জোট ছিল। আট দল, পাঁচ দল আর সাত দল। জামায়াত বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় গেল তখন জামায়াত সঙ্গে ছিল না। আবার ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ঐক্যজোট করেছিল। কিন্তু ওই নির্বাচনের আগে বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। সেগুলো এখন সব ইতিহাস। দেশের মানুষ তা জানে।