মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, ‘কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। ওদের লক্ষ্য ছিল সরকার পতনের। নৈরাজ্য করে ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ১৯৭১ সালের পুরনো শকুনেরা নতুন কায়দায় ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। নির্বাচন ছাড়া সহিংসতা করে দেশের সম্পদ পুড়িয়ে বাংলার মাটিতে কাউকে ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন আব্দুর রহমান।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সম্প্রতি যে দানবীয় ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তা বর্ণনা করা সম্ভব না। পদ্মা সেতু দেশের প্রতিবাদের প্রতীক। ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায়, মেট্রোরেল ও সেতু ভবনে হামলা করা হয়েছে। বাংলার স্বাধীনতা নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। কারা আক্রান্ত করছে সেটা বুঝতে আপনাদের বাকি নাই।
ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের দাবি ছিল কোটা সংস্কার করে সাধারণ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ। তাদের সে দাবি পূরণ হয়েছে। যারা আন্দোলন করেছিল আদালতের রায়ের পর তাদের উৎসব করা উচিত ছিল।
বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে নির্বাচনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের রাজনৈতিক বিরোধী বন্ধুরা মায়ের কোলে শান্তিতে ঘুমিয়ে আছেন। সারাদেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালিতে তারা কোনো কর্মসূচি দেননি এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। সম্ভাবনার বাংলাদেশকে কেউ গলা টিপে হত্যা করুক, আমরা তা হতে দিতে পারি না। আগামী ২০২৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় আগুন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সংকটকালে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও তৃণমূল ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিটি কর্মীকে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমি এই তিন উপজেলার উন্নয়নের যে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি তা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে তা হবে সারা বাংলাদেশের উন্নয়নের দৃষ্টান্ত।
বিশেষ বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও মেয়র সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, নাসির মো. সেলিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ শাফি, যুবলীগের আহ্বায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা আলী তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীসহ উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী আব্দুর রহমান উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে কয়েকটি পুকুর এবং জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত