বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্র জনতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী আসাদ বিন রনি ও মামুনুর রশীদ। রবিবার সকালে শাহবাগে গণমাধ্যমকার্মীদের এই তথ্য জানান তারা।
সমন্বয়ক আসাদ বিন রনি বলেন, ছাত্র সমাবেশে বাঁধা দিতে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র, গ্রেনেড-বোমা নিয়ে শাহবাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে জড়ো হতে থাকে। তারা ছাত্রদের উপর হামলা করার পাঁয়তারা করছিল। সাধারণ ছাত্রদের উপর দায় দিতে তারা পরিকল্পিতভাবে হাসপাতালের ভিতরে আগুন দেয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালের ভিতরে কোনো সাধারণ ছাত্র প্রবেশ করেনি। আগুনের সঙ্গে সাধারণ ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে কীভাবে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঘটল-প্রশ্ন রাখেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাসপাতালে জড়ো হওয়ার সুযোগ করে দেয় বলেও দাবি করেন তিনি।
আরেক সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ বলেন, হাসপাতালের গেট তালাবদ্ধ রয়েছে। কোনো সাধারণ ছাত্র সেখানে প্রবেশ করেনি। সকালেই ভিতর থেকে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। হাসপাতালের ছাদ থেকে সাধারণ ছাত্রদের উদ্দেশ্য তারা ইটপাটকেল মেরেছে। তারা সাধারণ ছাত্রদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হয়েছে। তারা সাধারণ ছাত্রদের ফাঁসাতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসাপাতালে আগুন দিচ্ছে। তার নির্দেশেই বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে আগুন দিচ্ছে। এসময় সরকার প্রধানকে সাধারণ ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে আগুনের ঘটনার পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আগুন নেভাতে এলে সাধারণ ছাত্ররা প্রটোকল দিয়ে গাড়ি হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল