মাদক নির্মূলের উদ্দেশে একটি নতুন উদ্যোগ হিসেবে দেশের কারাগারগুলোতে ডগ স্কোয়াড ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে কারা অধিদপ্তর। সেনাবাহিনী বা র্যাবের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরদের দ্বারা পরিচালিত তল্লাশি অভিযানে মাদকদ্রব্য খুঁজে বের করা হবে। এ পদ্ধতি সফল হলে এটি স্থায়ীভাবে কার্যকর করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এসব তথ্য জানান। এসময় তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াড ব্যবহারের মাধ্যমে কারাগারে মাদক উদ্ধারের কার্যক্রম দ্রুত হবে এবং মাদক নির্মূলে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহাপরিদর্শক আরও উল্লেখ করেন যে, কারাগারে মাদকদ্রব্যের ব্যাপক ব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে এবং কিছু কারা কর্মকর্তা, কারারক্ষী ও বন্দিও এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নতুন যোগদানকারী হিসেবে তিনি কারাগারে মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন।
এছাড়া ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে, এর ফলে ২৮২ জন আহত হয়েছেন, তাদের অনেকেই এখনও চিকিৎসাধীন। হামলা ও বিদ্রোহের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কারাগার থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
একাধিক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বন্দি বিদ্রোহের সময় একটি কারাগারে সিভিল পোশাকে কার হাতে অস্ত্র ছিল, তা সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে দেখছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ