শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০২ জুন, ২০১৮ আপডেট:

আফ্রিকায় খাবার জোগায় বাংলাদেশ

শিমুল মাহমুদ
প্রিন্ট ভার্সন
আফ্রিকায় খাবার জোগায় বাংলাদেশ

সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আসে ৬১০ কিলোমিটার দীর্ঘ একমাত্র সড়কপথ হয়ে ক্যামেরুন থেকে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা এই দীর্ঘ পথ পাহারা দিয়ে পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন রাজধানী বাঙ্গিতে। নইলে অভুক্তই থাকতে হতো অসংখ্য মানুষকে। অন্যদিকে মালিতে প্রায় ১৩ হাজার বহুজাতিক শান্তিরক্ষীর নিত্যদিনের খাবার, অস্ত্র ও সব সরঞ্জাম আনতে হয় ১২০০ থেকে ১৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। ৩০-৪০ দিন রাস্তায় কাটিয়ে। জীবন ঝুঁকির এই যাত্রায়ও বাংলাদেশই একমাত্র ভরসা। বিস্তারিত ভিতরের পাতায় লিখেছেন— শিমুল মাহমুদ

 

একেই বলে এক যাত্রায় অনেক ফল। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রম দেখতে গিয়ে সঙ্গে আরও অনেক দেশই দেখা হয়ে গেল। কাতারের দোহা ও মরোক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় দীর্ঘ যাত্রাবিরতি শেষে ক্যামেরুন ছুঁয়ে ৪০ ঘণ্টা পর যখন রাজধানী বাঙ্গিতে নামলাম, ক্লান্তি তখন শরীর জেঁকে বসেছে। তখন স্থানীয় সময় ১৪ মে বিকাল। আমাদের গন্তব্য প্রায় সাড়ে ৫শ কিলোমিটার দূরের বোয়াক প্রদেশ। সড়ক পথে। দ্রুত হাত মুখ ধুয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার ছুটতে হলো। কারণ, সন্ধ্যার আগেই আমাদের রাত্রিবাসের নির্ধারিত বোসামতেলে ক্যাম্পে পৌঁছাতে হবে। বাঙ্গি টু ক্যামেরুন ৬১০ কিলোমিটার দেশের একমাত্র সড়ক ধরে এগোচ্ছি আমরা। আমাদের ৫ সদস্যের মিডিয়া টিমের দলনেতা সেনা সদরের লে. কর্নেল আজহারুল ইসলাম। মিশনের শুরুতে ২০১৪ সালেই তিনি সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। বললেন, দীর্ঘ এই রাস্তাটির নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের। এদেশের কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। ক্যামেরুন থেকে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আসে কঠোর পাহারার মধ্য দিয়ে। এ জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশ থেকে পৃথক চাহিদা জানিয়ে স্পেশাল ফোর্স আনিয়েছে। সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে প্যারাকমান্ডো ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে এই স্পেশাল ফোর্সের যাত্রা শুরু। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা এদেশের জন্য ক্যামেরুন থেকে আসা খাদ্য পণ্য সামগ্রী পাহারা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। স্পেশাল ফোর্স ছাড়া কোনো কনভয় মুভ হয় না। কঠোর নিরাপত্তা ছাড়া কোনো গাড়ি এই দীর্ঘ রাস্তায় চলতে পারে না। জাতিসংঘ দুটি স্পেশাল ফোর্স চেয়েছিল বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশ পাঠিয়েছে একটি  স্পেশাল ফোর্স। গুরু দায়িত্ব এখন তাদেরই কাঁধে। দেশটির বিবদমান গ্রুপগুলোর সাম্প্রতিক তৎপরতা এত বেশি যে, পাহারা না থাকলে মুহূর্তেই পণ্যবাহী কনভয় লুট হয়ে যেতে পারে। না খেয়ে থাকতে হবে অসংখ্য মানুষকে।

অন্যদিকে মালিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বহুজাতিক বাহিনীর প্রায় ১৩ হাজার শান্তিরক্ষী (মিলিটারি স্টাফ অফিসারসহ) দায়িত্ব পালন করছে। এখানেও জীবনঝুঁকির আশঙ্কা নিয়ে কাজ করছেন শান্তিরক্ষীরা। বাংলাদেশের প্রায় ৯ গুণ বড় দেশটির উত্তরের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সাহারা মরুভূমি। তাপমাত্রা থাকে ৪৬ থেকে ৫০ ডিগ্রির মধ্যে। থাকার জায়গা, গাড়ি সর্বত্রই এসি। বাইরে বেরুলে আগুনের হলকা যেন শরীরে লাগে। সেখানেই সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা খুব বেশি। জাতিসংঘ সরকারের সহায়তায় দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার তৎপরতায় নিয়োজিত। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি শান্তিরক্ষীরাও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু। গত ৪ বছরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৪৫ জন শান্তিরক্ষী জীবন দিয়েছেন। বাংলাদেশ হারিয়েছে ১৯ জন শান্তিরক্ষীকে। বৈরী আবহাওয়া, বিরু সামাজিক পরিবেশকে সামনে রেখেই কাজ করছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। মালির রাজধানী বামাকোতে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট (ব্যান ট্রান্সপোর্ট) কোম্পানি। তাদের অন্যতম দায়িত্ব প্রায় ১৩ হাজার শান্তিরক্ষীর নিত্যদিনের খাবার, অস্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিভিন্ন ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া। ক্যাম্পগুলোর দূরুত্ব ৮শ, ১২শ, ১৮শ কিলোমিটার পর্যন্ত। রাতের বেলা কনভয় মুভ হয় না। ফলে, দিনে দিনে সারতে হয় যাত্রা। সেই হিসাবে যেখানে একটি গন্তব্যে ৮-১০ দিন সময় লাগার কথা, সেখানে ৩০-৪০ দিনও রাস্তায় কাটাতে হয় ব্যান ট্রান্সপোর্টের সদস্যদের। কখনো খোলা আকাশের নিচে ধু-ধু মরুভূমিতে রাত কাটাতে হয় শান্তিরক্ষীদের। কনভয়ের সঙ্গে থাকে এক দেড় মাসের খাবার উপকরণ। রান্না করতে হয় পথেই। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয় রাস্তাতেই। সে জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্সসহ একটি মেডিকেল ভ্যানও থাকে গাড়ি বহরে। সশস্ত্র এই কনভয় সারা দেশ ঘুরে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়। এটাকে বলা হয় ‘মেইন সাপ্লাই রুট’ বা এমএসআর। সশস্ত্র এই কনভয় যাত্রায় পুরুষদের পাশাপাশি নারী শান্তিরক্ষীরাও অংশ নেন।  

দীর্ঘ যাত্রায় সন্ত্রাসীদের হামলার ভয় থাকে। থাকে চলতি পথে আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণের আতঙ্ক। কিন্তু এসব প্রতীক লতাকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতে থাকে পণ্যবাহী গাড়ির বহর। যাত্রার আগে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা হয়, যেন পুরো যাত্রাটা নির্বিঘ্ন হয়। সবাই যেন অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন ক্যাম্পে।

 

মালিতে নিয়োজিত এক শান্তিরক্ষী বলেন, আমরা যখন কনভয় নিয়ে মুভ করি তখন জীবনের কোনো মায়া থেকে না। নিরাপত্তার কারণে রাতে চলাচল বন্ধ থাকে। তখন খোলা মাঠেও আমাদের তাঁবু টাঙিয়ে থাকতে হয়। সেখানেই রান্না, খাওয়াসহ পরবর্তী ভোরের অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় ডাক্তার, নার্স, কুক পর্যন্ত কনভয়ের সঙ্গে থাকে।

মালির রাজধানী বামাকোতে নিয়োজিত বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির সদস্যদের মূল কাজ হচ্ছে বামাকো থেকে কিদাল কিংবা দূরবর্তী স্থানে মোতায়েন শান্তিরক্ষীদের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। এ কাজটি তারা নানা প্রতীক লতা সত্ত্বেও দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। মরুভূমির দুর্গম পথ দিয়ে ১৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তারা রসদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে কিদালে। পথিমধ্যে রয়েছে বিদ্রোহীদের হামলার আশঙ্কা, রয়েছে মাইন আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে মরুঝড় ও বালুঝড় প্রায়ই আঘাত হানে গাড়ি বহরকে। এ সময় গাড়িগুলো থামিয়ে ২-৩ দিন পর্যন্ত বসে থাকতে হয়। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে গাড়ির চাকা বসে যায়।

কিদালে রসদ সরবরাহ করা হয় বামাকো থেকে সড়কপথে। তবে এ পথকে সড়ক বলা যায় না। সড়কের অধিকাংশ জায়গাই রয়েছে মাইন বিস্ফোরণের ভয় ও বিদ্রোহীদের হামলার আশঙ্কা। বিদ্রোহীরা রাস্তায় চৌম্বক মাইন পুঁতে রাখে। চলন্তু গাড়িতে মাইন নিক্ষেপ করে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাছাড়া রয়েছে ধূলিঝড় ও অত্যধিক তাপমাত্রা। রসদ পরিবহনে অনেক সময় লাগার কারণে মাছ, মাংস শাকসবজি ইত্যাদি ৩০%-৪০% নষ্ট হয়ে যায়।

মালিতে বর্তমানে ১১ হাজার ৩৩৮ জন ট্রুপস ও মিলিটারি স্টাফ মিলিয়ে ১৩ হাজার ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছে। এসব শান্তিরক্ষীর নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিরাপদে পৌঁছে দিতেই গত চার বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট কোাম্পানি।

ব্যানট্রান্সপোর্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার  লে. কর্নেল এফতেখার উদ্দিন বলেন, গত এক বছর ধরে আমরা ১৯টি কনভয় মুভ পরিচালনা করেছি এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই কাজ শেষ করেছি। ২০১৪ সালে মালির বামাকোতে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট কন্টিনজেন্ট চালু করে। ইউএন আমাদের সরকারের কাছে প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রান্সপোর্ট কন্টিনজেন্ট চালুর অনুরোধ করেছিল।

কিন্তু আমরা একটা দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত চার বছর মালিতে আমরা একক ট্রান্সপোর্ট কন্টিনজেন্ট হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। চলতি বছর থেকে মিসর ও শ্রীলঙ্কা থেকে ট্রান্সপোর্ট কন্টিনজেন্ট দিয়েছে। তবে পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করার ধারাবাহিকতায় অন্যদের তুলনায় আমাদেরটা অনেক ভালো। সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের মতোই মালিতেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যমাত্রা নেই। নেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগের পরিবেশ। পরিস্থিতি এখানে কতটা ভয়ঙ্কর একটি পরিসংখানই সাক্ষ্য দেয়। জানুয়ারি ২০১৬ সাল থেকে গত ২ মে পর্যন্ত মালিতে মোট ৮৯টি হামলা ও নাশকতার ঘটনায় ১১৯ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। সার্বিক ঝুঁকি বিবেচনায় এটিকে বিশ্বের এক নম্বর বিপজ্জনক শান্তিরক্ষা মিশনের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে মালিতে আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি প্রাণ হারান। এরপর থেকেই  শান্তিরক্ষীদের নিজেদের নিরাপত্তার দিকেই জোর দিতে হচ্ছে বেশি। সংগ্রহ করতে হচ্ছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও যোগাযোগ উপকরণ। উল্লেখ্য, মালির সরকারি বাহিনী, বড় সুবিধাভোগী ফ্রান্সের বারখান, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র গ্রুপ জি-৫ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর ক্রমাগত তৎপরতা সত্ত্বেও মালির উত্তরাঞ্চলে সংঘাত বন্ধ করা যাচ্ছে না। শান্তিরক্ষীরা তাদের অন্যতম টার্গেট হলেও বাদ যাচ্ছে না সাধারণ মানুষসহ কোনো পক্ষই। এমন কোনো সপ্তাহ নেই যে, এইভাবে লোকজন নিহত হচ্ছে না। তিম্বকতু রিজিয়নাল ইউএন বেইজ গত বছরের শেষে এক মাসে চারবার রকেট আক্রমণের শিকার হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও যোগাযোগ উপকরণ ব্যবহার করছে। সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে মাইন রেজিস্ট্যান্স আর্মার প্রোটেক্টটেড ভেহিকল (এমর‌্যাভ)। এই গাড়ির নিচে যদি মাইন পড়ে সেটা সে প্রোটেক্ট করবে এবং চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত জ্যামার তৈরি করতে পারে। যার মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোলে যদি কেউ মাইন বিস্ফোরণ ঘটাতে চায় তাহলে সেটা ব্যর্থ হবে। এই গাড়ির চাকার বিশেষত্ব হলো, এর চাকা যদি কোনো হামলায় পাংচার হয়ে যায় তাহলেও এটি ২০-৩০ কিলোমিটার অনায়াসে পেরিয়ে যেতে পারবে। উপরে যে সৈন্য থাকে সে না থাকলেও এটি ভিতর থেকে অপারেট করা যায়। এটি একেবারে মডার্ন ভেহিকেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের এক নম্বর ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা মিশন মালিতে সার্বিক ঝুঁকি বিবেচনায় এই যানটি ব্যবহূত হচ্ছে। এ ছাড়াও সেন্ট্রাল আফ্রিকা ও মালিতে আমাদের শান্তিরক্ষীরা শত শত যানবাহন ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। যার ভাড়া বাবদ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বাংলাদেশ। কোনো কোনো সরঞ্জামের ভাড়ার আয়ে কেনা দাম উঠে গেছে অনেক আগেই। সেন্ট্রাল আফ্রিকায় বাংলাদেশের কান্ট্রি সিনিয়র কর্নেল খন্দকার আলী রেজা বলেন, আমরা এখন দেশ থেকে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছি। সরঞ্জামের দিক থেকে অনেক সহায়তা পাচ্ছি। ভালো ভালো সরঞ্জাম দিয়ে আমাদের সুরক্ষিত করা হচ্ছে। ফলে আমাদের প্রফেশনালিজমটা ডিসপ্লে করতে পারছি।

 

 

জাতিসংঘের বড় বিজ্ঞাপন নাঈমা-তামান্না

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ৭০ বছর অতিক্রম করছে জাতিসংঘ। ইউএন পিসকিপার্স ওয়েবসাইটে এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষীদের যে ছবিগুলো রিলিজ করা হয়েছে তার শুরুতেই বাংলাদেশি দুই নারী পাইলটের মুখচ্ছবি। তারা হলেন, বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাঈমা হক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুিফ। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সূচনা করে। এ বছর সেটি ৭০ বছরে পা রাখছে। অন্যদিকে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ইরাক মিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়। এ বছর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রায় ৩০ বছর অতিক্রম করছে বাংলাদেশও। উল্লেখ্য, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ গত ৩০ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে নিজেদের প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখছে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি জাতিসংঘে এক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। গত ২৯ মে ছিল আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাঈমা হক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুিফর সচিত্র অবস্থান আমাদের নারী শান্তিরক্ষীর অবস্থানকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে। তা সত্ত্বেও জাতিসংঘ সদর দফতরে উচ্চ পর্যায়ের নিযুক্তিতেও আমাদের মহিলা শান্তিরক্ষীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে। উল্লেখ্য, কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমানবাহিনীর ১৫ জন নারী কর্মকর্তার মধ্যে দুজন নারী পাইলট হলেন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাঈমা হক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই- লুিফ। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গোতে যান তারা। সেখানে তারা হেলিকপ্টারের চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিশ্বশান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরা। এক সময় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু মেডিকেল কন্টিনজেন্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল নারী শান্তিরক্ষীদের কর্মতৎপরতা। বর্তমানে সেটা কমান্ডিং কর্মকাণ্ড, অপারেশনসহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। মালি ও সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা মিশনে অদম্য সাহসিকতা নিয়ে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা।

 

অবদান রাখছেন নারীরাও

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নারী সদস্যরা। বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ৮২ জন ও পুলিশের ৭৫ জন সদস্য বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় কর্মরত আছেন। সশস্ত্র বাহিনীর ৮২ জন নারী সদস্যের মধ্যে দুইজন নারী পাইলটও রয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বড় জায়গাজুড়ে অবস্থান বাংলাদেশের। জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের শান্তি ও সুরক্ষায় তারা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ৭ হাজার ৭৫ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৪৫৩ জন, নৌবাহিনীর ৩৪০ জন ও বিমান বাহিনীর ৪৯৯ জন কাজ করছেন। এসব শান্তিরক্ষীর মধ্যে ৮২ জন নারী সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৬৫ জন, নৌবাহিনীর ২ জন এবং বিমান বাহিনীর ১৫ জন সদস্য কাজ করছেন। কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমানবাহিনীর ১৫ জন নারী কর্মকর্তার মধ্যে দুইজন নারী পাইলট রয়েছেন। তারা হলেন— ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুিফ। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গোতে যান তারা। সেখানে তারা হেলিকপ্টারের চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বর্তমানে ৭৫ জন নারী পুলিশ সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত আছেন। মিশনে কনস্টেবল থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার নারী সদস্যরা রয়েছেন। এ পর্যন্ত মিশন সম্পন্ন করে দেশে ফিরে এসেছেন এক হাজার ১১১ জন নারী পুলিশ।

সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের বোয়াকে দেখা হলো, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর নূশরাত নূর আল চৌধুরীর সঙ্গে। ছেলেদের মতো ছোট করে কাটা চুল। দেখেই মনে হলো যেন অনেক দিনের চেনা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী প্যারাট্রুপার তিনি। দেশের প্রথম প্যারাট্রুপার দম্পত্তি তারা। মেজর নূশরাত বললেন, চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি।

 

সেবা ও ত্যাগে অনন্য সিমিক

বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি সেন্ট্রাল আফ্রিকার একমাত্র খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ক্যামেরুন থেকে বাঙ্গী পর্যন্ত মেইন সাপ্লাই রুট-এমএসআর সক্রিয় ও নির্বিঘ্ন রাখার দায়িত্ব পালন করছে। এসব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতে হয়। এর মধ্যে সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন-সিমিক অন্যতম। সিমিক কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যেতে পারছে। এই লক্ষ্যে তারা স্থানীয় জনগণের মধ্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করছে। তাদের শাকসবজি চাষাবাদ শেখাচ্ছে। বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে আস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এর মধ্য দিয়ে হতদরিদ্র মানুষগুলোর জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশাল ভূখণ্ডের দেশটিতে মানুষের কষ্টের কোনো শেষ নেই। সেই কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। দেশটির মানুষ এইচআইভিসহ নানা রোগে ভুগছে প্রতিনিয়ত। ম্যালেরিয়ায় মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। আছে চর্মরোগসহ নানা অসুস্থতা। এ ছাড়াও নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে আহত হয়ে অনেকে আসে হাসপাতালে। এমন একটি জনপদের মানুষদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়নের একটি অস্থায়ী হাসপাতাল। বাংলাদেশ বিভিন্ন ইউনিটে অনেক হাসপাতাল পরিচালনা করে। ব্যানব্যাট-৪ এর নিয়ন্ত্রণে লেভেল-১ হাসপাতালটি পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেখানে গাইনি, মেডিসিন, সার্জারি, ডেন্টালসহ সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। রয়েছে আইসিইউ, সিসিইউ, অপারেশন থিয়েটার। রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং এক্সরের ব্যবস্থাও। নির্ধারিত দিনে লাইন ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন স্থানীয় মানুষ। সেনা সদরের লে. কর্নেল আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মিডিয়া টিমের সদস্যরাও চিকিৎসা কার্যক্রম দেখে মুগ্ধ সেন্ট্রাল আফ্রিকার রাজধানী বাঙ্গি থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম বোয়ার এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটি স্থানীয় মানুষদের আস্থা ও ভরসাস্থল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। লে. কর্নেল আজহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের একেকটা মিশন একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। এখানে আমাদের শান্তি প্রচেষ্টার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের জীবনমান উন্নয়নেও কাজ করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যানব্যাট-৪ এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল মো. এমদাদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখানে জাতিসংঘের আস্থা ও নির্ভরতার জায়গায় রয়েছে। শুরুতে এখানে আমাদের দেশটির মেইন সাপ্লাই রুট-এমএসআর এর একটা অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এখন অনেকগুণ বাড়িয়ে পুরো ৬১০ কিলোমিটারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দেশটির অনেক দুর্গম এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন আমাদের শান্তিরক্ষীরা। আশা করছি, আমাদের এই ত্যাগের মধ্য দিয়েই দেশটিতে একদিন শান্তি ফিরে আসবে।

 

জীবন বাঁচায় শেল্টার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালিকে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিশন। মালির রাজধানী বামাকো থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরের গাওয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ ব্যাটালিয়নের (ব্যানব্যাট-৪) সদস্যরা। সেখানে বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষীরা একই বেষ্টনী এলাকায় আলাদা ক্যাম্পে থাকেন। একসঙ্গে এগুলোকে বলা হয়, সুপার ক্যাম্প। এই সুপার ক্যাম্পেও হানা দেয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। শান্তিরক্ষীদের দৃঢ় মনোবলে চির ধরাতে অতর্কিতে হামলা করে বসে। তবে সন্ত্রাসীদের হামলা প্রতিরোধের পাশাপাশি আত্মরক্ষারও নানা কৌশল অবলম্বন করছে শান্তিরক্ষীরা। ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে শেল্টার। প্রায় চার ফুট ব্যাসার্ধের বালির বস্তার বেষ্টনী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে জরুরি মুহূর্তে আশ্রয় নেওয়ার জায়গা। সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরা পড়লেই ক্যাম্পের সাইরেন বেজে উঠে। তখন যে যেখানে থাকে সবাই শেল্টারে চলে যায়। যাদের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব তারা শেল্টারে থেকেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যরা সহায়তা করে। উল্লেখ্য, মালির গাও এবং কিদাল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের এলাকা। এই দুই এলাকায় শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এজন্য তাদের সতর্ক থাকতে হয় সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে পণ্যবাহী কনভয় মুভের সময় অনেক বেশি নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। মালিতে গত চার বছরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দেড় শতাধিক শান্তিরক্ষীর মূল্যবান প্রাণ গেছে। বাংলাদেশেরও ১৯ জন শান্তিরক্ষীকে আমরা হারিয়েছি এই মালিতে। রাস্তায় পুঁতে রাখা আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) চলতি সময়ের বড় আতঙ্ক। এ জন্য সরকার সম্প্রতি মালি মিশনের জন্য মাইন রেজিস্ট্যান্স আর্মার প্রোটেক্টটেড ভেহিকল (এমর‌্যাভ) কিনে দিয়েছে। অত্যাধুনিক এসব যানবাহনের কারণে কার্যক্রম পরিচালনা অনেকটা সহজ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ঝুঁকি অনেকটা কমে গেছে।

 

আফ্রিকার মাচায় বাংলার ফল সবজি

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংঘাতপূর্ণ দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের ছড়াছড়ি। রাজধানী থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে বোয়ারে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন ব্যানব্যাট-৪ দেশটির একটি বড় অংশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। নিজেরাও ব্যাটালিয়নের এলাকার মধ্যে শাক-সবজির চাষ করছে। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৃষি প্রযুক্তি স্থানান্তর হচ্ছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের আবাসস্থল বোসাম্বেলে কোম্পানি অপারেটিং বেস (সিওবি)-এ পৌঁছেই দুপুরের খাবারে বাংলাদেশি সবজির দেখা মিলল। নিজেদের চাষ করা লাউ রান্না করা হয়েছে চিংড়ি দিয়ে। জাতিসংঘের চিংড়ি, বাংলাদেশের লাউ। অপূর্ব সমন্বয়। ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেল, পরম যত্নে লাউ গাছ লাগিয়েছেন সেনা সদস্যরা। সঙ্গে আছে করলা, বেগুনসহ নানা সবজি। বোয়ার এলাকায় ব্যানব্যাট-৪ সদস্যরা অনেক জায়গা নিয়ে সবজি বাগান করেছেন। রাতের খাবারেও মিলল নিজেদের উৎপাদিত সবজির স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ। পাতে এলো সেই লাউ চিংড়ি ও ঢেঁড়স। বাংলাদেশ ব্যাটালিয়নের পাশে বিশাল সবজি বাগানে গিয়ে দেখা যায়, লাউ, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, মুলা, করলা, বেগুন, ঢেঁড়স, পেঁপে, কাঁচামরিচসহ নানা ধরনের সবজির চাষ করা হচ্ছে। একটি প্লটে বিশাল আকারের তরমুজ ও খিরা দেখা গেল। পাশাপাশি লাল শাক, পুঁই শাক, স্কোয়াশ, ধনেপাতা চাষ হচ্ছে।  সেই সবজি খেতে কাজ করছে স্থানীয়রা। স্থানীয় আফ্রিকান ডিজিরে বলেন, ব্যানব্যাট-৪-এ আমি সবজি চাষ করা শিখেছি। বাড়িতেও আমি বাংলাদেশি শাক-সবজি চাষ করেছি। আমার বউ এটা খুব পছন্দ করছে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা জানান, এই কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি আমরা যে তাদের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য এখানে এসেছি সেটা তাদের বোঝাতে পারছি।

 

আমের জন্য আকুলতা

রাস্তার দুই পাশে শত শত আম গাছের সারি। সিঁদুর রঙা পাকা আম ঝুলে আছে গাছে। পেকে পড়ে আছে গাছের নিচে কয়েকস্তর হয়ে। কিন্তু কুড়িয়ে নেওয়ার মানুষ নেই, খাবার মানুষ নেই। বাংলাদেশের প্রায় ৬ গুণ বড় সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের মানুষ মাত্র ৪৭ লাখ।

প্রতি মাইলে মাত্র ৭ জন মানুষের বসবাস। কিন্তু বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের এই দেশে তবুও অনাহারে, অর্ধাহারে কাটে মানুষের দিন। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি তাদের নিত্যসঙ্গী। বিমানবন্দর থেকে নেমে গাড়িতে যেতে যেতে চার পাশের হতশ্রী দৃশ্য, বিবর্ণ বাজার, শীর্ণকায় কালো মানুষদের দেখে মনে হলো, আমরা কত ভালো আছি। শিক্ষা ও সভ্যতার আলোহীন মানুষগুলো তাদের ন্যূনতম চাহিদাও মেটাতে পারে না।

অন্যদিকে মালিতেও আমের প্রাচুর্য দেখা গেল। এত চমৎকার বর্ণিল আম দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। রাস্তার পাশে ভাগ দিয়ে আম বিক্রি করে তারা। প্রতি ভাগে ৮/১০টি করে আম। দাম ১০০০ সিফা। আমাদের টাকায় ১৫০ টাকার মতো।   

জাতিগত সহিংসতায় নিমজ্জিত সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের মানুষ আম খেতেই জানে না।

ফলে শত শত আম গাছের কোনো দাম নেই সেখানে। আগাছার মতো বেড়ে উঠেছে আমগাছ। স্বাভাবিক কারণেই সেগুলোর কোনো মালিকানাও নেই। গাছ পাকা আম অযত্নে অবহেলায় গাছের নিচে পড়ে পচে যাচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

৩৬ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ
শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ

৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা

১৯ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি
পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি

২৯ মিনিট আগে | পর্যটন

দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক ন্যায্যমজুরি পান না : বিবিএসের জরিপ
দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক ন্যায্যমজুরি পান না : বিবিএসের জরিপ

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল
স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাবিশ্বের ভারসাম্যই প্রাণের সম্ভাবনার মূল চাবিকাঠি
মহাবিশ্বের ভারসাম্যই প্রাণের সম্ভাবনার মূল চাবিকাঠি

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মাইলফলকের সামনে শান্ত
মাইলফলকের সামনে শান্ত

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভয়াবহ ঝড়ে ফ্রান্স-ইতালি ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভয়াবহ ঝড়ে ফ্রান্স-ইতালি ট্রেন চলাচল বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’
‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার
ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ
কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই
৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?
লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

সালমানের সেই মুন্নি এখন
সালমানের সেই মুন্নি এখন

শোবিজ

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা
যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা

শোবিজ

মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল
মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল

শোবিজ

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা

মাঠে ময়দানে

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’
‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’

মাঠে ময়দানে

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল
আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল

নগর জীবন

সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি
সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি

নগর জীবন

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

নগর জীবন