আগামীর কম্পিউটার কোয়ান্টাম কম্পিউটার। অত্যাধুনিক সব সুপার কম্পিউটার দিয়েও যেসব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না, তা অনায়াসে সমাধান করা সম্ভব হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তবে বহু বছর ধরে কেবল গবেষণাগারের মধ্যেই সীমিত কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসে শুরু হওয়া কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো বা সিইএস মেলায় আইবিএম ২০১৯ সালে উন্মোচন করা হয় বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটার।
প্রযুক্তি বিশ্বে বিপ্লব ঘটানোর প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংকে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের বলে মনে করা হয়। কারণ খুব দ্রুত এটিকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না বলেই ধরা হচ্ছে। আইবিএমের তৈরি বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটারের নাম হচ্ছে, ‘আইবিএম কিউ সিস্টেম ওয়ান’। যা কোয়ান্টাম কম্পিউটার বাজারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আইবিএমের প্রথম প্রচেষ্টা। বিস্ময়কর ক্ষমতার এ কম্পিউটারটি স্থাপন করা হয়েছে ৯ ফুট লম্বা ও ৯ ফুট প্রশস্ত কাচের আবরণের মধ্যে বায়ুনিরোধক পরিবেশে।
বিশ্বে আইবিএম একমাত্র কোম্পানি নয়, যারা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বাজারে নিয়ে আসতে কাজ করছে। গুগল, ইন্টেল, মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান কার্যকর কোয়ান্টাম কম্পিউটার বাজারে নিয়ে আসতে কাজ করছে। অসম্ভব সব গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উন্নতির দরজা খুলে দেবে অবিশ্বাস্য ক্ষমতার অধিকারী কোয়ান্টাম কম্পিউটার।
গুগল কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ওপর তার আধিপত্য ঘোষণা করেছে। গুগলের এআই কোয়ান্টাম টিম কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়েছে বলে বিখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল নেচারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গুগলের সিকামোর প্রসেসর সাড়ে তিন মিনিট সময়ে এমন এক গাণিতিক সমস্যা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে, যা প্রচলিত সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারের করতে ১০ হাজার বছর সময় লাগত। আর্মহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্যাথরিন ম্যাকগিওচের মতে, প্রচলিত কম্পিউটারের চেয়ে হাজার গুণ গতিসম্পন্ন কোয়ান্টাম কম্পিউটার।