শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি

অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী
প্রিন্ট ভার্সন
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি

আমার শিক্ষার্থীরা যখন রাজপথে নেমেছে। তারা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে যখন দেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। শিক্ষক হিসেবে তাদের একা রেখে চুপচাপ ঘরে বসে থাকতে পারিনি...

 

জীবনের কিছু মুহূর্ত আমাদের এমন অবস্থানে গিয়ে দাঁড় করায় যখন পাত্রাপাত্র জ্ঞান থাকে না। তখন মানুষের বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তের বিপরীতের সহজাত প্রবৃত্তি সাড়া দেয় আগে। গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সবার জীবনে নিয়ে এসেছিল এমন সময়। আমার সন্তানের রক্ত ঝরছে। তারা দেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য রাজপথে গিয়ে জীবন দিচ্ছে। এটা দেখার পর একজন বাবা হিসেবে নিশ্চুপ থাকতে পারিনি। আমার শিক্ষার্থীদের বুকে গুলি চালানো হচ্ছে এটা দেখার পর একজন শিক্ষক হিসেবে ঘরে বসে থাকার মতো কাপুরুষ ছিলাম না কোনো দিন।

অনেকে অহমবোধ নিয়ে পরিচয় দিয়ে থাকেন নিজ জন্মস্থান সম্পর্কে। কেউ কেউ বলে থাকেন জেলার মাটি নাকি কথা বলে। জানি না জুলাই-আগস্টে আমার জেলার মাটিও অজান্তে কথা বলেছিল নাকি। পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের জনপদে আক্রমণ করে বসার পর অনেকে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। সবার সামনে প্রাণ বাঁচিয়ে রাখাটাই তখন ছিল বড় দায়। কিন্তু একজন মেজর গর্জে উঠেছিলেন উই রিভোল্ট বলে। আর তাঁর জন্মস্থান এবং আমার জেলা অভিন্ন হওয়াতেই কি না আমিও চুপ থাকতে পারিনি। আমি ভিতর থেকে তাগিদ অনুভব করেছি আমার ছেলেমেয়েদের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। একজন বাবা হিসেবে মুক্ত স্বাধীন দেশ নিশ্চিত করতে হবে তাদের জন্য।

আমার শিক্ষার্থীরা যখন রাজপথে নেমেছে। তারা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে যখন দেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। শিক্ষক হিসেবে তাদের একা রেখে চুপচাপ ঘরে বসে থাকতে পারিনি। মনের অজান্তেই মিশে গিয়েছিলাম তাদের বিপ্লবী স্রোতে। আমি এতটাই তাদের সংগ্রামে মিশে গিয়েছিলাম যে বুঝতে পারিনি তাদের সঙ্গে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিচ্ছি। পরে সেই সেøাগান দিতে দেখে পাশ থেকে একজন বর্ষীয়ান বললেন, হাসনাত তুমি না একজন প্রফেসর। একজন প্রফেসর মানুষ এভাবে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দেয় নাকি?

শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলনে আমি এতটাই মিশে গিয়েছিলাম যে, ওই ভদ্রলোকের কথায় কর্ণপাত করিনি। পরে ভিডিও ভাইরাল হলে তা দেখে একটু অবাক এবং বিব্রতও হয়েছিলাম। আমি নিজেই ভাবছিলাম কোনো উত্তেজনার বশে এভাবে সেøাগান বেরিয়েছিল। এখন আমাকে শতবার অনুরোধ করা হলেও বাকি জীবনে হয়তো এভাবে এতটা উত্তেজনা নিয়ে স্লোগান দিতে পারব না। পরক্ষণেই ভাবি আমার মতো এমন হাজার লাখো মানুষ নিজের সত্তাকে হারিয়েছিলেন জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের স্রোতে। তাদের সামনে লক্ষ্য একটাই- মাতৃভূমির মুক্তি অথবা মৃত্যু। তাদের পেছনে ফ্যাসিবাদের ঘোর অন্ধকার আর সামনে থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ। তবে সেই বাংলাদেশের রং অনেক লাল। আমার সন্তান আবু সাঈদ, ওয়াসিম আকরাম, মীর মুগ্ধ, ইয়ামিনসহ আরও অনেকের তাজা রক্ত মিশে এতটা টকটকে লাল হয়েছে এ বাংলাদেশ। ওই বাংলাদেশ আমাদের চোখে নেশা জাগিয়েছিল। আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিল নিজের সম্পর্কে।

........আমার শিক্ষক পরিচয়ের আড়ালে হারিয়ে যেতে থাকা একজন বাবা তখন চিৎকার দিয়ে ডাকছিল। বিবেক আমাকে বাধ্য করেছিল সেই ডাকে সাড়া দিতে। যদি কাপুরুষ না হই আমার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য একটা মুক্ত স্বাধীন দেশের হাতছানি উপেক্ষা করি সেই সাধ্য ছিল না। তাই তো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলেমিশে আমিও বলেছিলাম ক্ষমতা না জনতা!! জনতা জনতা। দালালি না রাজপথ!! রাজপথ!! রাজপথ!!

টেলিভিশন টকশোতে নিয়মিত গিয়ে পতিত স্বৈরাচারের গোষ্ঠী উদ্ধার করে চলেছি তখনো। আবার আত্মীয়স্বজন আর শুভানুধ্যায়ীদের শত নিষেধ উপেক্ষা করেও আমি যুক্ত থেকেছি বিভিন্ন অনলাইন সংলাপে। ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যখন গিয়েছি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে তখন এক অর্থে মাথায় কাফন বেঁধেই নেমেছিলাম। পরিবারের কাছে যতটাই আশার বাণী উচ্চারণ করি, আমি ঠিকই জানতাম আজকের টকশো শেষ হওয়ার পর কোনো একটা কালো কাচঘেরা গাড়িতে তুলে নিতে পারে। তারপর আমার ঠিকানাটাও হতে পারে আয়নাঘরের অন্ধ কুঠুরিতে। কিংবা তারা আয়নাঘরে নেওয়ার বিলাসিতা না করে আমার গাড়িটার উপর একটা ভারী ট্রাক তুলে দিলেই ঝামেলা শেষ। আর সে জন্যই কারফিউ উপেক্ষা করে রাস্তায় নামাটা আমার জন্য ছিল ডাল-ভাত।

আবার ফিরে যাই সেই মুরুব্বির বক্তব্যে। উনি জানতে চেয়েছিলেন প্রফেসর মানুষ এভাবে গলা ফাটিয়ে সেøাগান দেয় নাকি? আমি বিশ্বাস করি আগে মানুষ তারপর প্রফেসর আর এ জন্যই চল্লিশ বছর আগের স্মৃতি হঠাৎ ফিরে এসেছিল আমার অজান্তেই। তখন রাজপথের নানা সংগ্রামে বন্ধুদের মাঝে আমি বেশ ভালো সেøাগান দিতাম। তাই তারা যে কোনো মিছিল সমাবেশ হলেই জোর করে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিত মাঝখানে। কিন্ত সেটা আমার জীবনে হারিয়ে যাওয়া এক গল্প ছিল।

ঝাঁ চকচকে ছুরি কোথাও ফেলে রাখলে সেটা একটা সময় জং ধরে যায়। আর সেখানে এতদিন আগের সেই অভ্যাস ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর পরিবেশটা হঠাৎ করে বদলে গিয়েছিল আমাদের সবার জন্য। আমি দেখলাম অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী একজন স্বৈরাচার ক্ষমতায় চেপে বসেছে ভূতের মতো। সে তার খুনি বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আঘাত করছে আমার সন্তানের গায়ে। আমার মেয়ের বয়সি অনেকে যখন খুনি হাসিনার পেটোয়া বাহিনীর কাছে নিগ্রহের শিকার তখন চুপ থাকতে পারিনি। আমার সন্তানদের যখন নির্বিচার রাজাকার বলে অপমান করা হলো, আমি তাদের প্রতিবাদ করতে দেখলাম অন্যভাবে। তারা যখন চিৎকার দিয়ে বলছে- তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার। তখন মনে হয়েছে এতদিনে ভোট ডাকাতটাকে কেউ উপযুক্ত জবাব দিতে পারছে। তাদের সেই সেøাগান আর দ্রোহ আরও অনেকের মতো আমারও রক্তে আগুন লাগিয়েছিল। তাই তো ছাত্রদের ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলনে আমি গিয়েছি ঠিক তাদের নির্দেশনা মেনে। আমি চোখ বন্ধ করলে এখনো স্পষ্ট দেখতে পাই জুলাইয়ের আগুনঝরা সেই সময়। ডামি ইলেকশনের পর ফুরফুরে মেজাজে থাকা অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর সেই বিশ্রী মন্তব্য। তারপর তার তীব্র প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্দোলনকারীদের ফুঁসে ওঠা। শিক্ষার্থীরা বিরক্ত হয়ে ব্যঙ্গ করে বলছে তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার এবং চেয়েছিলাম/চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার। তারা একটা একটা করে স্লোগান দেয় আর আমি গুনতে শুরু করি স্বৈরাচারী হাসিনার ক্ষমতা থেকে একটা একটা ইট খুলে নিচ্ছে আমার সন্তানরা। এবার তার পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর তখন থেকেই আমি আমার সন্তানের সঙ্গে পথে নেমেছি।

সেই ভয়াল ১৫ জুলাই। আওয়ামী লীগের দালাল সরকারি কর্মকর্তা ও ভোট ডাকাত মন্ত্রীদের অনেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ করে। তারা তাদের বিরুদ্ধে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করার ধিকৃত অভিযোগ আনে। হাসিনার নব্য রক্ষীবাহিনী ছাত্রলীগের হায়েনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার অসহায় সন্তানদের ওপর। তারা যখন আমার সন্তানদের ওপর রড, লাঠি, হকিস্টিক, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে তখন তাদের প্রতিবাদ ও প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গিয়েছিল। আমি অবাক হয়ে দেখি যে, পুলিশের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা, সেই পুলিশও লাঠি, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট এমনকি সরাসরি স্টিল বুলেট দিয়ে হামলা শুরু করে। শুরুতে শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থীদের ওপর তারা মনের সুখে আক্রমণ করে গিয়েছে। আমার সন্তান আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে মহান বীরের মতো জীবন দিয়ে প্রমাণ করে যায় আমাদের আর নিরস্ত্র থাকার সুযোগ নেই। আমাদের আর নীরবে সব সহ্য করার দিন শেষ হয়ে গেছে। তাই হায়েনা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আমার ছেলেমেয়েরাও তখন তাদের দিকে ইটের টুকরা ছুড়তে থাকে।

আমি খেয়াল করে দেখি ১৬ জুলাই থেকে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আমাদের বীর সন্তানরা হায়েনা বাহিনীকে রাজপথ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তার সামনে দাঁড়ানোর সাহস ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছিল না। তার পুলিশের গুলিতে আমাদের সন্তানদের মৃত্যুসংবাদ প্রতিটি অভিভাবকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে। তার হম্বিতম্বি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার সক্ষমতা পুরো নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল সেই ভয়ানক আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গের সামনে।

আমি খেয়াল করে দেখছি পুরো দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে বিপ্লবের সুবাতাস। ভয়ে কথা না বলা মানুষগুলো সেøাগান দিচ্ছে বুকের ভিতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর। আমি খেয়াল করছি ১৯ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠন রাস্তায় তাণ্ডব সৃষ্টি করে বেড়ালেও ধীরে ধীরে লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছে। বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ দিয়ে সরাসরি গুলি করিয়ে আর কতক্ষণ টিকে থাকবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা! সেই পরিস্থিতি যাতে সবাই বুঝতে না পারে সে জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে রেখেছিল সে। তারপরও আমার বিশ্বাস এ আন্দোলন থামাতে কার্যত ব্যর্থ হবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তারপর আমার বিশ্বাসকে সত্য করে দিয়ে সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে।

শেখ হাসিনা সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে যেদিন মাঠে সেনাবাহিনী নামায় আমি একটা টেলিভিশন টকশোতে যাচ্ছিলাম। পথের মধ্যে কথা হয় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখক আদনানের সঙ্গে। আমি বেশ জোরের সঙ্গে তাকে বলি- তোরা কী ভাবছিস, আমি জানি না, তবে আমার হিসেবে এই সেনাবাহিনী আর সহজে ব্যারাকে ফিরবে না। আর হাসিনাও ক্ষমতায় থাকবে না। জবাবে আদনান বলল, গাজীপুরের পরস্থিতিও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। রুয়েটের সামনে থেকে পোলাপান এতবড় মিছিল দিয়েছে যেটা কস্মিনকালেও রাজশাহীবাসী চোখে দেখেনি। ওদিকে চৌরাস্তা, কোনাবাড়ি, শফিপুর, শিববাড়ি সবখানে উত্তাল পরিস্থিতি।

আমি ফোনে কথা বলছি বাংলাদেশের নানা প্রান্তে সবার সঙ্গে। উত্তরার জনতার প্রতিরোধের গল্প শুনলাম আমার আরেক ছোটভাই অধ্যাপক হাসনাত শামীমের কাছে। শামীম জানাল প্রচণ্ড গোলাগুলির তাণ্ডবে বাসায় থাকা দায়। তারপরও ছেলেমেয়েরা রাস্তা থেকে সরছে না। পুলিশ পুলিশের মতো গুলি করছে, তারা তাদের মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে যাচ্ছে। তাদের ভিতর থেকে মরার ভয় পুরোপুরি চলে গেছে। এবার তাদের ভয় দেখানোর ক্ষমতা হাসিনার বাহিনীর নেই।

ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে পারি আমার আরেক ছোট ভাইয়ের কাছে। তার কথা শুনেও আমি অনুমান করি পুরো দেশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। ১৬ তারিখে জনতার দ্রোহকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কাউয়া কাদের খ্যাত আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের যখন বলল, এইসব আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট, তখন চরম বিরক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম মানুষ চরম বিপদে পড়লে ফাঁকা আওয়াজ দেয়। ওবায়দুল কাদের আসলে ঠিক সেই কাজটা করেছে। অনেকটা গ্রামগঞ্জে রাত-দুপুরে কেউ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ভূতের ভয়ে যেভাবে গান গায়, আমার কাছে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে ঠিক তাই। সে আসলে অন্য সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে, নাকি চরম ভয় পেয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে সেটা তখন স্পষ্ট ছিল না।

আমি আমার আশপাশের সবাইকে বলেছি কাদের ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। ১৯ জুলাই রাতে ফোন করলাম আদনানকে। নানা কথার ফাঁকে ওকেও বলছি এই কথা যে ওবায়দুল কাদের আসলে সে নিজেও হাসিনার পতনের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। ১৯ তারিখে আমি আমার বিশ্বাসের পক্ষে আরও শক্ত যুক্তি পেয়ে যাই। খবরে দেখতে পাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা হয়েছে। কারাগারে অগ্নিসংযোগ করার পর ভিতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে কয়েদিদের বের করে নেওয়ার পাশাপাশি অস্ত্র-গোলাবারুদ ও খাদ্যপণ্যও লুট করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করে। টিভিতে দেখায় সেই হামলা ও ভাঙচুরের দৃশ্য। কারাগারের পুরো চত্বরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ইটপাটকেল আর বিভিন্ন স্থাপনার ভাঙা অংশ। আমি টিভিতে এ দৃশ্য দেখে সবাইকে বলেছিলাম হাসিনার শাসনের অবস্থাও এরকম হয়েছে। সবদিক থেকে তার চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। আর যাই হোক সে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

আমার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে কেনা অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশ আমার সন্তানকে হত্যা করছে। ভাগ্য ভালো তখন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। সেসব ভয়াবহ দৃশ্য আমার দেখার সুযোগ হয়নি। হঠাৎ করে ফেসবুক খুলে দিলে নিজের চোখকে অবিশ্বাস করতে হয়েছিল। আমি ভাবতে পারিনি একটা সরকারপ্রধান সে যত নিকৃষ্টও হোক শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এতটা বর্বর হতে পারে। সে গুলি করে মেরেছে শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষ এমনকি বৃদ্ধকেও। গুলি খেয়ে আহত একটা মানুষ যখন কাতরাচ্ছে তাকেও রেহাই দেওয়া হয়নি গুলির মুখ থেকে।

চব্বিশের পরাজিত শক্তি এখন বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণ করতে তৎপর। আমাদের সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশকে পেয়েছি তাকে পুরোপুরি বাসযোগ্য করে তুলতে হলে আমাদের এখনো পাড়ি দিতে হবে অনেকটা পথ। সে দীর্ঘপথে জুলাইয়ের শহীদ আর বীরেরা অনুপ্রেরণা হোক আমাদের। আমি জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের প্রতিটি বীর শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি তাদের বিপ্লবী অবদানকে।

লেখক : উপাচার্য, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
সর্বশেষ খবর
রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

এই মাত্র | রাজনীতি

মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত
মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত

৪৩ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া রাষ্ট্র সমাজ টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্মীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া রাষ্ট্র সমাজ টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

২ মিনিট আগে | জাতীয়

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শপিং কমপ্লেক্সে অটোরিকশা, আহত ২
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শপিং কমপ্লেক্সে অটোরিকশা, আহত ২

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ২
চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ২

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা
৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ফারুক
জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ফারুক

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

বগুড়ায় হৃদরোগীর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান
বগুড়ায় হৃদরোগীর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১১
পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১১

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন
ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন

৪৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

৫২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা