শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫ আপডেট: ০০:৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি শরণার্থী অথবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সাফল্যে বিপদ দেখে তিনি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অতএব, কোনো বিশ্লেষণেই দালাইলামা ও শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ ও বসবাসের ঘটনা তুলনীয় নয়।

 

ভারত যে তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী দেশগুলোকে অধীনতার বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে চায় তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে- গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ না করায়। জানুয়ারি ২০২৫-এর প্রথম সপ্তাহে এ সংক্রান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো কূটনৈতিক পত্রের এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর না দিয়ে ভারত কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরও খেলাপ করেছে। বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করা সত্ত্বেও ভারত সরকার তার ভারতে অবস্থানের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যেন শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মতো কোনো তৎপরতা চালানো থেকে বিরত রাখেন। ভারত সরকার তাও করেনি। শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দান অব্যাহত রয়েছে এবং এর পরিণতিতে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগবিরোধী ছাত্র-জনতার ক্ষোভ আরেকবার জুলাই-আগস্ট ২০২৪ অভ্যুত্থানের পর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।

ভারতের বিজেপি সরকারের কোনো কোনো নেতা শেখ হাসিনার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের প্রশ্নে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া তো দূরের কথা, উল্টো বলেছেন যে, দালাইলামা ১৯৫৯ সাল থেকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে রয়েছেন, সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। ভারতের একশ্রেণির সংবাদপত্র ও টেলিভিশন শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের পক্ষে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিয়মিত উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। দালাইলামা এবং শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান আদৌ সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তার ওপর সামান্য আলোকপাত করা যেতে পারে। ১৯৫৯ সালে চীন তিব্বতকে বৃহত্তর চীনের সঙ্গে সংযুক্ত করার পর দালাইলামা তার অনুসারীদের নিয়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হন। তখন থেকে তিনি হিমাচলের ধর্মশালায় বসবাস করছেন একজন রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি হিসেবে। ধর্মশালায় আশ্রিত তিব্বতিদের সেন্ট্রাল তিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামে প্রবাসী সরকার আছে, যে সরকারের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগও রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি রাষ্ট্র তিব্বতকে চীন কর্তৃক অধিকৃত ভূখণ্ড বললেও প্রবাসী তিব্বতি সরকারকে এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি। দালাইলামাসহ ভারতে আশ্রিত তিব্বতিদের বিদেশে যেতে হলে ভারতের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে হয়। 

দালাইলামা তার স্বাধীন রাষ্ট্র হারিয়ে চীনের নিগ্রহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি কোনো মানবতাবিরোধী অথবা ফৌজদারি অপরাধ ঘটিয়ে ভারতে আসেননি। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ শাসনকালে প্রতিপক্ষের ওপর হত্যা, গুম, নিপীড়ন, বছরের পর বছর বিনাবিচারে আটক রাখা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের মতো অপরাধ সংঘটন ছাড়াও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে এমন সব অপরাধ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বিচারযোগ্য। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ও তার অপরাধের দোসরদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) বহুসংখ্যক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বেশ কিছু মামলার তদন্ত চলছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি শরণার্থী অথবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সাফল্যে বিপদ দেখে তিনি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অতএব, কোনো বিশ্লেষণেই দালাইলামা ও শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ ও বসবাসের ঘটনা তুলনীয় নয়। শেখ হাসিনা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ আইন অনুসারেই ভারতের উচিত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিয়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দেওয়া।

কিন্তু ভারত এখনো তা করেনি। বরং শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ সরকার যে চিঠি ভারত সরকারের কাছে পাঠিয়েছে, তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন পর্যন্ত বোধ করেনি। ভারতের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই দায়িত্বশীল কূটনৈতিক ও সৎ প্রতিবেশীসুলভ বলা যেতে পারে না। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদে বাংলাদেশে কী ধরনের অপরাধ ঘটেছে তা ভারতের নখদর্পণে। ইতিপূর্বে ভারতীয় শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশ ভারতের রাডার আওতায়। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে প্রত্যর্পণ না করার ভারতীয় নীরবতা অথবা একগুঁয়েমির মনোভাবে কী এটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে না যে, ভারত প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার ব্যাপারে যত না আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি আগ্রহী একটি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে। কারণ এই বিশেষ পরিবারটি ভারতকে যে সুবিধা দিয়েছে, তা অতীতে বাংলাদেশের আর কোনো সরকার দেয়নি। এ কথা ২০১৮ সালে বলেছেন বাংলাদেশের ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি ঢাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, সেটি তারা সারা জীবন মনে রাখবে। আমি কারও কাছে কোনো প্রতিদান চাই না। আমি নিতে পছন্দ করি না। সব সময় অন্যকে দিতে বেশি পছন্দ করি। (বাংলা ট্রিবিউন, ৩০ মে, ২০১৮)

শেখ হাসিনা ভারতকে কী কী দিয়েছিলেন তার বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি, সাংবাদিকদের কেউ সেই তালিকা জানতে চাওয়ার সাহস করেননি। সংবাদ সম্মেলনটি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হলেও শেখ হাসিনা ভারতকে সুবিধা দিতে শুরু করেছিলেন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকেই। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার মাত্র এক মাস পর ঢাকার পিলখানায় সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর হেড কোয়ার্টার্সে তথাকথিত বিদ্রোহ ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেলসহ ৫৭ জন অফিসারকে হত্যার ঘটনা যে ভারতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটেছে, তা এখন স্পষ্ট। বিদ্রোহের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে বিডিআরকে কার্যত ভেঙে কয়েক শ বিডিআর সদস্যকে হত্যা ও বিদ্রোহে জড়িত অভিযোগে বিচারের নামে আরও কয়েক হাজার সদস্যকে আটকে নির্যাতন চালিয়ে অবশিষ্ট বিডিআর সদস্যের মনোবল ধ্বংস করে এ বাহিনীর নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), তাও ভারতের পরামর্শে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় তা বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কিছু উপদেষ্টাকে দোষারোপ করেন যে, তারা নিয়মিত ভারতবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। ১৯৭১ সালকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট হিসেবে বর্ণনা করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বৃদ্ধির উল্লেখ করেন, যা তার মতে ভারতের চিন্তাকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, এটা এমন এক বিষয়, যা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয় এবং আমরা তা বলছি। কিন্তু অব্যাহতভাবে যদি এমন বার্তা বা সংকেত দেওয়া হয়, যা ভারতের প্রতি শত্রুতামূলক, তাহলে সেটি অবশ্যই আমাদের ভালো লাগবে না। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায় তা ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক চাই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। বিভিন্নজনের আপত্তিকর কথা সম্পর্কিত জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এ ধরনের কথা তাদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পারলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ ফোর্স পাঠিয়ে দেন। তাদের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সব সময় বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এসব চলতে থাকবে ধরে নিয়েই আমরা সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছি। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বক্তব্য ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের ক্ষতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো করতে গেলে, আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় আতিথেয়তায় থেকে নানা কথা বলে আগুনে ঘি ঢালছেন, এটা ভারতকে বুঝতে হবে। জয়শঙ্করের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, এ অভিযোগ প্রধানত ভারতীয় মিডিয়ার তথ্য বিকৃতি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের বিশেষ ভাবনার বিষয় হতে পারে না।

 

শেখ হাসিনাসহ শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন। এতে কী প্রমাণিত হয় না যে, ভারতে কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, সবার কাছে আওয়ামী লীগ একমাত্র বিশ্বস্ত দল এবং সে জন্য তারাই তাদের আশ্রয়-প্রশয় পায় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বড় করে দেখে...

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত কীভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং বাংলাদেশে তাদের অনুগত কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে সেই সরকারকে কীভাবে ভারতের স্বার্থে কাজ করতে কাজে লাগায়, তার বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন কিছুদিন আগে পরলোকগত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর তাদের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অজুহাত দেখিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করে। তারা জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং প্রস্তাবের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করে। তারা জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির বেশ কজন নেতাকে গ্রেফতার করে। যেসব অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়, কোনোটাই মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল না। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ একে একে আনা হয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পর।

জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগের ক্ষোভ ছিল কারণ ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করেছিল এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। এর আগে আওয়ামী লীগ আশা করেছিল এবং চেষ্টাও করেছিল যেন জামায়াত ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনের মতো ২০০১ সালেও এককভাবে নির্বাচন করে তাদের আবারও সরকার গঠনের সুযোগ করে দেয়। জামায়াত ১৯৯৬ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৯৭৫ সালে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছিল। জামায়াত ও বিএনপি উভয় দলই তাদের ভুল বুঝতে পেরে ২০০১ সালেও জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ দেশ থেকে তাদের সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তার প্রথম ধাপ ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের বিচার ও চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগের প্রধান টার্গেট ছিল তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। সারা দেশে জামায়াত নেতাদের ঢালাও ধরপাকড়ের উদ্দেশ্য ছিল ঝি মেরে বউ শাসন করার কৌশলে বিএনপি সাইজ করা।

কিন্তু সম্ভবত এতটুকুতে ভারতের নীতিনির্ধারকগণ সন্তুষ্ট ছিলেন না। তারা ভ্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগে বাংলাদেশ থেকে ভারতবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তারা ব্যবহার করেন নিরীহদর্শন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে দিল্লির প্রধান দৈনিকগুলোর সম্পাদকদের কাছে মনমোহন সিং বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ ভারতবিরোধী এবং রাজনৈতিকভাবে যারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত, যারা অনেক সময় পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর সঙ্গে যোগসাজশ করে কাজ করে। জামায়াত সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে যারা ব্রিফ করেছিলেন, তারা হয় বাস্তবতা থেকে দূরে ছিলেন অথবা তারা জেনে বুঝে আওয়ামী লীগ সরকারকে দিয়ে ভারতবিরোধী শক্তির কোমর ভেঙে দিয়ে জামায়াতের বিপুল জনসমর্থনের জুজু দেখিয়েছিলেন। অথচ বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে এযাবৎ যতগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে জামায়াত সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়েছিল ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে। দলটি ওই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮.৬১ শতাংশ লাভ করেছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত পায় ৪.২ শতাংশ ভোট এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে পায় ৪.৭ শতাংশ ভোট। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মুখে জামায়াতের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের ২৫ শতাংশের সমর্থন এবং তাদের ভারতবিরোধী ভূমিকার ঘোষণায় শেখ হাসিনার সরকারকে জামায়াতের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এ কথা সত্য যে, জামায়াতের ভারত বিরোধিতা গোপন কোনো ব্যাপার নয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার বিষয়টিকে তাদের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে স্বীকার করেন। এমনকি সাংবাদিকরা যখনই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ১৯৭১ সালে তাদের পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনের কারণ জানতে চেয়েছেন, তারা বারবার একই উত্তর দিয়েছেন যে, তারা এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশেও ভারতীয় আগ্রাসনের আশঙ্কা থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন। জামায়াত নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রভাবশালী ধর্মীয়-রাজনৈতিক শক্তি, বাংলাদেশে যে শক্তির অস্তিত্ব ভারত কোনোভাবেই পছন্দ করতে পারে না। এটা অত্যন্ত বিস্ময়ের ব্যাপার যে, রহস্যজনক কারণে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ছোট-বড়, ডান-বাম, ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ দল কমবেশি ভারতবিরোধী। এই বিরোধিতা ভারতীয় জনগণ ও ভারতের প্রতি নয়, বিরোধিতা বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বিগ-ব্রাদারসুলভ নীতি ও আচরণের প্রতি। আওয়ামী গোষ্ঠী যখনই বেকায়দায় পড়ে, ভারতকে তাদের নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নেয়। জুলাই অভ্যুত্থানেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। শেখ হাসিনাসহ শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন। এতে কী প্রমাণিত হয় না যে, ভারতে কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, সবার কাছে আওয়ামী লীগ একমাত্র বিশ্বস্ত দল এবং সে জন্য তারাই তাদের আশ্রয়-প্রশয় পায় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বড় করে দেখে। সে কারণে শেখ হাসিনা বহুসংখ্যক মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত হলেও ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করার কোনো তাগিদ অনুভব করছে না। কারণ ভারত মুখে যাই বলুক না কেন তারা বাংলাদেশকে কখনো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমমর্যাদার রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে না।

লেখক : সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
সর্বশেষ খবর
হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন
হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

পেয়ারার পুষ্টিগুণ
পেয়ারার পুষ্টিগুণ

৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

মাদারীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে ফল উৎসব, শিশুদের উচ্ছ্বাস
মাদারীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে ফল উৎসব, শিশুদের উচ্ছ্বাস

৮ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

প্লান্টার ফাসাইটিস কী
প্লান্টার ফাসাইটিস কী

১৮ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

খুলেছে নগর ভবনের প্রধান ফটক, ভেতরে অবস্থান ইশরাক অনুসারীদের
খুলেছে নগর ভবনের প্রধান ফটক, ভেতরে অবস্থান ইশরাক অনুসারীদের

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘গুগল পে’ পেমেন্ট সেবার উদ্বোধন মঙ্গলবার
‘গুগল পে’ পেমেন্ট সেবার উদ্বোধন মঙ্গলবার

২৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?
ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস
পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সিডনিতে বুয়েট অ্যালামনাইয়ের ‘বিগেস্ট মর্নিং টি’
সিডনিতে বুয়েট অ্যালামনাইয়ের ‘বিগেস্ট মর্নিং টি’

৫২ মিনিট আগে | পরবাস

পাইরেসি নিয়ে শাকিবের কড়া বার্তা
পাইরেসি নিয়ে শাকিবের কড়া বার্তা

৫৪ মিনিট আগে | শোবিজ

ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাসুদ গ্রেফতার
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাসুদ গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেভাবে ‘পানিতে গুঁড়া হলুদ মেশানো’র ট্রেন্ডের শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়
যেভাবে ‘পানিতে গুঁড়া হলুদ মেশানো’র ট্রেন্ডের শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেফতার
সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ‘কলম বিরতি’ চলছে
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ‘কলম বিরতি’ চলছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিয়ানমার সীমান্তে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
মিয়ানমার সীমান্তে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই ৯৫ শিক্ষার্থীকে ভর্তির আহ্বান ছাত্রদলের
সেই ৯৫ শিক্ষার্থীকে ভর্তির আহ্বান ছাত্রদলের

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রের মদদে পুড়ছে তেহরান, সরব বলিউডের ইরানি অভিনেত্রী মান্দানা
যুক্তরাষ্ট্রের মদদে পুড়ছে তেহরান, সরব বলিউডের ইরানি অভিনেত্রী মান্দানা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ
ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কক্সবাজারে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ৩ রোহিঙ্গা আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি থেকে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ হাজি
সৌদি থেকে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ হাজি

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ
আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ছিনতাই করতো তারা
খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ছিনতাই করতো তারা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : প্রেস উইং
‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : প্রেস উইং

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুগঞ্জে ধান-চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে অভিযান, মিল মালিককে জরিমানা
আশুগঞ্জে ধান-চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে অভিযান, মিল মালিককে জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ায় গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত অন্তত ২০
সিরিয়ায় গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত অন্তত ২০

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'
'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র
হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’
‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ
তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি
পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!
নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান
আরও এক মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা
তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ
ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা
দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি
ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৈদ্যুতিক গোলযোগে হঠাৎ অন্ধকারে ঢাকার উল্লেখযোগ্য অংশ
বৈদ্যুতিক গোলযোগে হঠাৎ অন্ধকারে ঢাকার উল্লেখযোগ্য অংশ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে : আমীর খসরু
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে : আমীর খসরু

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬
করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬

১৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

যুক্তরাষ্ট্র গোটা অঞ্চলকে নিরাপত্তাহীন রাখতে চায়: পেজেশকিয়ান
যুক্তরাষ্ট্র গোটা অঞ্চলকে নিরাপত্তাহীন রাখতে চায়: পেজেশকিয়ান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি

সম্পাদকীয়

কী এই বি-২ বোমারু বিমান
কী এই বি-২ বোমারু বিমান

প্রথম পৃষ্ঠা

পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা
পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর
আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিশ কমছে যে কারণে
ইলিশ কমছে যে কারণে

পেছনের পৃষ্ঠা

‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস
‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট
আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা
সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা

প্রথম পৃষ্ঠা

রুপালি সম্পদের খনি হালদা
রুপালি সম্পদের খনি হালদা

পেছনের পৃষ্ঠা

কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার
কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার

নগর জীবন

তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

পেছনের পৃষ্ঠা

করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু
করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত
অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজ্জাকের হাসি আর থামে না
রাজ্জাকের হাসি আর থামে না

শোবিজ

বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের
বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া

সম্পাদকীয়

নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল
নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল

শোবিজ

মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার
মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার

মাঠে ময়দানে

আবারও রাজ-ফারিণ
আবারও রাজ-ফারিণ

শোবিজ

ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ
ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ

মাঠে ময়দানে

বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!
বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!

মাঠে ময়দানে

প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার হুমকি বিএনপি নেতার
প্রবাসীকে গুলি করে হত্যার হুমকি বিএনপি নেতার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা
২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা

মাঠে ময়দানে

দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি
দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি

মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ  টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে

মাঠে ময়দানে

এবার অপি-তাহসান
এবার অপি-তাহসান

শোবিজ

আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প
আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প

মাঠে ময়দানে

ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব
ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

মোবাইলের আলোতে চলল ট্রেন!
মোবাইলের আলোতে চলল ট্রেন!

পেছনের পৃষ্ঠা