শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫ আপডেট: ০০:৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি শরণার্থী অথবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সাফল্যে বিপদ দেখে তিনি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অতএব, কোনো বিশ্লেষণেই দালাইলামা ও শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ ও বসবাসের ঘটনা তুলনীয় নয়।

 

ভারত যে তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী দেশগুলোকে অধীনতার বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে চায় তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে- গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ না করায়। জানুয়ারি ২০২৫-এর প্রথম সপ্তাহে এ সংক্রান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো কূটনৈতিক পত্রের এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর না দিয়ে ভারত কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরও খেলাপ করেছে। বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করা সত্ত্বেও ভারত সরকার তার ভারতে অবস্থানের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যেন শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মতো কোনো তৎপরতা চালানো থেকে বিরত রাখেন। ভারত সরকার তাও করেনি। শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দান অব্যাহত রয়েছে এবং এর পরিণতিতে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগবিরোধী ছাত্র-জনতার ক্ষোভ আরেকবার জুলাই-আগস্ট ২০২৪ অভ্যুত্থানের পর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।

ভারতের বিজেপি সরকারের কোনো কোনো নেতা শেখ হাসিনার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের প্রশ্নে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া তো দূরের কথা, উল্টো বলেছেন যে, দালাইলামা ১৯৫৯ সাল থেকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে রয়েছেন, সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। ভারতের একশ্রেণির সংবাদপত্র ও টেলিভিশন শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের পক্ষে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিয়মিত উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। দালাইলামা এবং শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান আদৌ সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তার ওপর সামান্য আলোকপাত করা যেতে পারে। ১৯৫৯ সালে চীন তিব্বতকে বৃহত্তর চীনের সঙ্গে সংযুক্ত করার পর দালাইলামা তার অনুসারীদের নিয়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হন। তখন থেকে তিনি হিমাচলের ধর্মশালায় বসবাস করছেন একজন রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি হিসেবে। ধর্মশালায় আশ্রিত তিব্বতিদের সেন্ট্রাল তিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামে প্রবাসী সরকার আছে, যে সরকারের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগও রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি রাষ্ট্র তিব্বতকে চীন কর্তৃক অধিকৃত ভূখণ্ড বললেও প্রবাসী তিব্বতি সরকারকে এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি। দালাইলামাসহ ভারতে আশ্রিত তিব্বতিদের বিদেশে যেতে হলে ভারতের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে হয়। 

দালাইলামা তার স্বাধীন রাষ্ট্র হারিয়ে চীনের নিগ্রহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি কোনো মানবতাবিরোধী অথবা ফৌজদারি অপরাধ ঘটিয়ে ভারতে আসেননি। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ শাসনকালে প্রতিপক্ষের ওপর হত্যা, গুম, নিপীড়ন, বছরের পর বছর বিনাবিচারে আটক রাখা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের মতো অপরাধ সংঘটন ছাড়াও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে এমন সব অপরাধ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বিচারযোগ্য। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ও তার অপরাধের দোসরদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) বহুসংখ্যক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বেশ কিছু মামলার তদন্ত চলছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি শরণার্থী অথবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সাফল্যে বিপদ দেখে তিনি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অতএব, কোনো বিশ্লেষণেই দালাইলামা ও শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ ও বসবাসের ঘটনা তুলনীয় নয়। শেখ হাসিনা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ আইন অনুসারেই ভারতের উচিত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিয়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দেওয়া।

কিন্তু ভারত এখনো তা করেনি। বরং শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ সরকার যে চিঠি ভারত সরকারের কাছে পাঠিয়েছে, তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন পর্যন্ত বোধ করেনি। ভারতের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই দায়িত্বশীল কূটনৈতিক ও সৎ প্রতিবেশীসুলভ বলা যেতে পারে না। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদে বাংলাদেশে কী ধরনের অপরাধ ঘটেছে তা ভারতের নখদর্পণে। ইতিপূর্বে ভারতীয় শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশ ভারতের রাডার আওতায়। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে প্রত্যর্পণ না করার ভারতীয় নীরবতা অথবা একগুঁয়েমির মনোভাবে কী এটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে না যে, ভারত প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার ব্যাপারে যত না আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি আগ্রহী একটি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে। কারণ এই বিশেষ পরিবারটি ভারতকে যে সুবিধা দিয়েছে, তা অতীতে বাংলাদেশের আর কোনো সরকার দেয়নি। এ কথা ২০১৮ সালে বলেছেন বাংলাদেশের ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি ঢাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, সেটি তারা সারা জীবন মনে রাখবে। আমি কারও কাছে কোনো প্রতিদান চাই না। আমি নিতে পছন্দ করি না। সব সময় অন্যকে দিতে বেশি পছন্দ করি। (বাংলা ট্রিবিউন, ৩০ মে, ২০১৮)

শেখ হাসিনা ভারতকে কী কী দিয়েছিলেন তার বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি, সাংবাদিকদের কেউ সেই তালিকা জানতে চাওয়ার সাহস করেননি। সংবাদ সম্মেলনটি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হলেও শেখ হাসিনা ভারতকে সুবিধা দিতে শুরু করেছিলেন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকেই। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার মাত্র এক মাস পর ঢাকার পিলখানায় সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর হেড কোয়ার্টার্সে তথাকথিত বিদ্রোহ ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেলসহ ৫৭ জন অফিসারকে হত্যার ঘটনা যে ভারতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটেছে, তা এখন স্পষ্ট। বিদ্রোহের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে বিডিআরকে কার্যত ভেঙে কয়েক শ বিডিআর সদস্যকে হত্যা ও বিদ্রোহে জড়িত অভিযোগে বিচারের নামে আরও কয়েক হাজার সদস্যকে আটকে নির্যাতন চালিয়ে অবশিষ্ট বিডিআর সদস্যের মনোবল ধ্বংস করে এ বাহিনীর নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), তাও ভারতের পরামর্শে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় তা বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কিছু উপদেষ্টাকে দোষারোপ করেন যে, তারা নিয়মিত ভারতবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। ১৯৭১ সালকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট হিসেবে বর্ণনা করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বৃদ্ধির উল্লেখ করেন, যা তার মতে ভারতের চিন্তাকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, এটা এমন এক বিষয়, যা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয় এবং আমরা তা বলছি। কিন্তু অব্যাহতভাবে যদি এমন বার্তা বা সংকেত দেওয়া হয়, যা ভারতের প্রতি শত্রুতামূলক, তাহলে সেটি অবশ্যই আমাদের ভালো লাগবে না। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায় তা ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক চাই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। বিভিন্নজনের আপত্তিকর কথা সম্পর্কিত জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এ ধরনের কথা তাদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পারলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ ফোর্স পাঠিয়ে দেন। তাদের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সব সময় বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এসব চলতে থাকবে ধরে নিয়েই আমরা সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছি। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বক্তব্য ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের ক্ষতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো করতে গেলে, আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় আতিথেয়তায় থেকে নানা কথা বলে আগুনে ঘি ঢালছেন, এটা ভারতকে বুঝতে হবে। জয়শঙ্করের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, এ অভিযোগ প্রধানত ভারতীয় মিডিয়ার তথ্য বিকৃতি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের বিশেষ ভাবনার বিষয় হতে পারে না।

 

শেখ হাসিনাসহ শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন। এতে কী প্রমাণিত হয় না যে, ভারতে কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, সবার কাছে আওয়ামী লীগ একমাত্র বিশ্বস্ত দল এবং সে জন্য তারাই তাদের আশ্রয়-প্রশয় পায় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বড় করে দেখে...

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত কীভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং বাংলাদেশে তাদের অনুগত কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে সেই সরকারকে কীভাবে ভারতের স্বার্থে কাজ করতে কাজে লাগায়, তার বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন কিছুদিন আগে পরলোকগত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর তাদের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অজুহাত দেখিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করে। তারা জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং প্রস্তাবের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করে। তারা জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির বেশ কজন নেতাকে গ্রেফতার করে। যেসব অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়, কোনোটাই মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল না। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ একে একে আনা হয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পর।

জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগের ক্ষোভ ছিল কারণ ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করেছিল এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। এর আগে আওয়ামী লীগ আশা করেছিল এবং চেষ্টাও করেছিল যেন জামায়াত ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনের মতো ২০০১ সালেও এককভাবে নির্বাচন করে তাদের আবারও সরকার গঠনের সুযোগ করে দেয়। জামায়াত ১৯৯৬ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৯৭৫ সালে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছিল। জামায়াত ও বিএনপি উভয় দলই তাদের ভুল বুঝতে পেরে ২০০১ সালেও জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ দেশ থেকে তাদের সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তার প্রথম ধাপ ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের বিচার ও চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগের প্রধান টার্গেট ছিল তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। সারা দেশে জামায়াত নেতাদের ঢালাও ধরপাকড়ের উদ্দেশ্য ছিল ঝি মেরে বউ শাসন করার কৌশলে বিএনপি সাইজ করা।

কিন্তু সম্ভবত এতটুকুতে ভারতের নীতিনির্ধারকগণ সন্তুষ্ট ছিলেন না। তারা ভ্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগে বাংলাদেশ থেকে ভারতবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তারা ব্যবহার করেন নিরীহদর্শন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে দিল্লির প্রধান দৈনিকগুলোর সম্পাদকদের কাছে মনমোহন সিং বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ ভারতবিরোধী এবং রাজনৈতিকভাবে যারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত, যারা অনেক সময় পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর সঙ্গে যোগসাজশ করে কাজ করে। জামায়াত সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে যারা ব্রিফ করেছিলেন, তারা হয় বাস্তবতা থেকে দূরে ছিলেন অথবা তারা জেনে বুঝে আওয়ামী লীগ সরকারকে দিয়ে ভারতবিরোধী শক্তির কোমর ভেঙে দিয়ে জামায়াতের বিপুল জনসমর্থনের জুজু দেখিয়েছিলেন। অথচ বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে এযাবৎ যতগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে জামায়াত সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়েছিল ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে। দলটি ওই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮.৬১ শতাংশ লাভ করেছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত পায় ৪.২ শতাংশ ভোট এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে পায় ৪.৭ শতাংশ ভোট। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মুখে জামায়াতের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের ২৫ শতাংশের সমর্থন এবং তাদের ভারতবিরোধী ভূমিকার ঘোষণায় শেখ হাসিনার সরকারকে জামায়াতের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এ কথা সত্য যে, জামায়াতের ভারত বিরোধিতা গোপন কোনো ব্যাপার নয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার বিষয়টিকে তাদের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে স্বীকার করেন। এমনকি সাংবাদিকরা যখনই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ১৯৭১ সালে তাদের পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনের কারণ জানতে চেয়েছেন, তারা বারবার একই উত্তর দিয়েছেন যে, তারা এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশেও ভারতীয় আগ্রাসনের আশঙ্কা থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন। জামায়াত নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রভাবশালী ধর্মীয়-রাজনৈতিক শক্তি, বাংলাদেশে যে শক্তির অস্তিত্ব ভারত কোনোভাবেই পছন্দ করতে পারে না। এটা অত্যন্ত বিস্ময়ের ব্যাপার যে, রহস্যজনক কারণে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ছোট-বড়, ডান-বাম, ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ দল কমবেশি ভারতবিরোধী। এই বিরোধিতা ভারতীয় জনগণ ও ভারতের প্রতি নয়, বিরোধিতা বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বিগ-ব্রাদারসুলভ নীতি ও আচরণের প্রতি। আওয়ামী গোষ্ঠী যখনই বেকায়দায় পড়ে, ভারতকে তাদের নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নেয়। জুলাই অভ্যুত্থানেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। শেখ হাসিনাসহ শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন। এতে কী প্রমাণিত হয় না যে, ভারতে কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, সবার কাছে আওয়ামী লীগ একমাত্র বিশ্বস্ত দল এবং সে জন্য তারাই তাদের আশ্রয়-প্রশয় পায় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বড় করে দেখে। সে কারণে শেখ হাসিনা বহুসংখ্যক মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত হলেও ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করার কোনো তাগিদ অনুভব করছে না। কারণ ভারত মুখে যাই বলুক না কেন তারা বাংলাদেশকে কখনো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমমর্যাদার রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে না।

লেখক : সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
সর্বশেষ খবর
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন

নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

নগর জীবন