শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫ আপডেট: ০০:৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেওয়া উচিত

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি শরণার্থী অথবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সাফল্যে বিপদ দেখে তিনি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অতএব, কোনো বিশ্লেষণেই দালাইলামা ও শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ ও বসবাসের ঘটনা তুলনীয় নয়।

 

ভারত যে তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী দেশগুলোকে অধীনতার বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে চায় তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে- গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ না করায়। জানুয়ারি ২০২৫-এর প্রথম সপ্তাহে এ সংক্রান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো কূটনৈতিক পত্রের এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর না দিয়ে ভারত কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরও খেলাপ করেছে। বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করা সত্ত্বেও ভারত সরকার তার ভারতে অবস্থানের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যেন শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মতো কোনো তৎপরতা চালানো থেকে বিরত রাখেন। ভারত সরকার তাও করেনি। শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দান অব্যাহত রয়েছে এবং এর পরিণতিতে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগবিরোধী ছাত্র-জনতার ক্ষোভ আরেকবার জুলাই-আগস্ট ২০২৪ অভ্যুত্থানের পর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।

ভারতের বিজেপি সরকারের কোনো কোনো নেতা শেখ হাসিনার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের প্রশ্নে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া তো দূরের কথা, উল্টো বলেছেন যে, দালাইলামা ১৯৫৯ সাল থেকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে রয়েছেন, সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। ভারতের একশ্রেণির সংবাদপত্র ও টেলিভিশন শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের পক্ষে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিয়মিত উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। দালাইলামা এবং শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান আদৌ সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তার ওপর সামান্য আলোকপাত করা যেতে পারে। ১৯৫৯ সালে চীন তিব্বতকে বৃহত্তর চীনের সঙ্গে সংযুক্ত করার পর দালাইলামা তার অনুসারীদের নিয়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হন। তখন থেকে তিনি হিমাচলের ধর্মশালায় বসবাস করছেন একজন রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি হিসেবে। ধর্মশালায় আশ্রিত তিব্বতিদের সেন্ট্রাল তিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামে প্রবাসী সরকার আছে, যে সরকারের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগও রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি রাষ্ট্র তিব্বতকে চীন কর্তৃক অধিকৃত ভূখণ্ড বললেও প্রবাসী তিব্বতি সরকারকে এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি। দালাইলামাসহ ভারতে আশ্রিত তিব্বতিদের বিদেশে যেতে হলে ভারতের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে হয়। 

দালাইলামা তার স্বাধীন রাষ্ট্র হারিয়ে চীনের নিগ্রহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি কোনো মানবতাবিরোধী অথবা ফৌজদারি অপরাধ ঘটিয়ে ভারতে আসেননি। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ শাসনকালে প্রতিপক্ষের ওপর হত্যা, গুম, নিপীড়ন, বছরের পর বছর বিনাবিচারে আটক রাখা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের মতো অপরাধ সংঘটন ছাড়াও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে এমন সব অপরাধ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বিচারযোগ্য। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ও তার অপরাধের দোসরদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) বহুসংখ্যক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বেশ কিছু মামলার তদন্ত চলছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি শরণার্থী অথবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সাফল্যে বিপদ দেখে তিনি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অতএব, কোনো বিশ্লেষণেই দালাইলামা ও শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণ ও বসবাসের ঘটনা তুলনীয় নয়। শেখ হাসিনা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ আইন অনুসারেই ভারতের উচিত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিয়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দেওয়া।

কিন্তু ভারত এখনো তা করেনি। বরং শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ সরকার যে চিঠি ভারত সরকারের কাছে পাঠিয়েছে, তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন পর্যন্ত বোধ করেনি। ভারতের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই দায়িত্বশীল কূটনৈতিক ও সৎ প্রতিবেশীসুলভ বলা যেতে পারে না। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদে বাংলাদেশে কী ধরনের অপরাধ ঘটেছে তা ভারতের নখদর্পণে। ইতিপূর্বে ভারতীয় শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশ ভারতের রাডার আওতায়। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে প্রত্যর্পণ না করার ভারতীয় নীরবতা অথবা একগুঁয়েমির মনোভাবে কী এটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে না যে, ভারত প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার ব্যাপারে যত না আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি আগ্রহী একটি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে। কারণ এই বিশেষ পরিবারটি ভারতকে যে সুবিধা দিয়েছে, তা অতীতে বাংলাদেশের আর কোনো সরকার দেয়নি। এ কথা ২০১৮ সালে বলেছেন বাংলাদেশের ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি ঢাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, সেটি তারা সারা জীবন মনে রাখবে। আমি কারও কাছে কোনো প্রতিদান চাই না। আমি নিতে পছন্দ করি না। সব সময় অন্যকে দিতে বেশি পছন্দ করি। (বাংলা ট্রিবিউন, ৩০ মে, ২০১৮)

শেখ হাসিনা ভারতকে কী কী দিয়েছিলেন তার বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি, সাংবাদিকদের কেউ সেই তালিকা জানতে চাওয়ার সাহস করেননি। সংবাদ সম্মেলনটি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হলেও শেখ হাসিনা ভারতকে সুবিধা দিতে শুরু করেছিলেন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকেই। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার মাত্র এক মাস পর ঢাকার পিলখানায় সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর হেড কোয়ার্টার্সে তথাকথিত বিদ্রোহ ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেলসহ ৫৭ জন অফিসারকে হত্যার ঘটনা যে ভারতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটেছে, তা এখন স্পষ্ট। বিদ্রোহের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে বিডিআরকে কার্যত ভেঙে কয়েক শ বিডিআর সদস্যকে হত্যা ও বিদ্রোহে জড়িত অভিযোগে বিচারের নামে আরও কয়েক হাজার সদস্যকে আটকে নির্যাতন চালিয়ে অবশিষ্ট বিডিআর সদস্যের মনোবল ধ্বংস করে এ বাহিনীর নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), তাও ভারতের পরামর্শে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় তা বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কিছু উপদেষ্টাকে দোষারোপ করেন যে, তারা নিয়মিত ভারতবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। ১৯৭১ সালকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট হিসেবে বর্ণনা করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বৃদ্ধির উল্লেখ করেন, যা তার মতে ভারতের চিন্তাকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, এটা এমন এক বিষয়, যা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয় এবং আমরা তা বলছি। কিন্তু অব্যাহতভাবে যদি এমন বার্তা বা সংকেত দেওয়া হয়, যা ভারতের প্রতি শত্রুতামূলক, তাহলে সেটি অবশ্যই আমাদের ভালো লাগবে না। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায় তা ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক চাই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। বিভিন্নজনের আপত্তিকর কথা সম্পর্কিত জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এ ধরনের কথা তাদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পারলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ ফোর্স পাঠিয়ে দেন। তাদের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সব সময় বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এসব চলতে থাকবে ধরে নিয়েই আমরা সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছি। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বক্তব্য ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের ক্ষতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো করতে গেলে, আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় আতিথেয়তায় থেকে নানা কথা বলে আগুনে ঘি ঢালছেন, এটা ভারতকে বুঝতে হবে। জয়শঙ্করের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, এ অভিযোগ প্রধানত ভারতীয় মিডিয়ার তথ্য বিকৃতি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের বিশেষ ভাবনার বিষয় হতে পারে না।

 

শেখ হাসিনাসহ শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন। এতে কী প্রমাণিত হয় না যে, ভারতে কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, সবার কাছে আওয়ামী লীগ একমাত্র বিশ্বস্ত দল এবং সে জন্য তারাই তাদের আশ্রয়-প্রশয় পায় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বড় করে দেখে...

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত কীভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং বাংলাদেশে তাদের অনুগত কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে সেই সরকারকে কীভাবে ভারতের স্বার্থে কাজ করতে কাজে লাগায়, তার বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন কিছুদিন আগে পরলোকগত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর তাদের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অজুহাত দেখিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করে। তারা জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং প্রস্তাবের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করে। তারা জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির বেশ কজন নেতাকে গ্রেফতার করে। যেসব অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়, কোনোটাই মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল না। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ একে একে আনা হয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পর।

জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগের ক্ষোভ ছিল কারণ ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করেছিল এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। এর আগে আওয়ামী লীগ আশা করেছিল এবং চেষ্টাও করেছিল যেন জামায়াত ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনের মতো ২০০১ সালেও এককভাবে নির্বাচন করে তাদের আবারও সরকার গঠনের সুযোগ করে দেয়। জামায়াত ১৯৯৬ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৯৭৫ সালে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছিল। জামায়াত ও বিএনপি উভয় দলই তাদের ভুল বুঝতে পেরে ২০০১ সালেও জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ দেশ থেকে তাদের সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তার প্রথম ধাপ ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের বিচার ও চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগের প্রধান টার্গেট ছিল তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। সারা দেশে জামায়াত নেতাদের ঢালাও ধরপাকড়ের উদ্দেশ্য ছিল ঝি মেরে বউ শাসন করার কৌশলে বিএনপি সাইজ করা।

কিন্তু সম্ভবত এতটুকুতে ভারতের নীতিনির্ধারকগণ সন্তুষ্ট ছিলেন না। তারা ভ্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগে বাংলাদেশ থেকে ভারতবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তারা ব্যবহার করেন নিরীহদর্শন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে দিল্লির প্রধান দৈনিকগুলোর সম্পাদকদের কাছে মনমোহন সিং বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ ভারতবিরোধী এবং রাজনৈতিকভাবে যারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত, যারা অনেক সময় পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর সঙ্গে যোগসাজশ করে কাজ করে। জামায়াত সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে যারা ব্রিফ করেছিলেন, তারা হয় বাস্তবতা থেকে দূরে ছিলেন অথবা তারা জেনে বুঝে আওয়ামী লীগ সরকারকে দিয়ে ভারতবিরোধী শক্তির কোমর ভেঙে দিয়ে জামায়াতের বিপুল জনসমর্থনের জুজু দেখিয়েছিলেন। অথচ বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে এযাবৎ যতগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে জামায়াত সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়েছিল ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে। দলটি ওই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮.৬১ শতাংশ লাভ করেছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত পায় ৪.২ শতাংশ ভোট এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে পায় ৪.৭ শতাংশ ভোট। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মুখে জামায়াতের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের ২৫ শতাংশের সমর্থন এবং তাদের ভারতবিরোধী ভূমিকার ঘোষণায় শেখ হাসিনার সরকারকে জামায়াতের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এ কথা সত্য যে, জামায়াতের ভারত বিরোধিতা গোপন কোনো ব্যাপার নয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার বিষয়টিকে তাদের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে স্বীকার করেন। এমনকি সাংবাদিকরা যখনই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ১৯৭১ সালে তাদের পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনের কারণ জানতে চেয়েছেন, তারা বারবার একই উত্তর দিয়েছেন যে, তারা এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশেও ভারতীয় আগ্রাসনের আশঙ্কা থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন। জামায়াত নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রভাবশালী ধর্মীয়-রাজনৈতিক শক্তি, বাংলাদেশে যে শক্তির অস্তিত্ব ভারত কোনোভাবেই পছন্দ করতে পারে না। এটা অত্যন্ত বিস্ময়ের ব্যাপার যে, রহস্যজনক কারণে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ছোট-বড়, ডান-বাম, ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ দল কমবেশি ভারতবিরোধী। এই বিরোধিতা ভারতীয় জনগণ ও ভারতের প্রতি নয়, বিরোধিতা বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বিগ-ব্রাদারসুলভ নীতি ও আচরণের প্রতি। আওয়ামী গোষ্ঠী যখনই বেকায়দায় পড়ে, ভারতকে তাদের নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নেয়। জুলাই অভ্যুত্থানেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। শেখ হাসিনাসহ শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় পেয়েছেন। এতে কী প্রমাণিত হয় না যে, ভারতে কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, সবার কাছে আওয়ামী লীগ একমাত্র বিশ্বস্ত দল এবং সে জন্য তারাই তাদের আশ্রয়-প্রশয় পায় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বড় করে দেখে। সে কারণে শেখ হাসিনা বহুসংখ্যক মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত হলেও ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করার কোনো তাগিদ অনুভব করছে না। কারণ ভারত মুখে যাই বলুক না কেন তারা বাংলাদেশকে কখনো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমমর্যাদার রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে না।

লেখক : সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
নিরন্তর বিপ্লবী নজরুল
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্জিত হোক জাতির প্রকৃত মুক্তি
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
আন্দোলনের পথ ও প্রাপ্তি
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লব ও রাষ্ট্র সংস্কার
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের অবদান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বরিশাল
আশা-নিরাশার দোলা
আশা-নিরাশার দোলা
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
প্রফেসর মানুষ এভাবে স্লোগান দেয় নাকি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজনীতি
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
এক অজানা ভয় মিডিয়ার গতি রোধ করছে
সর্বশেষ খবর
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ

৫৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!
মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা
বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিংড়ায় চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি
সিংড়ায় চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ
সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

খাগড়াছড়িতে ইমাম-ওলামাদের নিয়ে মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে ইমাম-ওলামাদের নিয়ে মতবিনিময়

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীরও একদিন মরে যেতে হবে!
পৃথিবীরও একদিন মরে যেতে হবে!

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রংপুরে ‘ক্লান্ত হিমালয়’ গৃধিনী শকুন উদ্ধার
রংপুরে ‘ক্লান্ত হিমালয়’ গৃধিনী শকুন উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা
বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০১ শিক্ষকের নামে ভুয়া বিবৃতি
১০০১ শিক্ষকের নামে ভুয়া বিবৃতি

পেছনের পৃষ্ঠা

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে