শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫ আপডেট: ০০:৪৬, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
প্রিন্ট ভার্সন
শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ
সংস্কৃতি সতত পরিবর্তনশীল, যদিও এ পরিবর্তনটি খুব সহজে বা সর্বৈব দৃশ্যমান উপায়ে ঘটে না। সংস্কৃতির ভিতরের সময়টি খুব দীর্ঘ এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনশীলতার পেছনে কার্যকর শিক্ষা...

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। আমাদের দেশে যে কোনো সংবাদপত্রের জন্য একটি বছর পার করাও এখন উদযাপনের মতো একটি বিষয়, এমনকি যেসব সংবাদপত্র অনলাইনে প্রকাশিত হয়, সেগুলোর জন্যও। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৫ বছর বিরতিহীনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সংবাদপত্রটিকে এবং এর পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন।

একটি সংবাদপত্র চালু রাখতে বিনিয়োগের দরকার। সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী ছাড়াও অনেকের অংশগ্রহণে একটি সংবাদপত্র গতি পায়। এর প্রকাশের পেছনে প্রত্যেকেরই একটি ভূমিকা থাকে। এবং মাস শেষে এরা যদি সম্মানজনক বেতন-ভাতা না পান, তাহলে সংবাদপত্রটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। হয়তো এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য ওই বিনিয়োগের প্রয়োজন। কিন্তু যিনি বিনিয়োগ করবেন, বাজারের সূত্র মেনে বিনিয়োগের অংকটি তাঁকে ফেরত পেতে হয়, অন্তত যাতে তিনি লোকসানে না পড়েন, সে ব্যবস্থাটি থাকতে হয়। সেজন্য সংবাদপত্রটির কাটতি থাকতে হয়, ভালো বিজ্ঞাপন পেতে হয়। এ দুই ক্ষেত্রেই হাতে গোনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছাড়া অবস্থাটি প্রতিকূল। বাংলাদেশ প্রতিদিন কয়েকটি কারণে এ প্রতিকূলতা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম কারণটি হচ্ছে, এর ভালো সাংবাদিকতা, দ্বিতীয়টি এর পাঠকপ্রিয়তা। আমি এ সংবাদপত্রটির একজন পাঠক, এর আর্থিক সঙ্গতি এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আমার কোনো ধারণা থাকার কথা নয়। তবে আমি অনুমান করতে পারি, এর সাংবাদিক এবং অন্য কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে এ সংবাদপত্রটির পথচলা নিশ্চিত করছেন। আমি আশা করব, আগামীতে এ পথচলা আরও গতিশীল হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমি মাঝেমধ্যে শিক্ষা নিয়ে লিখেছি। আমি দেখেছি শিক্ষাকে এবং শিক্ষার সংস্কৃতিকে- যা শিক্ষার্থীর মন আলোকিত করে, তার মনের দরজা-জানালাগুলো খুলে দেয় এ সংবাদপত্রটি গুরুত্ব সহকারে। আমাকে যখন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমার পছন্দের একটি বিষয় নিয়ে লিখতে অনুরোধ করা হলো, আমি শিক্ষার সংস্কৃতি বিষয়টি বেছে নিলাম।

২. শিক্ষা বিষয়টা পরিশ্রমের, চর্চার। শিক্ষাদানে পরিশ্রম আছে, শিক্ষা গ্রহণেও আছে- এ পরিশ্রমের কায়িক অংশটি গুরুতর নয় ইটভাঙা অথবা লঞ্চঘাটে মাল টানা অনেক বেশি পরিশ্রমের। কিন্তু শিক্ষার শ্রম অংশটি আসে মেধা ও মননের অঞ্চল থেকে। অনেক পুরনো চিন্তা, মত, সংস্কার, অভ্যাস ও চর্চাকে বদলানোর মধ্যেই নিহিত শিক্ষার শ্রম। এ শ্রম দিতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরাই শিক্ষার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করতে পারেন। সংস্কৃতি কোনো জড় পদার্থ নয়; এটি একবারে অর্জন করা ও অপরিবর্তনশীল কোনো সামাজিক চর্চা নয়। সংস্কৃতি সতত পরিবর্তনশীল, যদিও এ পরিবর্তনটি খুব সহজে বা সর্বৈব দৃশ্যমান উপায়ে ঘটে না। সংস্কৃতির ভিতরের সময়টি খুব দীর্ঘ এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনশীলতার পেছনে কার্যকর শিক্ষা। বিষয়টা একটু ঘুরিয়ে নিলে এরকম বলা যায় : সংস্কৃতির গতিশীলতার পেছনে আছে শিক্ষা, যেমন শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ করে সংস্কৃতি। এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্কটি খুবই ঘনিষ্ঠ।

কিন্তু শিক্ষা বলতে যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথাই শুধু উল্লেখ করা হয়, তাহলে আমরা একটি বড় ভুল করব। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই

গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া জগতে আমরা অচল। জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের অধিকার এ শিক্ষাই আমাদের দেয়; কিন্তু কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই পূর্ণ হয় না, যদি তাতে যুক্ত না হয় সাংস্কৃতিক শিক্ষা। সাংস্কৃতিক শিক্ষা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় দিতে পারে না, বরং এর বিরুদ্ধ শিক্ষাই তারা দেয় মাঝে মাঝে। সাংস্কৃতিক শিক্ষা দেয় পরিবার ও সমাজ- প্রধানত পরিবার। তবে এক্ষেত্রে মিডিয়ারও একটা ক্রমবর্ধমান ভূমিকা দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে আমাদের সংস্কৃতির মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভিনদেশি কোনো সংস্কৃতি এবং নানা অপসংস্কৃতির প্রচারের বিরুদ্ধে মিডিয়া কাজ করতে পারে। এ অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে পশ্চিমা দৃশ্যমাধ্যম, ইন্টারনেট প্রযুক্তি, টিকটক এবং এ ধরনের কিছু ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম। মিডিয়ার পক্ষে সম্ভব সমাজে এসবের বিপরীতে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা ও প্রতিপালনের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করা। পরিবার এবং সমাজ থেকে শিক্ষার সঙ্গে ভালোমন্দ বিচারের ক্ষমতা এবং নান্দনিকতার পাঠ না পেলে একজন শিক্ষার্থী কখনো সম্পূর্ণরূপে গড়ে উঠতে পারে না। তথাকথিত অশিক্ষিত মানুষও পরিবার থেকে সাংস্কৃতিক শিক্ষা পেলে তথাকথিত অনেক শিক্ষিত মানুষ থেকে বেশি শিক্ষিত হতে পারে। যেহেতু শিক্ষার সংস্কৃতিকে সে গ্রহণ করে অনেক সহজে।

সাংবাদিকসাংস্কৃতিক শিক্ষা এবং শিক্ষার সংস্কৃতির মধ্যে যোগসূত্রটি এই যে, উভয় ক্ষেত্রে মানুষ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো প্রাধান্য পায়। এ উপাদানগুলোর মধ্যে যেগুলো অবশ্য প্রয়োজনীয়- অর্থাৎ যেগুলোর অভাবে শিক্ষা, শিক্ষা হয় না, তা হচ্ছে মূল্যবোধ, রুচি এবং হৃদয়ের প্রসারতা। আমরা প্রতিদিনের দিনযাপনে সংকীর্ণতাটাই বেশি দেখি- প্রসারতা, গভীরতা দেখি না। স্বার্থপরতা, অহমিকা হচ্ছে এ সংকীর্ণতা; আর একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সহনশীল এবং প্রজ্ঞাবান দৃষ্টি, নিজের বাইরে অন্যের দিকে, সমাজের দিকে মনোযোগী হওয়া হচ্ছে প্রসারতার লক্ষণ। শিক্ষার উদ্দেশ্য মুখস্থবিদ্যা পারদর্শী কিছু তোতাপাখি সৃষ্টি নয়; বরং যুক্তিতর্ক ও বিচার বোধসম্পন্ন মনন সৃষ্টি করা। বলা হয়ে থাকে- পশ্চিমে আধুনিক যুগ শুরু হয়েছে পঞ্চদশ শতাব্দীর রেনেসাঁস-এর সময় থেকে এবং এর পরিপূর্ণতা এসেছে অষ্টাদশ শতকের এনলাইটেনমেন্ট বা জ্ঞানালোক প্রাপ্তিকালে। এ সময়ে মানুষ নিজের মধ্যে বিশ্বকে অবলোকন করেছে, প্রশ্ন করেছে, সংস্কার ও অন্ধ প্রচলকে ভেঙেছে। বস্তুত যে মানুষ প্রশ্ন করতে জানে না, যুক্তি-বিচার ছাড়া অন্ধভাবে সবকিছু গ্রহণ করে, আবেগটাকেই সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখে, সে আধুনিক মানুষ নয়। শিক্ষার সংস্কৃতি হচ্ছে এ আধুনিক মনস্কতাকে গ্রহণ করা। শিক্ষার সংস্কৃতি হচ্ছে ভালো-মন্দ, শুভ-অশুভের বিশ্লেষণ ও পার্থক্য করতে শেখা এবং নান্দনিক দৃষ্টির অধিকারী হওয়া। এ সংস্কৃতি আমাদের শিক্ষায় অনেকটা ঠোঁট সেবার মতো দেওয়া হয় বটে; কিন্তু প্রকৃত পাঠটি গ্রহণ করা এবং পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে হৃদয়ে তা ধারণ করা ব্যাপক ব্যাপার। আমাদের দেশে দুর্নীতিচিত্র নিয়ে অনেক প্রতিবেদন বেরিয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও গবেষণা সংস্থার প্রকাশনায়। একটি চাঞ্চল্যকর যদিও সবার জানা সত্য বেরিয়ে এসেছে কোনো কোনো প্রতিবেদনে : দুর্নীতির প্রায় নব্বই ভাগের জন্য দায়ী তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, ঘুষ নেওয়া যে খারাপ কাজ, কাজে ফাঁকি দেওয়া যে দুর্নীতি, সে বিষয়টি নিয়েও এখন কেউ প্রশ্ন তোলে না। মানুষের সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করা, খারাপ আচরণ করা, মানুষকে অকারণে বিপদে ফেলা, এসব অনৈতিকতাকেও আমরা সয়ে নিয়েছি। এ জন্য সকালে সংবাদপত্রে ভয়ানক সব অন্যায়-অবিচারের খবর পড়েও আমরা নিশ্চিত ও প্রফুল্ল মনে অফিসে যাই, স্কুল-আদালতে যাই। আমরা শিক্ষা পেয়েছি, পেয়ে যাচ্ছি, কিন্তু শিক্ষার সংস্কৃতি রয়ে গেছে আমাদের নাগালের বাইরে।

শিক্ষার সংস্কৃতিই সভ্যতাকে নির্মাণ করে এবং ভিত্তিটি গেঁথে এর দরদালান তুলে দেয়। শিক্ষা মানুষের মধ্যে সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি করতে পারে না, যদি না এজন্য একটি আবহ তৈরি থাকে। এটি করে সমাজ, জনগোষ্ঠী। সমাজ তার দীর্ঘদিনের চর্চায় এবং একটি গ্রহণ ও বর্জন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৌন্দর্যের উপাদানগুলো ছেঁকে আনে। একটি জাতি যদি শিক্ষার সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেয়, দেখা যাবে সেই জাতির সব কাজেই সৌন্দর্য রয়েছে। সে জাতির দৈনন্দিন জীবনাচরণে, আহার গ্রহণে, ঘর সাজানোতে, শহর পরিকল্পনায়, শিশুদের লালন-পালনে অর্থাৎ সর্ব ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে। আমাদের ক্ষেত্রে ঘটে এর বিপরীত। আমরা কি জোর দিয়ে বলতে পারব, সেই সৌন্দর্য আমাদের মধ্যে আছে? যে মানুষ জঙ্গলের গাছ কেটে চোরাই বাজারে পাঠায়, যে অকাতরে বৃক্ষনিধন করে, পাহাড় কাটে, জলাভূমি ভরাট করে জবরদখল করে, সে কি শিশুদের এমনকি তার নিজের সন্তানদের ভালোবাসে? নাকি সে ভালোবাসে কেবল নিজেকেই এবং তার স্বার্থকে? সে বুঝতে পারে না এ অনাদরে কী সর্বনাশ করছে প্রকৃতির, সভ্যতার। সেটি যখন সে বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।

একইভাবে যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নেয় সমস্যা সমাধানের জন্য, যুক্তিতর্ককে আমলে আনে না তারাও সমাজ, প্রকৃতি এবং সভ্যতার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, এর সংখ্যা বাড়ছে এবং এদের নিয়েই থাকতে হচ্ছে আমাদের। এদের কেউ কেউ শিক্ষা পেয়েছে; কিন্তু শিক্ষার সংস্কৃতি এদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।

অন্য দুঃখজনক সত্য হচ্ছে এই, আমাদের মুখস্থবিদ্যানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতি পুরোপুরি অবহেলিত। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতিটা আমার একেবারেই মনোপুত নয়। এ ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীর সৃজনশীলতা মোটেই উৎসাহিত হয় না। হয় শুধু মুখস্থ করার মনোবৃত্তি। অন্যের লেখা জিনিস মুখস্থ করে প্রথম-দ্বিতীয় হওয়ায় কী গৌরব? আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতাটাই মুখ্য, অথচ আদর্শ হওয়া উচিত নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। নিজের ষোল আনা মেধা ও মনীষাকে কাজে লাগানোর প্রতিযোগিতা। পাঁচজন প্রাইভেট টিউটর রেখে আঠারো ঘণ্টা পাঠ মুখস্থ করে ফার্স্ট হওয়ায় কোনো বড় কৃতিত্ব নেই, যতটা আছে নিজের সৃজনশীল ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করায়। যারা নিজেদের মেধার চর্চা করে, পাঠ্যবইয়ের অতিরিক্ত বই পাঠে সময় ব্যয় করে, লেখালেখির চেষ্টা করে, সমাজের মানুষের কথা ভাবে, যাদের আচরণে গরিব মানুষ ব্যথা পায় না, সন্তুষ্ট হয় বরং; যারা নিজেদের স্বার্থকে প্রধান করে না, যাদের মধ্যে সৌন্দর্যবোধ প্রবল তারা প্রত্যেকে নিজস্ব পথে শিক্ষার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছে অথবা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে। একজন সত্যিকার শিক্ষার্থী- যে শিক্ষা এবং শিক্ষার সংস্কৃতি, উভয়ই গ্রহণ করে- জগৎটাকে একটা খোলা বইয়ের মতো পড়তে পারে। কারণ জগৎটা বিশাল, অবারিত। দৃষ্টিস্বল্পতা বা মাইয়োপিয়া আক্রান্ত মানুষ সেই জগৎকে পড়তে পারবে না। যাদের দৃষ্টি প্রসারিত, তাদের মনটা সংকীর্ণ নয়। শিক্ষার সংস্কৃতি, আমি আগেই বলেছি, দৃষ্টি ও মননের প্রসারতা ঘটায়।

আমাদের দেশে এক সময় স্কুল-কলেজগুলো যথেষ্ট স্বাবলম্বী ছিল। স্বাবলম্বী এ অর্থে যে, স্কুলের পড়াশোনা ও অন্যান্য অ্যাকাডেমিক চর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্কুল সময়ের ভিতরেই ছাত্রছাত্রীদের তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো এবং শিক্ষকদের তা দেওয়ার যোগ্যতা ছিল। সম্পদ এখনকার তুলনায় অনেক বেশি সীমিত ছিল; কিন্তু শিক্ষাদানে নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না। শিক্ষকরা এখনকার শিক্ষকদের তুলনায় অনেক অসচ্ছল ছিলেন, কিন্তু গৃহশিক্ষকতার প্রচলন প্রায় ছিল না-ই বলা যায়। অনেক গ্রামের স্কুলের ছেলেমেয়েরা ম্যাট্রিকে খুব ভালো ফল করত; তবে সাধারণ ছাত্ররা যে জ্ঞান পেত, তার মান অনেক উন্নত ছিল। এখন অনেক স্কুল অভিভাবকদের থেকে ডোনেশন নিয়ে তহবিল বাড়ায়; কিন্তু জ্ঞান উৎপাদনে তাদের ভূমিকা যথেষ্ট নয়। বাংলা এবং ইংরেজি শিক্ষাদানে আগের মান আর নেই অথচ শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রমবিকাশে মান আরও বাড়ার কথা ছিল। আমার একটা কথা সব সময় মনে হয়, আমরা শিক্ষার পরিমাণগত বৃদ্ধি যতখানি অর্জন করেছি, মানগত উন্নতি ততটুকু করতে পারিনি। বরং দেখা যাচ্ছে পরিমাণ যত বাড়ছে, মান তত কমে যাচ্ছে। এর একটি কারণ শিক্ষাকে জাতীয় অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথম স্থানটি না দেওয়া।

শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে কী উপকার হয়, তা বোঝার জন্য শ্রীলঙ্কা, কিউবা এবং ভারতের কেরালা রাজ্যের দিকে তাকালেই যথেষ্ট। এ দুই দেশ ও কেরালা রাজ্যে শিক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো শিক্ষায় বিশাল বিনিয়োগ করছে। আরব আমিরাতে অথবা কাতারে বিজ্ঞান প্রযুক্তির এমন সব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো নিয়ে গবেষণা হয়, বৈশ্বিক সেমিনার হয়, যা আমরা ভাবতেও পারব না। আমাদের সম্পদ সীমিত অবশ্যই, কিন্তু দেশ থেকে যখন হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, তখন তো সম্পদ সীমিত- এ কথাটি ধোপে টেকে না। বিনিয়োগের অভাবে আমাদের স্কুলগুলোতে ক্লাসরুম নেই, বেঞ্চ নেই, ব্ল্যাক বা হোয়াইট বোর্ড নেই। গবেষণাগার নেই। সবচেয়ে বড় কথা লাইব্রেরি নেই। এ শিক্ষা পনেরো-কুড়ি বছরেও একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবে না।

সংস্কৃতি বলতে আমরা হরফ সংস্কৃতি এবং সহজাত সংস্কৃতি অর্থাৎ যা মানুষের আচার-আচরণ, কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক ও ব্যক্তিক সম্পর্কসমূহে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্রতিফলিত হয়- উভয়কেই গণ্য করি। হরফ সংস্কৃতি অর্থাৎ শিক্ষা থেকে যা আহরিত তার একটা সুবিধা আছে- বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিন্তা-চেতনা ও চর্চাগুলো শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের জানা হয়ে যায়। তবে শিক্ষিত মানুষের সংস্কৃতি নিয়েই শুধু ব্যস্ত হয়ে পড়লে চলবে না। একই সঙ্গে গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের সহজাত সংস্কৃতিকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং সস্থানে পুনরাধিষ্ঠিত করতে হবে। এ সংস্কৃতিই আমাদের সংস্কৃতির আদি এবং সমৃদ্ধ একটি রূপ। আমাদের সময় উভয় ক্ষেত্রেই একটা দৈন্য অথবা সংকট লক্ষ করা যায়। শিক্ষিত মানুষের আচরণ থেকে এখন বোঝা মুশকিল অনেক সময় সেখানে সংস্কৃতির কোনো স্থান আছে কিনা। আবার লোকজ সংস্কৃতিতেও শিক্ষিত শহুরে সংস্কৃতির প্রভাবে একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয়, সারা দেশে শিক্ষা- বিশেষ করে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর, যুক্তিনিষ্ঠ, সংস্কৃতিভিত্তিক শিক্ষার প্রচার করা সম্ভব হলে এ সংকট কেটে যাবে। উন্নত সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং কৃষ্টিকে লালন করে তার থেকে প্রতিনিয়ত গ্রহণ করে। তবে সেরকম শিক্ষার প্রচারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য, জাতীয় প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকার থাকতে হবে। আশা করি, অচিরেই তা দেখতে পাব।

লেখক :  শিক্ষাবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার
মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার
আইনের ফাঁকফোকর
আইনের ফাঁকফোকর
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
সর্বশেষ খবর
সরকারের উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার তা হলো নির্বাচন আয়োজন : শ্রম উপদেষ্টা
সরকারের উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার তা হলো নির্বাচন আয়োজন : শ্রম উপদেষ্টা

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

পুলিশের মাঠ প্রশাসনে রদবদল, ১৩ এসপিকে বদলি
পুলিশের মাঠ প্রশাসনে রদবদল, ১৩ এসপিকে বদলি

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আগ্রহী পাকিস্তান : অর্থ উপদেষ্টা
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আগ্রহী পাকিস্তান : অর্থ উপদেষ্টা

১৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বিএনপি সরকার গঠন করলে বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেবে : আমীর খসরু
বিএনপি সরকার গঠন করলে বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেবে : আমীর খসরু

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের উন্নয়ন করা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের উন্নয়ন করা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

এবার টি-২০ সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা
এবার টি-২০ সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নিত্যপণ্যের দাম সাশ্রয়ের মধ্যে রাখতে পেরেছে সরকার : খাদ্য উপদেষ্টা
নিত্যপণ্যের দাম সাশ্রয়ের মধ্যে রাখতে পেরেছে সরকার : খাদ্য উপদেষ্টা

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের ৫৯ নেতার পদত্যাগ
গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের ৫৯ নেতার পদত্যাগ

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে এনসিপি : সারজিস
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে এনসিপি : সারজিস

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আইসিইউ থেকে কেবিনে আইয়ার
আইসিইউ থেকে কেবিনে আইয়ার

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলের পিএস কিবরিয়ার ৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলের পিএস কিবরিয়ার ৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে : ফায়ার সার্ভিস ডিজি
প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে : ফায়ার সার্ভিস ডিজি

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

শাহরুখকে ‘একঘেয়ে অভিনেতা’ বললেন নাসিরুদ্দিন
শাহরুখকে ‘একঘেয়ে অভিনেতা’ বললেন নাসিরুদ্দিন

৪০ মিনিট আগে | শোবিজ

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা জামায়াত আমিরের
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা জামায়াত আমিরের

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নাগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
নাগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জামালপুরে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ৪ জনের মৃত্যু
জামালপুরে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ৪ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত সিরিজ দিয়ে দলে ফিরলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা
ভারত সিরিজ দিয়ে দলে ফিরলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪ মাসে মোংলায় নোঙর করেছে ২৫৫ বিদেশি জাহাজ
৪ মাসে মোংলায় নোঙর করেছে ২৫৫ বিদেশি জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দীর্ঘদিন কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং না হওয়ায় উদ্বেগ মৎস্য উপদেষ্টার
দীর্ঘদিন কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং না হওয়ায় উদ্বেগ মৎস্য উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা
ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গণভোটের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতির সমাধান করতে হবে: মুজিবুর রহমান
গণভোটের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতির সমাধান করতে হবে: মুজিবুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদারে একমত ঢাকা ও ইসলামাবাদ
বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদারে একমত ঢাকা ও ইসলামাবাদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালিতে ভয়াবহ জ্বালানি সংকট, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
মালিতে ভয়াবহ জ্বালানি সংকট, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের বিক্ষোভ
৫ দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির হলে ধূমপানে জরিমানা, গাঁজা সেবনে বহিষ্কার
ঢাবির হলে ধূমপানে জরিমানা, গাঁজা সেবনে বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমান বাহিনী প্রধান
সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমান বাহিনী প্রধান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্নীতিবাজদের অনেকে রাজনীতিবিদদের দ্বারা লালিত হয় : দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতিবাজদের অনেকে রাজনীতিবিদদের দ্বারা লালিত হয় : দুদক চেয়ারম্যান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
স্বর্ণের দাম আরও কমল
স্বর্ণের দাম আরও কমল

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সত্যিই কি বিয়ে করেছেন জায়েদ খান?
সত্যিই কি বিয়ে করেছেন জায়েদ খান?

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি জোরদার: তারেক রহমানের অফিস কার্যক্রমের জন্য সাজছে পল্টন অফিস
বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি জোরদার: তারেক রহমানের অফিস কার্যক্রমের জন্য সাজছে পল্টন অফিস

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম
তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কারাগারে বন্দি: কারা অধিদপ্তর
টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কারাগারে বন্দি: কারা অধিদপ্তর

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজার শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছে কোন দেশের সেনারা?
গাজার শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছে কোন দেশের সেনারা?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন
ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার
ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় পার্টির মতো ‘পোষা’ দল হতে আসেনি এনসিপি: সারজিস
জাতীয় পার্টির মতো ‘পোষা’ দল হতে আসেনি এনসিপি: সারজিস

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি
আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কার দুই বিমানবালাকে মারধরের অভিযোগে সৌদি যুবক গ্রেফতার
শ্রীলঙ্কার দুই বিমানবালাকে মারধরের অভিযোগে সৌদি যুবক গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!
নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সৌদিতে সাত দিনে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে সাত দিনে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিউশনি-বাড়ির সিঁড়িতেই জবির নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা-শ্লীলতাহানি!
টিউশনি-বাড়ির সিঁড়িতেই জবির নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা-শ্লীলতাহানি!

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল ফার্মগেটে নিহত যুবকের
মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল ফার্মগেটে নিহত যুবকের

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবারও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী-সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প
আবারও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী-সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ আকাশ শক্তি বাড়াতে তুরস্কের তোড়জোড়
হঠাৎ আকাশ শক্তি বাড়াতে তুরস্কের তোড়জোড়

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলবেনিয়ার এআই মন্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, জন্ম দেবে ৮৩টি সন্তান!
আলবেনিয়ার এআই মন্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, জন্ম দেবে ৮৩টি সন্তান!

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু
মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব
বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ
জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট
মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০
ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মঙ্গলবার থেকে হতে পারে টানা বৃষ্টি
মঙ্গলবার থেকে হতে পারে টানা বৃষ্টি

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট
ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
জীবন-মৃত্যুর জুয়ায় বাংলাদেশিরা
জীবন-মৃত্যুর জুয়ায় বাংলাদেশিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন আমার বাচ্চাদের কী হবে
এখন আমার বাচ্চাদের কী হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তুত বাড়ি আসছে গাড়ি
প্রস্তুত বাড়ি আসছে গাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা

সম্পাদকীয়

ওষুধ কাজ করছে না শরীরে
ওষুধ কাজ করছে না শরীরে

পেছনের পৃষ্ঠা

তারকাদের রহস্যজনক মৃত্যু
তারকাদের রহস্যজনক মৃত্যু

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাধু বেশে শয়তান
সাধু বেশে শয়তান

প্রথম পৃষ্ঠা

মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির চার নেতা, একক প্রচারে জামায়াত
মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির চার নেতা, একক প্রচারে জামায়াত

নগর জীবন

দেশ জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই
দেশ জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই

নগর জীবন

‘সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম জাতীয় সংসদ’
‘সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট ফোরাম জাতীয় সংসদ’

নগর জীবন

সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদের মেয়ের সম্পদ জব্দের নির্দেশ
সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদের মেয়ের সম্পদ জব্দের নির্দেশ

নগর জীবন

ভোটে অংশ নিতে পারবে না জাপা
ভোটে অংশ নিতে পারবে না জাপা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে
দেশ গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে স্থবিরতা
শিল্পে স্থবিরতা

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য রোনালদোর ৯৫০!
অপ্রতিরোধ্য রোনালদোর ৯৫০!

মাঠে ময়দানে

তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণ, চারজনের ফাঁসি
তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণ, চারজনের ফাঁসি

নগর জীবন

হাশেমের গানে পুতুলের অ্যালবাম
হাশেমের গানে পুতুলের অ্যালবাম

শোবিজ

হাতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি

পেছনের পৃষ্ঠা

সার্ক শীর্ষ মানবাধিকার সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত
সার্ক শীর্ষ মানবাধিকার সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

নগর জীবন

রংপুরে বাজুস নেতাদের সঙ্গে পুলিশের নিরাপত্তাবিষয়ক সভা
রংপুরে বাজুস নেতাদের সঙ্গে পুলিশের নিরাপত্তাবিষয়ক সভা

নগর জীবন

৩৬ বছরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ
৩৬ বছরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ

নগর জীবন

দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

শনিবারের সকাল

মেধা আর শক্তি দিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করার আপ্রাণ চেষ্টা
মেধা আর শক্তি দিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করার আপ্রাণ চেষ্টা

নগর জীবন

প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন

সম্পাদকীয়

পুলিশের ১১ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশের ১১ কর্মকর্তাকে বদলি

নগর জীবন

১৫ সেনা কর্মকর্তা এখনো চাকরিতে বহাল : প্রসিকিউশন
১৫ সেনা কর্মকর্তা এখনো চাকরিতে বহাল : প্রসিকিউশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্যাস অনুসন্ধান
গ্যাস অনুসন্ধান

সম্পাদকীয়

সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে

নগর জীবন

নৈশপ্রহরীর রহস্যজনক মৃত্যু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
নৈশপ্রহরীর রহস্যজনক মৃত্যু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম