শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫ আপডেট: ০০:৪৬, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
প্রিন্ট ভার্সন
শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ
সংস্কৃতি সতত পরিবর্তনশীল, যদিও এ পরিবর্তনটি খুব সহজে বা সর্বৈব দৃশ্যমান উপায়ে ঘটে না। সংস্কৃতির ভিতরের সময়টি খুব দীর্ঘ এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনশীলতার পেছনে কার্যকর শিক্ষা...

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। আমাদের দেশে যে কোনো সংবাদপত্রের জন্য একটি বছর পার করাও এখন উদযাপনের মতো একটি বিষয়, এমনকি যেসব সংবাদপত্র অনলাইনে প্রকাশিত হয়, সেগুলোর জন্যও। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৫ বছর বিরতিহীনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সংবাদপত্রটিকে এবং এর পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন।

একটি সংবাদপত্র চালু রাখতে বিনিয়োগের দরকার। সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী ছাড়াও অনেকের অংশগ্রহণে একটি সংবাদপত্র গতি পায়। এর প্রকাশের পেছনে প্রত্যেকেরই একটি ভূমিকা থাকে। এবং মাস শেষে এরা যদি সম্মানজনক বেতন-ভাতা না পান, তাহলে সংবাদপত্রটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। হয়তো এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য ওই বিনিয়োগের প্রয়োজন। কিন্তু যিনি বিনিয়োগ করবেন, বাজারের সূত্র মেনে বিনিয়োগের অংকটি তাঁকে ফেরত পেতে হয়, অন্তত যাতে তিনি লোকসানে না পড়েন, সে ব্যবস্থাটি থাকতে হয়। সেজন্য সংবাদপত্রটির কাটতি থাকতে হয়, ভালো বিজ্ঞাপন পেতে হয়। এ দুই ক্ষেত্রেই হাতে গোনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছাড়া অবস্থাটি প্রতিকূল। বাংলাদেশ প্রতিদিন কয়েকটি কারণে এ প্রতিকূলতা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম কারণটি হচ্ছে, এর ভালো সাংবাদিকতা, দ্বিতীয়টি এর পাঠকপ্রিয়তা। আমি এ সংবাদপত্রটির একজন পাঠক, এর আর্থিক সঙ্গতি এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আমার কোনো ধারণা থাকার কথা নয়। তবে আমি অনুমান করতে পারি, এর সাংবাদিক এবং অন্য কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে এ সংবাদপত্রটির পথচলা নিশ্চিত করছেন। আমি আশা করব, আগামীতে এ পথচলা আরও গতিশীল হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমি মাঝেমধ্যে শিক্ষা নিয়ে লিখেছি। আমি দেখেছি শিক্ষাকে এবং শিক্ষার সংস্কৃতিকে- যা শিক্ষার্থীর মন আলোকিত করে, তার মনের দরজা-জানালাগুলো খুলে দেয় এ সংবাদপত্রটি গুরুত্ব সহকারে। আমাকে যখন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমার পছন্দের একটি বিষয় নিয়ে লিখতে অনুরোধ করা হলো, আমি শিক্ষার সংস্কৃতি বিষয়টি বেছে নিলাম।

২. শিক্ষা বিষয়টা পরিশ্রমের, চর্চার। শিক্ষাদানে পরিশ্রম আছে, শিক্ষা গ্রহণেও আছে- এ পরিশ্রমের কায়িক অংশটি গুরুতর নয় ইটভাঙা অথবা লঞ্চঘাটে মাল টানা অনেক বেশি পরিশ্রমের। কিন্তু শিক্ষার শ্রম অংশটি আসে মেধা ও মননের অঞ্চল থেকে। অনেক পুরনো চিন্তা, মত, সংস্কার, অভ্যাস ও চর্চাকে বদলানোর মধ্যেই নিহিত শিক্ষার শ্রম। এ শ্রম দিতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরাই শিক্ষার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করতে পারেন। সংস্কৃতি কোনো জড় পদার্থ নয়; এটি একবারে অর্জন করা ও অপরিবর্তনশীল কোনো সামাজিক চর্চা নয়। সংস্কৃতি সতত পরিবর্তনশীল, যদিও এ পরিবর্তনটি খুব সহজে বা সর্বৈব দৃশ্যমান উপায়ে ঘটে না। সংস্কৃতির ভিতরের সময়টি খুব দীর্ঘ এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনশীলতার পেছনে কার্যকর শিক্ষা। বিষয়টা একটু ঘুরিয়ে নিলে এরকম বলা যায় : সংস্কৃতির গতিশীলতার পেছনে আছে শিক্ষা, যেমন শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ করে সংস্কৃতি। এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্কটি খুবই ঘনিষ্ঠ।

কিন্তু শিক্ষা বলতে যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথাই শুধু উল্লেখ করা হয়, তাহলে আমরা একটি বড় ভুল করব। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই

গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া জগতে আমরা অচল। জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের অধিকার এ শিক্ষাই আমাদের দেয়; কিন্তু কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই পূর্ণ হয় না, যদি তাতে যুক্ত না হয় সাংস্কৃতিক শিক্ষা। সাংস্কৃতিক শিক্ষা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় দিতে পারে না, বরং এর বিরুদ্ধ শিক্ষাই তারা দেয় মাঝে মাঝে। সাংস্কৃতিক শিক্ষা দেয় পরিবার ও সমাজ- প্রধানত পরিবার। তবে এক্ষেত্রে মিডিয়ারও একটা ক্রমবর্ধমান ভূমিকা দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে আমাদের সংস্কৃতির মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভিনদেশি কোনো সংস্কৃতি এবং নানা অপসংস্কৃতির প্রচারের বিরুদ্ধে মিডিয়া কাজ করতে পারে। এ অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে পশ্চিমা দৃশ্যমাধ্যম, ইন্টারনেট প্রযুক্তি, টিকটক এবং এ ধরনের কিছু ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম। মিডিয়ার পক্ষে সম্ভব সমাজে এসবের বিপরীতে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা ও প্রতিপালনের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করা। পরিবার এবং সমাজ থেকে শিক্ষার সঙ্গে ভালোমন্দ বিচারের ক্ষমতা এবং নান্দনিকতার পাঠ না পেলে একজন শিক্ষার্থী কখনো সম্পূর্ণরূপে গড়ে উঠতে পারে না। তথাকথিত অশিক্ষিত মানুষও পরিবার থেকে সাংস্কৃতিক শিক্ষা পেলে তথাকথিত অনেক শিক্ষিত মানুষ থেকে বেশি শিক্ষিত হতে পারে। যেহেতু শিক্ষার সংস্কৃতিকে সে গ্রহণ করে অনেক সহজে।

সাংবাদিকসাংস্কৃতিক শিক্ষা এবং শিক্ষার সংস্কৃতির মধ্যে যোগসূত্রটি এই যে, উভয় ক্ষেত্রে মানুষ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো প্রাধান্য পায়। এ উপাদানগুলোর মধ্যে যেগুলো অবশ্য প্রয়োজনীয়- অর্থাৎ যেগুলোর অভাবে শিক্ষা, শিক্ষা হয় না, তা হচ্ছে মূল্যবোধ, রুচি এবং হৃদয়ের প্রসারতা। আমরা প্রতিদিনের দিনযাপনে সংকীর্ণতাটাই বেশি দেখি- প্রসারতা, গভীরতা দেখি না। স্বার্থপরতা, অহমিকা হচ্ছে এ সংকীর্ণতা; আর একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সহনশীল এবং প্রজ্ঞাবান দৃষ্টি, নিজের বাইরে অন্যের দিকে, সমাজের দিকে মনোযোগী হওয়া হচ্ছে প্রসারতার লক্ষণ। শিক্ষার উদ্দেশ্য মুখস্থবিদ্যা পারদর্শী কিছু তোতাপাখি সৃষ্টি নয়; বরং যুক্তিতর্ক ও বিচার বোধসম্পন্ন মনন সৃষ্টি করা। বলা হয়ে থাকে- পশ্চিমে আধুনিক যুগ শুরু হয়েছে পঞ্চদশ শতাব্দীর রেনেসাঁস-এর সময় থেকে এবং এর পরিপূর্ণতা এসেছে অষ্টাদশ শতকের এনলাইটেনমেন্ট বা জ্ঞানালোক প্রাপ্তিকালে। এ সময়ে মানুষ নিজের মধ্যে বিশ্বকে অবলোকন করেছে, প্রশ্ন করেছে, সংস্কার ও অন্ধ প্রচলকে ভেঙেছে। বস্তুত যে মানুষ প্রশ্ন করতে জানে না, যুক্তি-বিচার ছাড়া অন্ধভাবে সবকিছু গ্রহণ করে, আবেগটাকেই সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখে, সে আধুনিক মানুষ নয়। শিক্ষার সংস্কৃতি হচ্ছে এ আধুনিক মনস্কতাকে গ্রহণ করা। শিক্ষার সংস্কৃতি হচ্ছে ভালো-মন্দ, শুভ-অশুভের বিশ্লেষণ ও পার্থক্য করতে শেখা এবং নান্দনিক দৃষ্টির অধিকারী হওয়া। এ সংস্কৃতি আমাদের শিক্ষায় অনেকটা ঠোঁট সেবার মতো দেওয়া হয় বটে; কিন্তু প্রকৃত পাঠটি গ্রহণ করা এবং পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে হৃদয়ে তা ধারণ করা ব্যাপক ব্যাপার। আমাদের দেশে দুর্নীতিচিত্র নিয়ে অনেক প্রতিবেদন বেরিয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও গবেষণা সংস্থার প্রকাশনায়। একটি চাঞ্চল্যকর যদিও সবার জানা সত্য বেরিয়ে এসেছে কোনো কোনো প্রতিবেদনে : দুর্নীতির প্রায় নব্বই ভাগের জন্য দায়ী তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, ঘুষ নেওয়া যে খারাপ কাজ, কাজে ফাঁকি দেওয়া যে দুর্নীতি, সে বিষয়টি নিয়েও এখন কেউ প্রশ্ন তোলে না। মানুষের সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করা, খারাপ আচরণ করা, মানুষকে অকারণে বিপদে ফেলা, এসব অনৈতিকতাকেও আমরা সয়ে নিয়েছি। এ জন্য সকালে সংবাদপত্রে ভয়ানক সব অন্যায়-অবিচারের খবর পড়েও আমরা নিশ্চিত ও প্রফুল্ল মনে অফিসে যাই, স্কুল-আদালতে যাই। আমরা শিক্ষা পেয়েছি, পেয়ে যাচ্ছি, কিন্তু শিক্ষার সংস্কৃতি রয়ে গেছে আমাদের নাগালের বাইরে।

শিক্ষার সংস্কৃতিই সভ্যতাকে নির্মাণ করে এবং ভিত্তিটি গেঁথে এর দরদালান তুলে দেয়। শিক্ষা মানুষের মধ্যে সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি করতে পারে না, যদি না এজন্য একটি আবহ তৈরি থাকে। এটি করে সমাজ, জনগোষ্ঠী। সমাজ তার দীর্ঘদিনের চর্চায় এবং একটি গ্রহণ ও বর্জন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৌন্দর্যের উপাদানগুলো ছেঁকে আনে। একটি জাতি যদি শিক্ষার সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেয়, দেখা যাবে সেই জাতির সব কাজেই সৌন্দর্য রয়েছে। সে জাতির দৈনন্দিন জীবনাচরণে, আহার গ্রহণে, ঘর সাজানোতে, শহর পরিকল্পনায়, শিশুদের লালন-পালনে অর্থাৎ সর্ব ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে। আমাদের ক্ষেত্রে ঘটে এর বিপরীত। আমরা কি জোর দিয়ে বলতে পারব, সেই সৌন্দর্য আমাদের মধ্যে আছে? যে মানুষ জঙ্গলের গাছ কেটে চোরাই বাজারে পাঠায়, যে অকাতরে বৃক্ষনিধন করে, পাহাড় কাটে, জলাভূমি ভরাট করে জবরদখল করে, সে কি শিশুদের এমনকি তার নিজের সন্তানদের ভালোবাসে? নাকি সে ভালোবাসে কেবল নিজেকেই এবং তার স্বার্থকে? সে বুঝতে পারে না এ অনাদরে কী সর্বনাশ করছে প্রকৃতির, সভ্যতার। সেটি যখন সে বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।

একইভাবে যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নেয় সমস্যা সমাধানের জন্য, যুক্তিতর্ককে আমলে আনে না তারাও সমাজ, প্রকৃতি এবং সভ্যতার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, এর সংখ্যা বাড়ছে এবং এদের নিয়েই থাকতে হচ্ছে আমাদের। এদের কেউ কেউ শিক্ষা পেয়েছে; কিন্তু শিক্ষার সংস্কৃতি এদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।

অন্য দুঃখজনক সত্য হচ্ছে এই, আমাদের মুখস্থবিদ্যানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতি পুরোপুরি অবহেলিত। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতিটা আমার একেবারেই মনোপুত নয়। এ ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীর সৃজনশীলতা মোটেই উৎসাহিত হয় না। হয় শুধু মুখস্থ করার মনোবৃত্তি। অন্যের লেখা জিনিস মুখস্থ করে প্রথম-দ্বিতীয় হওয়ায় কী গৌরব? আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতাটাই মুখ্য, অথচ আদর্শ হওয়া উচিত নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। নিজের ষোল আনা মেধা ও মনীষাকে কাজে লাগানোর প্রতিযোগিতা। পাঁচজন প্রাইভেট টিউটর রেখে আঠারো ঘণ্টা পাঠ মুখস্থ করে ফার্স্ট হওয়ায় কোনো বড় কৃতিত্ব নেই, যতটা আছে নিজের সৃজনশীল ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করায়। যারা নিজেদের মেধার চর্চা করে, পাঠ্যবইয়ের অতিরিক্ত বই পাঠে সময় ব্যয় করে, লেখালেখির চেষ্টা করে, সমাজের মানুষের কথা ভাবে, যাদের আচরণে গরিব মানুষ ব্যথা পায় না, সন্তুষ্ট হয় বরং; যারা নিজেদের স্বার্থকে প্রধান করে না, যাদের মধ্যে সৌন্দর্যবোধ প্রবল তারা প্রত্যেকে নিজস্ব পথে শিক্ষার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছে অথবা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে। একজন সত্যিকার শিক্ষার্থী- যে শিক্ষা এবং শিক্ষার সংস্কৃতি, উভয়ই গ্রহণ করে- জগৎটাকে একটা খোলা বইয়ের মতো পড়তে পারে। কারণ জগৎটা বিশাল, অবারিত। দৃষ্টিস্বল্পতা বা মাইয়োপিয়া আক্রান্ত মানুষ সেই জগৎকে পড়তে পারবে না। যাদের দৃষ্টি প্রসারিত, তাদের মনটা সংকীর্ণ নয়। শিক্ষার সংস্কৃতি, আমি আগেই বলেছি, দৃষ্টি ও মননের প্রসারতা ঘটায়।

আমাদের দেশে এক সময় স্কুল-কলেজগুলো যথেষ্ট স্বাবলম্বী ছিল। স্বাবলম্বী এ অর্থে যে, স্কুলের পড়াশোনা ও অন্যান্য অ্যাকাডেমিক চর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্কুল সময়ের ভিতরেই ছাত্রছাত্রীদের তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো এবং শিক্ষকদের তা দেওয়ার যোগ্যতা ছিল। সম্পদ এখনকার তুলনায় অনেক বেশি সীমিত ছিল; কিন্তু শিক্ষাদানে নিষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না। শিক্ষকরা এখনকার শিক্ষকদের তুলনায় অনেক অসচ্ছল ছিলেন, কিন্তু গৃহশিক্ষকতার প্রচলন প্রায় ছিল না-ই বলা যায়। অনেক গ্রামের স্কুলের ছেলেমেয়েরা ম্যাট্রিকে খুব ভালো ফল করত; তবে সাধারণ ছাত্ররা যে জ্ঞান পেত, তার মান অনেক উন্নত ছিল। এখন অনেক স্কুল অভিভাবকদের থেকে ডোনেশন নিয়ে তহবিল বাড়ায়; কিন্তু জ্ঞান উৎপাদনে তাদের ভূমিকা যথেষ্ট নয়। বাংলা এবং ইংরেজি শিক্ষাদানে আগের মান আর নেই অথচ শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রমবিকাশে মান আরও বাড়ার কথা ছিল। আমার একটা কথা সব সময় মনে হয়, আমরা শিক্ষার পরিমাণগত বৃদ্ধি যতখানি অর্জন করেছি, মানগত উন্নতি ততটুকু করতে পারিনি। বরং দেখা যাচ্ছে পরিমাণ যত বাড়ছে, মান তত কমে যাচ্ছে। এর একটি কারণ শিক্ষাকে জাতীয় অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথম স্থানটি না দেওয়া।

শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে কী উপকার হয়, তা বোঝার জন্য শ্রীলঙ্কা, কিউবা এবং ভারতের কেরালা রাজ্যের দিকে তাকালেই যথেষ্ট। এ দুই দেশ ও কেরালা রাজ্যে শিক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো শিক্ষায় বিশাল বিনিয়োগ করছে। আরব আমিরাতে অথবা কাতারে বিজ্ঞান প্রযুক্তির এমন সব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো নিয়ে গবেষণা হয়, বৈশ্বিক সেমিনার হয়, যা আমরা ভাবতেও পারব না। আমাদের সম্পদ সীমিত অবশ্যই, কিন্তু দেশ থেকে যখন হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, তখন তো সম্পদ সীমিত- এ কথাটি ধোপে টেকে না। বিনিয়োগের অভাবে আমাদের স্কুলগুলোতে ক্লাসরুম নেই, বেঞ্চ নেই, ব্ল্যাক বা হোয়াইট বোর্ড নেই। গবেষণাগার নেই। সবচেয়ে বড় কথা লাইব্রেরি নেই। এ শিক্ষা পনেরো-কুড়ি বছরেও একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবে না।

সংস্কৃতি বলতে আমরা হরফ সংস্কৃতি এবং সহজাত সংস্কৃতি অর্থাৎ যা মানুষের আচার-আচরণ, কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক ও ব্যক্তিক সম্পর্কসমূহে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্রতিফলিত হয়- উভয়কেই গণ্য করি। হরফ সংস্কৃতি অর্থাৎ শিক্ষা থেকে যা আহরিত তার একটা সুবিধা আছে- বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিন্তা-চেতনা ও চর্চাগুলো শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের জানা হয়ে যায়। তবে শিক্ষিত মানুষের সংস্কৃতি নিয়েই শুধু ব্যস্ত হয়ে পড়লে চলবে না। একই সঙ্গে গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের সহজাত সংস্কৃতিকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং সস্থানে পুনরাধিষ্ঠিত করতে হবে। এ সংস্কৃতিই আমাদের সংস্কৃতির আদি এবং সমৃদ্ধ একটি রূপ। আমাদের সময় উভয় ক্ষেত্রেই একটা দৈন্য অথবা সংকট লক্ষ করা যায়। শিক্ষিত মানুষের আচরণ থেকে এখন বোঝা মুশকিল অনেক সময় সেখানে সংস্কৃতির কোনো স্থান আছে কিনা। আবার লোকজ সংস্কৃতিতেও শিক্ষিত শহুরে সংস্কৃতির প্রভাবে একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয়, সারা দেশে শিক্ষা- বিশেষ করে জ্ঞান-বিজ্ঞাননির্ভর, যুক্তিনিষ্ঠ, সংস্কৃতিভিত্তিক শিক্ষার প্রচার করা সম্ভব হলে এ সংকট কেটে যাবে। উন্নত সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং কৃষ্টিকে লালন করে তার থেকে প্রতিনিয়ত গ্রহণ করে। তবে সেরকম শিক্ষার প্রচারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য, জাতীয় প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকার থাকতে হবে। আশা করি, অচিরেই তা দেখতে পাব।

লেখক :  শিক্ষাবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার
মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার
আইনের ফাঁকফোকর
আইনের ফাঁকফোকর
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
সর্বশেষ খবর
বরিশালে পাখির খাবারের আড়ালে গাঁজা বিক্রি, আটক ১
বরিশালে পাখির খাবারের আড়ালে গাঁজা বিক্রি, আটক ১

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তীব্র চাপের মুখে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল নেপাল
তীব্র চাপের মুখে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল নেপাল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‍্যাবের অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদ ও ডাকাত আক্তার গ্রেপ্তার
র‍্যাবের অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদ ও ডাকাত আক্তার গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্স হ্যারি কি রাজপরিবারে ফিরছেন?
প্রিন্স হ্যারি কি রাজপরিবারে ফিরছেন?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতি
কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বীরগঞ্জে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ নিহত, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ
বীরগঞ্জে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ নিহত, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি করে প্রতারণা, পুলিশের হাতে ধরা ৪
চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি করে প্রতারণা, পুলিশের হাতে ধরা ৪

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাংনীতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
গাংনীতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
চট্টগ্রামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুলিশ দেখে ‘লাশ’ বলল ‘আমি বেঁচে আছি’!
পুলিশ দেখে ‘লাশ’ বলল ‘আমি বেঁচে আছি’!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সারের দাম বেশি নেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ডিলারের দণ্ড
সারের দাম বেশি নেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ডিলারের দণ্ড

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে রাজি নন নেপালের প্রধানমন্ত্রী: এনডিটিভি
সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে রাজি নন নেপালের প্রধানমন্ত্রী: এনডিটিভি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্রান্স সরকারের পতন, ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগ করতে হবে?
ফ্রান্স সরকারের পতন, ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগ করতে হবে?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবনে ঢোকার সময় ৯ বোতল কীটনাশকসহ আটক দুই
সুন্দরবনে ঢোকার সময় ৯ বোতল কীটনাশকসহ আটক দুই

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আলোচনা চলছে
নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আলোচনা চলছে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগে খাগড়াছড়ির অনেক পরিবার
বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগে খাগড়াছড়ির অনেক পরিবার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস
ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর খিলক্ষেতে অস্ত্রসহ চারজন গ্রেফতার
রাজধানীর খিলক্ষেতে অস্ত্রসহ চারজন গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লেভারকুজেনের নতুন কোচ ইউলমান
লেভারকুজেনের নতুন কোচ ইউলমান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে যুবক নিহত
রাজধানীতে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসি বিস্ফোরণ, চার ঘণ্টা অচল সিগন্যাল
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসি বিস্ফোরণ, চার ঘণ্টা অচল সিগন্যাল

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে অটোরিকশা চালককে হত্যা, দুইজন আটক
রাজধানীতে অটোরিকশা চালককে হত্যা, দুইজন আটক

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন আনল যুক্তরাষ্ট্র
ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন আনল যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রের বাতাসে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ জীবনের রহস্য: গবেষণা
সমুদ্রের বাতাসে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ জীবনের রহস্য: গবেষণা

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আগস্টের মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে তিন পেসারের লড়াই
আগস্টের মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে তিন পেসারের লড়াই

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে পানির কারখানার আড়ালে স্টিয়ারিং অয়েল তৈরি, জরিমানা
চট্টগ্রামে পানির কারখানার আড়ালে স্টিয়ারিং অয়েল তৈরি, জরিমানা

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঞ্জাবে অসম্মানিত হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন গেইল
পাঞ্জাবে অসম্মানিত হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন গেইল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
গাইবান্ধায় ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
যৌনকর্মী থেকে চারবারের এমপি: ফিনিশ এমপির খোলামেলা স্বীকারোক্তি
যৌনকর্মী থেকে চারবারের এমপি: ফিনিশ এমপির খোলামেলা স্বীকারোক্তি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু ভিপিপ্রার্থী আবিদের আইডি ডিজেবল
ডাকসু ভিপিপ্রার্থী আবিদের আইডি ডিজেবল

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মোদির আমলে গরুর মাংস রফতানিতে ভারতের রেকর্ড
মোদির আমলে গরুর মাংস রফতানিতে ভারতের রেকর্ড

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেফতার
সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেপালে ‘জেন-জি’ আন্দোলনে পুলিশের গুলি, নিহত বেড়ে ১৯
নেপালে ‘জেন-জি’ আন্দোলনে পুলিশের গুলি, নিহত বেড়ে ১৯

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে নতুন আতঙ্ক মিরাটের ‘ন্যুড গ্যাং’, টার্গেট নারীরা
ভারতে নতুন আতঙ্ক মিরাটের ‘ন্যুড গ্যাং’, টার্গেট নারীরা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু নির্বাচনের দিন চক্রাকারে চলবে শাটল সার্ভিস
ডাকসু নির্বাচনের দিন চক্রাকারে চলবে শাটল সার্ভিস

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে ডাকসুর ভোট গণনা
এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে ডাকসুর ভোট গণনা

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পুতিনকে ‘তার চাওয়া পূরণ’ করে দিয়েছেন ট্রাম্প: জেলেনস্কি
পুতিনকে ‘তার চাওয়া পূরণ’ করে দিয়েছেন ট্রাম্প: জেলেনস্কি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপ ঝড় শুরু কাল: যা জেনে রাখা জরুরি
এশিয়া কাপ ঝড় শুরু কাল: যা জেনে রাখা জরুরি

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার ইভনকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার ইভনকে কুপিয়ে হত্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলে ‘ব্যাপক’ ড্রোন হামলা চালালো ইয়েমেন
ইসরায়েলে ‘ব্যাপক’ ড্রোন হামলা চালালো ইয়েমেন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের জালিমদের বিচার বিএনপির চেয়ে বেশি কোনো দল চায় না : রুমিন ফারহানা
আওয়ামী লীগের জালিমদের বিচার বিএনপির চেয়ে বেশি কোনো দল চায় না : রুমিন ফারহানা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘প্রয়োজন ৩০ বিলিয়ন ডলার, আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই জান বের হয়’
‘প্রয়োজন ৩০ বিলিয়ন ডলার, আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই জান বের হয়’

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাজ্যে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ইতিহাস গড়লেন শাবানা
যুক্তরাজ্যে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ইতিহাস গড়লেন শাবানা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে ‘শেষবারের মতো সতর্ক’ করলেন ট্রাম্প
হামাসকে ‘শেষবারের মতো সতর্ক’ করলেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভকারীদের দখলে নেপালের পার্লামেন্ট, কারফিউ জারি
বিক্ষোভকারীদের দখলে নেপালের পার্লামেন্ট, কারফিউ জারি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লার বাসায় মিলল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের লাশ
কুমিল্লার বাসায় মিলল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের লাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪০ বছর পর জাপানের রাজপরিবারে প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক যুবরাজ
৪০ বছর পর জাপানের রাজপরিবারে প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক যুবরাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ পর আলোচনায় আগ্রহী হামাস
ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ পর আলোচনায় আগ্রহী হামাস

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারা দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে: ঢাবি উপাচার্য
সারা দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে: ঢাবি উপাচার্য

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমতি দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমতি দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কৃত্রিম চিনি কি মস্তিষ্ক ধ্বংস করছে? গবেষণার চাঞ্চল্যকর তথ্য
কৃত্রিম চিনি কি মস্তিষ্ক ধ্বংস করছে? গবেষণার চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি ১ ডিসেম্বর থেকে বিলুপ্ত, পরিপত্র জারি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি ১ ডিসেম্বর থেকে বিলুপ্ত, পরিপত্র জারি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস
ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ সেকেন্ডে ১৩ বার হাতুড়ির আঘাতে যুবককে খুন
১৫ সেকেন্ডে ১৩ বার হাতুড়ির আঘাতে যুবককে খুন

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারের বিরুদ্ধে কেন ফুঁসে উঠেছে নেপালের জেন-জি প্রজন্ম?
সরকারের বিরুদ্ধে কেন ফুঁসে উঠেছে নেপালের জেন-জি প্রজন্ম?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউজিল্যান্ডে স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের এক বছর: কী পেল শিক্ষার্থীরা
নিউজিল্যান্ডে স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের এক বছর: কী পেল শিক্ষার্থীরা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে অবসরে গেলেন তিনি
ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে অবসরে গেলেন তিনি

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডাকসু নির্বাচনে যেভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা
ডাকসু নির্বাচনে যেভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
ইতিহাস গড়বেন কারা
ইতিহাস গড়বেন কারা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার সংকটে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
আস্থার সংকটে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ বয়ান ফেলে দিতে হবে
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ বয়ান ফেলে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক একীভূতকরণে সরকারের সম্মতি
ব্যাংক একীভূতকরণে সরকারের সম্মতি

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে দেশবাসী অবগত নয়
পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে দেশবাসী অবগত নয়

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চায় চারজন অন্য দলগুলোর একক প্রার্থী
বিএনপির মনোনয়ন চায় চারজন অন্য দলগুলোর একক প্রার্থী

নগর জীবন

বিএনপির প্রার্থী অর্ধডজন অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী অর্ধডজন অন্যদের একক

নগর জীবন

আইএমএফের ১০০ কোটি ডলার পেতে জান যায়
আইএমএফের ১০০ কোটি ডলার পেতে জান যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

অসময়ে তরমুজ চাষে সাফল্য
অসময়ে তরমুজ চাষে সাফল্য

পেছনের পৃষ্ঠা

জেন-জির বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল
জেন-জির বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়ার জন্য ফল পাঠালেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত
খালেদা জিয়ার জন্য ফল পাঠালেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু ভোটে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব উঠে আসবে
সুষ্ঠু ভোটে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব উঠে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অ্যাপ
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অ্যাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের
শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রংপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বিআইডব্লিউটিএতে শাজাহানের সাম্রাজ্য
বিআইডব্লিউটিএতে শাজাহানের সাম্রাজ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ইয়েমেনের ৩৫০ বছরের ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ কুমিল্লায়
ইয়েমেনের ৩৫০ বছরের ক্ষুদ্র কোরআন শরিফ কুমিল্লায়

পেছনের পৃষ্ঠা

নাগালের বাইরে গরিবের পুষ্টি
নাগালের বাইরে গরিবের পুষ্টি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসুন জনগণের ওপর আস্থা রাখি : তারেক রহমান
আসুন জনগণের ওপর আস্থা রাখি : তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

মজুত আছে পাঁচ বছরের
মজুত আছে পাঁচ বছরের

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য কমেছে ২০ শতাংশ
বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য কমেছে ২০ শতাংশ

শিল্প বাণিজ্য

জনজীবনে হাঁসফাঁস
জনজীবনে হাঁসফাঁস

পেছনের পৃষ্ঠা

কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে

দেশগ্রাম

গরুর মাংস রপ্তানিতে ভারতের রেকর্ড
গরুর মাংস রপ্তানিতে ভারতের রেকর্ড

পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৮ সালে রানার্সআপ ব্রাদার্স ইউনিয়ন
১৯৭৮ সালে রানার্সআপ ব্রাদার্স ইউনিয়ন

মাঠে ময়দানে

পাথরে চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি
পাথরে চুম্বকের গুঁড়া লাগিয়ে মূর্তি তৈরি

দেশগ্রাম

ট্রাম্পের কারণে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা বিপর্যস্ত
ট্রাম্পের কারণে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা বিপর্যস্ত

পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় প্রস্তুত হামাস
আলোচনায় প্রস্তুত হামাস

পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিধসের শঙ্কায় গ্রামে ফিরতে চান না দুর্গতরা
ভূমিধসের শঙ্কায় গ্রামে ফিরতে চান না দুর্গতরা

পূর্ব-পশ্চিম