শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার

এম জাকির হোসেন খান
প্রিন্ট ভার্সন
মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার

প্রকৃতির ওপর আধিপত্যের ভ্রান্ত ধারণা আমাদের অস্তিত্বই ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। প্রতিটি দুর্যোগে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়...

 

প্রকৃতির সুরক্ষা নীতি সব প্রাণ ও বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য সহাবস্থান নিশ্চিত করে। মানুষসহ সব প্রাণ জন্মগতভাবে অক্সিজেন ও নিরাপদ পানি পান করবে, দূষণমুক্ত মাটিতে ফসল উৎপাদন করবে, নির্মল বৃষ্টিতে স্বস্তি পাবে এটাই প্রকৃতির ন্যায্যতা। তবে বাস্তবতা ভিন্ন, অনিয়ন্ত্রিত জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের উন্নয়নের নামে দূষিত শিল্পায়ন, পানির উৎস নদী, খাল দখল এবং দূষণসহ ভোগের ফলে পৃথিবীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং প্রকৃতিভিত্তিক সুরক্ষার পরিবর্তে ভৌগোলিক সীমারেখা বা দেশভিত্তিক একের পর এক চুক্তি ও কনভেনশন করলেও প্রাকৃতিক অধিকারের পরিবর্তে মুনাফাকে অগ্রাধিকার প্রদান করায় প্রকৃতির অবক্ষয় বাড়ছেই, পৃথিবী ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে।

সীমিত তথ্যভিত্তিক উন্নয়ন দর্শন স্বল্পমেয়াদি সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য কখনো অর্জিত হয় না। উন্নয়নের নামে বন ধ্বংস করে শিল্প স্থাপন, নদী ও হাওর নিয়ন্ত্রণ করে সেতু ও রাস্তা নির্মাণ, নগরায়ণের নামে পানির উৎস ও সবুজ বনায়ন ধ্বংস করে বায়ু, শব্দ ও পানি দূষণের ফলে অসুস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতে আয়ের উল্লেখযোগ্য ব্যয় করাকে উন্নত জীবনযাপন বলে অভিহিত করা হচ্ছে। মানুষ যতই তথাকথিত উন্নত জীবনযাপন বা উন্নয়ন (?) করছে আর পৃথিবী ততই ঝুঁকিতে পড়ছে, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের নামে বিনাশের পরিমাণ বাড়ছেই। অতিরিক্ত খনিজ উত্তোলন পরিবেশগত সংকটকে আরও তীব্র করছে। প্রতি বছর বন উজাড় এবং ভূমি অবক্ষয়ের কারণে কৃষিপণ্য, বিনোদন এবং বিশুদ্ধ বাতাসের মতো বাস্তুসংস্থান পরিসেবাগুলোতে বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ ব্যয় করতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মানুষ বর্তমানে পৃথিবীর সম্পদের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ ব্যবহার করছে (UNEP, 2021)

মানুষের গড় আয়ু বাড়লেও তিন দশক আগের চেয়ে মানুষ বেশি অসুস্থ থাকছে, চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছেই। মানুষের সঞ্চয় কমছে, ভিটাবাড়ি বিক্রি করে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। ক্যান্সারের রোগী সবচেয়ে বেশি জিডিপিতে অবদান রাখছে। আধুনিকায়নকে উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে এক ধ্বংসযজ্ঞের হাতিয়ার।

পৃথিবী উন্নয়ন-প্রকৃতি বিনাশের ফাঁদে আটকে গেছে। প্রাকৃতিক অধিকারের ক্রমাগত হরণের ফলে গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (GPI) অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী অশান্ত ও সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবে। কম শান্তিপূর্ণ দেশগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে সাত গুণ বেশি, টেকসই সমৃদ্ধি ও শান্তি একে অপরের সঙ্গে জড়িত। যে বনভূমি আমাদের জীবন ধারণে অবদান রেখেছে সেগুলো শুষ্ক জমিতে পরিণত হচ্ছে। হাজার বছরের সভ্যতার ধারক নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে অথবা চরম দূষণের শিকার হচ্ছে। আমরা যে বাতাস শ্বাস নিচ্ছি তা দূষিত, আর আমাদের পায়ের নিচের মাটিও দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে, যা পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব। এ পরিস্থিতিতে মানব জাতি ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকটময় মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিবর্তনীয় ক্ষতির চিত্র :

► বর্তমান সময়ে প্রজাতির বিলুপ্তির হার গত ১০ মিলিয়ন বছরের তুলনায় অনেক বেশি।  (Benton, 2021) আইইউসিএন (IUCN) রেড লিস্টের ৭ হাজার ৪১২ প্রজাতি জলবায়ু পরিবর্তন ও চরম আবহাওয়ার কারণে হুমকির মুখে, যার মধ্যে ১৯% মিঠাপানির মাছ এবং ৪৪% প্রবালপ্রাচীর গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি রয়েছে। 

► IPBES -এর গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বের ৮ মিলিয়ন প্রজাতির মধ্যে ১ মিলিয়নের বেশি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। 

► মানুষের সৃষ্ট কারণে পৃথিবীর ৭৫% ভূমির কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটেছে, যার মধ্যে ৮৫% জলাভূমি ধ্বংস হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ৪০% মানুষ (৩.২ বিলিয়ন) ভূমি অবক্ষয়ের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত (Energy Skeptic, 2018)। 

► বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ২৫% ভূমি পরিষ্কার, কৃষি উৎপাদন ও সার ব্যবহারের কারণে ঘটে (Key findings: Climate change science, UN). 

► বৈশ্বিক খাদ্যব্যবস্থা জীববৈচিত্র্য ক্ষতির প্রধান চালক, যেখানে শুধু কৃষি খাতে ২৮ হাজার বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে ২৪ হাজার প্রজাতির জন্য প্রধান হুমকি। (Benton, 2021) (UNEP, 2021)

► প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রবালপ্রাচীরগুলো ক্রমাগত উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও দূষণের শিকার হচ্ছে। পরাগায়ণকারীর বিলুপ্তির কারণে বার্ষিক $৫৭৭ বিলিয়ন ডলারের কৃষিজ উৎপাদন ঝুঁকির মুখে। (United Nations, 2019)

► মানব সৃষ্ট কারণে ৬৬% মহাসাগরীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ ও দূষণ। (IPBES, 2019)

► পৃথিবীর ৯০% সামুদ্রিক মাছের মজুদ সম্পূর্ণভাবে শোষিত, অতিরিক্ত শোষিত বা বিলুপ্তির পথে। (UNCTAD, 2019)

► উন্নয়নের ফলে প্রাণী ও মানুষের মধ্যে সংস্পর্শ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে COVID-19 -এর মতো মহামারির ঝুঁকি বাড়ছে। (UNEP, 2023)

► উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র ধ্বংসের ফলে ১০০-৩০০ মিলিয়ন মানুষ বন্যা ও হারিকেনের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। (UNEP, 2023)

আমাদের চারপাশে এই ধ্বংসের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তবুও আমরা এখনো নিজেদের প্রকৃতি থেকে আলাদা ভাবি এবং এমন একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে আছি যা পৃথিবীর জীবনধারার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু এই বিচ্ছিন্নতার মূল্য আর উপেক্ষা করা যাবে না। মানব অস্তিত্বের মূল ভিত্তিই এখন হুমকির মুখে। পরিবেশগত হুমকি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে সাহেল অঞ্চলের মতো স্থানে, যেখানে দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, দারিদ্র্যের উচ্চমাত্রা এবং স্বল্পমেয়াদি জলবায়ুগত পরিবর্তন রয়েছে। পরিবেশগত হুমকি সূচক ( ETI) দেখিয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৩০টি দেশে ১.১ বিলিয়ন মানুষ গুরুতর পরিবেশগত হুমকির সম্মুখীন হবে এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষা অত্যন্ত দুর্বল হবে। ২.৮ বিলিয়ন মানুষ গুরুতর পরিবেশগত হুমকির মুখে পড়বে, যা ২০২৩ সালে ছিল ১.৮ বিলিয়ন (Institute for Economics and Peace (IEP), 2023)। ফলে, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ধ্বংস এবং সামাজিক বৈষম্য একসঙ্গে মানব অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এটি কোনো পৃথক সমস্যা নয়, বরং প্রকৃতি থেকে মানুষের বিচ্ছিন্নতার একটি কাঠামোগত ব্যর্থতার প্রতিফলন। এ পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীর মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা প্রকৃতির ক্ষতির বিনিময়ে উন্নয়ন চায় নাকি সাময়িক স্বার্থের পরিবর্তে প্রকৃতিকে টেকসই করে সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়াকে অগ্রাধিকার প্রদান করবে।

প্রকৃতি ও সমৃদ্ধির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক থাকায় প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানুষসহ সব জীবের জন্য শান্তি, ন্যায়সংগত ও ভারসাম্যপূর্ণ অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পারে। অথচ মানুষের প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একটি ভুল ধারণা, যা মানুষকে প্রকৃতির অংশ হিসেবে নয়, বরং এর শাসক হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই ভুল চিন্তাধারার ফলে প্রকৃতির শোষণ হয়েছে, যা এক সময়ের সবুজ বাস্তুতন্ত্রকে পরিণত করেছে শূন্য মরুভূমিতে এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক সভ্যতা যেমন- মায়া, মেসোপটেমিয়া, ইস্টার দ্বীপের অধিবাসীরা একই ভুল করেছিল। কিন্তু আজ সংকট আরও ব্যাপক ও বৈশ্বিক।

পরিবেশগত বিপর্যয় জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে, খাদ্য নিরাপত্তাকে দুর্বল করে এবং মানুষ ও সম্প্রদায়কে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে (UNEP, 2023)। প্রকৃতি সংরক্ষণ সূচক (NCI)-এর তথ্য অনুসারে, সংরক্ষণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে জীববৈচিত্র্যের সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে, সমৃদ্ধ পরিবেশগত ঐতিহ্যের জন্য হুমকির সম্মুখীন এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে (Earth.org, 2023)। সংরক্ষিত অঞ্চল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য সম্পদ বিনিয়োগ করা হলেও আবাসস্থল বিচ্ছিন্নতা, শিল্প উন্নয়ন এবং প্রজাতির সংখ্যা হ্রাসের মতো চ্যালেঞ্জের কারণে এগুলো পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারছে না। (BioDB.com and Goldman Sonnenfeldt School of Sustainability and Climate Change, Ben-Gurion University, 2024).

গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত জমি পুনরুদ্ধারে প্রতি ১ ডলার বিনিয়োগের বিপরীতে আনুমানিক ৭ থেকে ৩০ ডলারের সমপরিমাণ স্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদন, কার্বন গ্রহণ এবং পানির গুণগত মান নিশ্চিত করে। যদি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের অতিরিক্ত ক্ষতি বন্ধ করার সঙ্গে সমন্বিত করা হয়, তাহলে অনুমান করা হয়, ৬০ শতাংশ সম্ভাব্য জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তি রোধ করা যেতে পারে (Leclère, 2020)। কেবল কৃষি বনায়নই ১.৩ বিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে পারে এবং কৃষি, ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করতে পারে, যেখানে বিনিয়োগের তুলনায় চারগুণ বেশি লাভ পাওয়া সম্ভব (Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC), 2019)।

গলিত মেরু বরফ, ঘূর্ণিঝড়, বন উজাড় ও পানির সংকট প্রকৃতির স্পষ্ট সতর্কবার্তা, যা উপেক্ষা করলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, বিশেষ অ্যামাজনের মোট ১৭% বন ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১৭% মারাত্মকভাবে অবক্ষয়ের শিকার। জল নিরাপত্তা বর্তমানে সংঘাতের অন্যতম প্রধান চালক হয়ে উঠেছে। সমুদ্রের প্রবালপ্রাচীর পৃথিবীর ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবিকায় কোনো না কোনোভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে- খাদ্য, আয় বা উপকূলীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে। বিশ্বের প্রায় ৪০% ভূমি ইতোমধ্যে অবক্ষয়ের শিকার, যা ৩.২ বিলিয়ন মানুষের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে (UNCCD), 2022)। বর্তমানে ৪৬টি দেশ মারাত্মক পানির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং অতিরিক্ত ৩১টি দেশে পানির সংকট তীব্র। বিশ্বব্যাপী দুই বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে রয়েছে। ২০৪০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (MENA) অঞ্চল উপ-সাহারা আফ্রিকার মতোই তীব্র পানি সংকটে ভুগবে।

এ ছাড়াও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে জলবায়ু সংকট অব্যাহত রয়েছে। ২০৩০ সালে শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রিতে নামানোর কথা থাকলেও ইতোমধ্যে ১.২-১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে, যা অগ্নিকাণ্ড, হারিকেন, খরা এবং অনাহারকে আরও প্রকট করে তুলছে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে আমরা এমন এক বিন্দুতে পৌঁছে যাব, যেখান থেকে ফিরে আসার কোনো পথ থাকবে না।

পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখনই : দরকার প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব

শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়নের মাধ্যমে পরিবেশকে ধ্বংস করলেও প্রকৃত ক্ষতির শিকার হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল সম্প্রদায়গুলো। আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের ঐতিহ্যবাহী ভূমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে, উন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য এই অঞ্চলগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান ব্যবস্থা মানব জাতি ও প্রকৃতির জন্য একটি অস্তিত্বগত হুমকি; এ অবস্থা সামনেও যদি অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়, ব্যাপক প্রজাতি বিলুপ্তি এবং গভীর সামাজিক ভাঙনের এক ভয়াবহ রূপ দেখা যাবে, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে স্পষ্ট। প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব কোনো আদর্শবাদী ধারণা নয়, বরং এটি একটি বাস্তবসম্মত ও অর্জনযোগ্য কাঠামো, যা মানবতার জন্য বেঁচে থাকার এবং বিকাশের একটি নতুন আশা উপস্থাপন করে। আমাদের টেকসই সম্প্রদায় গড়তে হবে, যা মানুষের অস্তিত্বকে প্রাকৃতিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করবে, আমাদের পুনরুদ্ধার করবে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভূমিগুলো এবং জীবনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে। পুরো উন্নয়ন কাঠামোকে উন্নয়ন-বিনাশের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো প্রকৃতিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা এবং প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব এবং প্রাকৃতিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া।

প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে বর্তমান সামাজিক কাঠামোকে বদলাতে হবে এবং এমন শাসন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করে। এটি কেবল পরিবেশ সংরক্ষণ নয়, বরং শক্তির ভারসাম্য পুনঃস্থাপন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার বিষয়।

প্রচলিত উন্নয়নের বিকল্প : প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক শাসন :

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তথা প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীকে প্রাকৃতিক অধিকার সুরক্ষা বা প্রকৃতি ন্যায্যতার বিষয়ে সম্মত হয়ে বৈশ্বিক চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে। এই নীতির আওতায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, পাশাপাশি আন্তসীমান্ত পরিবেশগত ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। প্রতিটি সরকারের উচিত প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক  শাসনব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামো গ্রহণ করা, যেখানে নীতিনির্ধারণ, আইন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক অধিকারকে মূল ভিত্তি হিসেবে রাখা হবে। এটি কেবল প্রকৃতির সহজাত অধিকারের স্বীকৃতি নয়, বরং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনেরও আহ্বান জানায়, যাতে প্রকৃতির প্রকৃত অবদান প্রতিফলিত হয়। নীতিমালাগুলো এমনভাবে প্রণয়ন করা উচিত, যাতে শিল্প কার্যক্রমগুলো বাস্তুসংস্থানগত স্থায়িত্বের সীমার মধ্যে থাকে এবং যে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৃতির ক্ষতি করবে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করা হবে। অন্যদিকে প্রকৃতির পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টাগুলোর জন্য সর্বোচ্চ প্রণোদনা প্রদান করা হবে।

একটি পৃথিবী কল্পনা করুন, যেখানে নদীগুলো বিশুদ্ধ এবং প্রাণবন্ত, বনভূমিগুলো হাজারো জীবের আশ্রয়স্থল, বাতাস নির্মল ও স্বাস্থ্যকর এবং সমুদ্রগুলো জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। কল্পনা করুন, যেখানে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র শহরগুলোর সঙ্গে সহাবস্থান করছে, অর্থনীতি পুনর্জন্মের মূল্যায়ন করছে এবং সমাজ সফলতার পরিমাপ করছে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে। এটি কোনো অদূর ভবিষ্যতের কল্পনা নয়, বরং এটি বাস্তবায়নযোগ্য একটি ভবিষ্যৎ, যদি আমরা সাহস এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পদক্ষেপ নিই।

প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার (NRLG) মূল স্তম্ভগুলো চিত্রে প্রদান করা হলো-

প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা (NRLG) কার্যকর করতে ক) করপোরেট মুনাফা ও শিল্প সম্প্রসারণের পরিবর্তে বাস্তুসংস্থান রক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শাসন ব্যবস্থা ও নীতিগুলোকে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে। খ) বাস্তুসংস্থানভিত্তিক অর্থনীতি তথা সম্পদ আহরণের পরিবর্তে পুনরুদ্ধারমূলক অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, যেখানে বর্জ্য হ্রাস পাবে এবং পুনঃব্যবহার নিশ্চিত হবে। পরিবেশবান্ধব শিল্পের প্রসার ঘটাতে হবে; গ) সীমান্ত উপেক্ষা করে সহযোগিতা-বাস্তুসংস্থান কোনো ভৌগোলিক সীমানা মানে না, তাই পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক আইন ও বহুপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।

মানব জাতির টিকে থাকার ইশতেহার : প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হলে এটিকে আইন ও শাসন কাঠামোর অংশ করতে হবে, যাতে সরকার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো দায়বদ্ধ হয়। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নামে প্রকৃতির শোষণকে উৎসাহিত করছে, যা বাস্তুসংস্থানগত সংকট তৈরি করেছে। প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব অর্জনে নীতিগত পরিবর্তনের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যমান শাসন ও অর্থনৈতিক কাঠামো প্রকৃতিকে শোষণের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, তাই এ কাঠামো পরিবর্তনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এ পরিবর্তন আনতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার মডেল তৈরি করে পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে এগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণ করা যায়। এর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং নাগরিক সমাজকে সক্রিয় করে সরকার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকৃতিবান্ধব নীতি গ্রহণে বাধ্য করতে প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব এবং প্রাকৃতিক অধিকারকে বৈশ্বিক কাঠামোর অংশ করতে হবে।

প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব কেবল একটি নীতিগত ধারণা হিসেবে নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা, সংস্কৃতি, আইন এবং বৈশ্বিক নীতির মধ্যে প্রকৃতির অধিকার ও বাস্তুসংস্থানের গুরুত্ব একীভূত করতে হবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে প্রকৃতি, বাস্তুসংস্থানগত জ্ঞান, সংরক্ষণ নীতিশাস্ত্র এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিবেশ রক্ষার নীতিগুলোকে আইনি ও শাসন কাঠামোর অংশ করতে হবে, যাতে প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব রাজনৈতিক পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল না হয়। চূড়ান্তভাবে মানব জাতি এবং প্রকৃতির সহাবস্থান নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারণ, আইন ও সামাজিক কাঠামো এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে পৃথিবী এবং মানবসভ্যতা একসঙ্গে টিকে থাকতে পারে। আজকের সিদ্ধান্তগুলো নির্ধারণ করবে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। প্রাকৃতিক অধিকার আদর্শিক বিলাসিতা নয়; মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অপরিহার্য শর্ত।

লেখক : গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এবং প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক শাসন গবেষক

এই বিভাগের আরও খবর
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
জুলাই অভ্যুত্থানের অনুদ্‌ঘাটিত চিত্র
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সাহিত্য ও সাংবাদিকতার আন্তসম্পর্ক
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে
আইনের ফাঁকফোকর
আইনের ফাঁকফোকর
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
আওয়ামী ফ্যাসিজমের কবলে আমি
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়
শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ
শিক্ষার সংস্কৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ
সর্বশেষ খবর
বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা
বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা

৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা
নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক
দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত
আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু
রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু

৫৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল
শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা
বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু
চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি
রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব
কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাক চালু
কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাক চালু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন: গোলাম পরওয়ার
নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন: গোলাম পরওয়ার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বরিশালে আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল
বরিশালে আউটসোর্সিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যশোরের অগ্নিকাণ্ডে ৫০ হাজার মুরগিসহ মেশিনারীজ ভস্মীভূত
যশোরের অগ্নিকাণ্ডে ৫০ হাজার মুরগিসহ মেশিনারীজ ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির নতুন আহ্বায়ক কমিটি
মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির নতুন আহ্বায়ক কমিটি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে
রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংস্কারের পরে নির্বাচনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ‘মার্চ ফর ড. ইউনূস’ কর্মসূচি
সংস্কারের পরে নির্বাচনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ‘মার্চ ফর ড. ইউনূস’ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে ৩১
কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে ৩১ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা
টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা
রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি
ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল
বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল

১২ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?
চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক
উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১
রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন
ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুক্রবার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
শুক্রবার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি
পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ
এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক
লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তালেবানকে নিষিদ্ধ ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ তালিকা থেকে বাদ দিল রাশিয়া
তালেবানকে নিষিদ্ধ ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ তালিকা থেকে বাদ দিল রাশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ
শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি
আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএসএফের গুলিতে নিহত হাসিবুলের লাশ ফেরত দিয়েছে ভারত
বিএসএফের গুলিতে নিহত হাসিবুলের লাশ ফেরত দিয়েছে ভারত

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটের নাটাই যাদের হাতে
ভোটের নাটাই যাদের হাতে

পেছনের পৃষ্ঠা

কী হচ্ছে ভারতের মুর্শিদাবাদে
কী হচ্ছে ভারতের মুর্শিদাবাদে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘোলাটে হচ্ছে রাজনীতি
ঘোলাটে হচ্ছে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেনজীরের বিরুদ্ধে বোট ক্লাবের ৩২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ
বেনজীরের বিরুদ্ধে বোট ক্লাবের ৩২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থনীতিতে চমক দেখাবে বে-টার্মিনাল
অর্থনীতিতে চমক দেখাবে বে-টার্মিনাল

পেছনের পৃষ্ঠা

যেভাবে রূপালী ব্যাংকের শেয়ার পাকিস্তানে
যেভাবে রূপালী ব্যাংকের শেয়ার পাকিস্তানে

প্রথম পৃষ্ঠা

ছয় মাসে কী সংস্কার হলো প্রশ্ন দেবপ্রিয়র
ছয় মাসে কী সংস্কার হলো প্রশ্ন দেবপ্রিয়র

প্রথম পৃষ্ঠা

সংঘাত নয়, সমঝোতা চাই
সংঘাত নয়, সমঝোতা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদল-এনসিপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্রদল-এনসিপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

পেছনের পৃষ্ঠা

জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার সামনে বাংলাদেশ
জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার সামনে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রতিবাদী নায়করা
ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রতিবাদী নায়করা

শোবিজ

তিন দেশে চলছে চিকিৎসা
তিন দেশে চলছে চিকিৎসা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিশ্ব ঐতিহ্যের ষাটগম্বুজ মসজিদ
বিশ্ব ঐতিহ্যের ষাটগম্বুজ মসজিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

স্কুলছাত্রীকে হাত পা ভেঙে ও মুখে বালু ঢুকিয়ে হত্যা
স্কুলছাত্রীকে হাত পা ভেঙে ও মুখে বালু ঢুকিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেসটিনি এমডির রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
ডেসটিনি এমডির রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘরপোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ আতঙ্ক
ঘরপোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ আতঙ্ক

সম্পাদকীয়

ট্রেন্ডিংয়ে তটিনী
ট্রেন্ডিংয়ে তটিনী

শোবিজ

ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা পুলিশের
ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা পুলিশের

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের উপহারের হাসপাতাল হবে তিস্তাপাড়ে
চীনের উপহারের হাসপাতাল হবে তিস্তাপাড়ে

নগর জীবন

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাভেদ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাভেদ

শোবিজ

হাঙ্গেরির গ্র্যান্ড মাস্টারকে হারালেন তাহসিন
হাঙ্গেরির গ্র্যান্ড মাস্টারকে হারালেন তাহসিন

মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

অস্কার ঘিরে ইস্টবেঙ্গলে লঙ্কাকাণ্ড
অস্কার ঘিরে ইস্টবেঙ্গলে লঙ্কাকাণ্ড

মাঠে ময়দানে

সাফার ‘যদি আমার হও’
সাফার ‘যদি আমার হও’

শোবিজ

চট্টগ্রামে সোলসের কনসার্ট
চট্টগ্রামে সোলসের কনসার্ট

শোবিজ

অপেক্ষায় থাকলেন নিগাররা
অপেক্ষায় থাকলেন নিগাররা

মাঠে ময়দানে

নিশিপ্যাক
নিশিপ্যাক

সাহিত্য

সরকার কি গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে
সরকার কি গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

কাজটি করে তৃপ্তি পাই কি না সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ
কাজটি করে তৃপ্তি পাই কি না সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ

শোবিজ