২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৭

ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেও বাঁচানো গেল না সেই রোগীকে

অনলাইন ডেস্ক

ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেও বাঁচানো গেল না সেই রোগীকে

ফাইল ছবি

ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেও বাঁচানো গেল না ৪৬ বছর বয়সী আইটি কর্মকর্তা দীপক হালদারকে। শুক্রবার রাতে কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি।

এর আগে গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে তার ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়।

করোনাভাইরাসে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গিয়েছিল ফুসফুস। তখন অস্ত্রোপচার করে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয় দীপক হালদারের।

অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অপারেশন সফল। আগামী ৭২ ঘণ্টা রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তারপরই বোঝা যাবে, রোগীর শরীরে কতটা কাজ করছে নতুন ফুসফুস। 

হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় ওই করোনায় আক্রান্ত রোগীর। এই মৃত্যুতে হতাশ তার পরিবারের সদস্যরা। কারণ দীর্ঘ প্রচেষ্টা এবং টেনশন নিয়ে অস্ত্রোপচার সফল হলেও বাঁচানো গেল না দীপক হালদারকে। শুধু পরিবার কেন, চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা ও উদ্বেগ কম ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না।

শনিবার সকালে ডা. কুনাল সরকার জানান, চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু ১০৫ দিন একমো সাপোর্টে থাকা রোগী নতুন ফুসফুস নিতে পারল না। তার দুটো ফুসফুসই করোনায় সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গিয়েছিল। পূর্ব ভারতে এটি ছিল প্রথম দুটি ফুসফুসের প্রতিস্থাপন। সব মহলের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তা সাফল্য পেল না।

ডা. কুনাল সরকার বললেন, ম্যাচিং ফুসফুস মেলে না, জানি না ফের কতদিনের অপেক্ষা!

প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত দীপক হালাদারের জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর গুজরাটের সুরাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসা হয় ফুসফুস। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গ্রিন করিডর করে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তা পৌঁছে যায়। রাতেই চিকিৎসক কুণাল সরকারের নেতৃত্বে পাঁচজনের চিকিৎসক দল শুরু করে অস্ত্রোপচার। শরীরে সফলভাবে তা প্রতিস্থাপন করেন তারা। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। কিন্তু এই দীর্ঘ প্রচেষ্টা করেও দীপক হালদারকে বাঁচানো গেল না।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর