শিরোনাম
২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৫১

নালিতাবাড়ীতে বিনা সরিষা ও ধান চাষাবাদ বিষয়ক কৃষক সমাবেশ

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

নালিতাবাড়ীতে বিনা সরিষা ও ধান চাষাবাদ বিষয়ক কৃষক সমাবেশ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিনা সরিষা ও বিনা বোরো ধানের জাত চাষাবাদ, কলাকৌশল ও বীজ সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) দিনব্যাপী বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের আয়োজনে প্রশিক্ষণ হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বিনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিচালক ড.মো. আবুল কালাম আজাদ,ড. মো. আবদুল মালেক ও ড. শামসুন্নাহার বেগম বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, দেশে আমন এবং বোরো ফসলের মধ্যবর্তী সময়ে অনেক জমি পতিত থাকে। সেইসব পতিত জমিতে স্বল্প জীবন কালের উন্নত জাতের বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১ এর আবাদ বাড়ানো গেলে দেশে ভোজ্য তেলের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্বয়ংসম্পুর্ণ হওয়া সম্ভব। কৃষি সম্প্রসারণের হিসাব মতে দেশে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা বছরে ২৪ লাখ মেট্রিকটন। আর দেশে উৎপাদন হয় ৮-১০ লাখ টন। তন্মধ্যে সরিষার তেল উৎপাদিত হয় ৫ লাখ মেট্রিকটন। ঘাটতি থাকে ১৯ লাখ মেট্রিকটন। ভোজ্যতেলের এই ঘাটতি মেটানো হয় ৩ লাখ মেট্রিকটন সয়াবিন এবং ১২ লাখ মেট্রিকটন পামঅয়েল আমদানির মাধ্যমে। এতে বছরে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। এ ছাড়া দেশে আমন এবং বোরো ফসলের মধ্যবর্তী সময়ে পতিত থাকে অন্তত ২২ রাখ হেক্টও জমি। এ সব পতিত জমিতে মাত্র ৮০ দিন জীবনকালের বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১ আবাদ প্রতি বছর ১৫-২০ শতাংশ হাওে বাড়ানো গেলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশে ভোজ্যতেলের স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন সম্ভব হবে। সেই সাথে সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমান বৈদশিক মুদ্রা,কমবে পরনির্ভশীলতা। আর স্বল্প মেয়াদি বিনা ধান-২৪ আবাদ করলে কৃষকরাও অনেক লাভবান হবেন। এর গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬.৫ - ৯.০ টন। এবং বিনা ধান -২৫ এর গড় ফলন ৭.৬ - ৮.৭ টন প্রতি হেক্টরে। এ সময় প্রধান অতিথি ঘোষণা করেন আগামী বছর নালিতাবাড়ীতে ১৫০০ জন প্রকৃত কৃষকের মাঝে স্বল্প মেয়াদি ধান বীজ ও সরিষা বীজ দেওয়া হবে।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফয়সাল আহাম্মেদ ও খামার ব্যবস্থাপক মো.শফিকুজ্জামান প্রমুখ। কৃষক সমাবেশে ৫০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশ গ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে সরিষা রাখার জন্য ৫ জনের মাঝে ড্রাম ও বীজ ধান বিতরণ করা হয়।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর