ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার বীরগাঁও, নাটঘর, বগডহর এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যা পরবর্তী প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষাবাদ করা হয়েছে। যার ফলে পোকামাকড় আর গাছের গোড়ায় আগাছা না জন্মানোয় বাড়তি পরিচর্যা করতে হচ্ছে না চাষিদের। একই জমিতে বছরে তিনবার এই তরমুজ চাষাবাদ করা যায়। দ্রুত সময়ে তরমুজের ফলন ভালো হয়। তরমুজ অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভজনক ও বিক্রিতে ঝামেলা না থাকায় দিন দিন তরমুজ চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিস তরমুজ চাষে বীজসহ সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে। ইতোমধ্যে জমি থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ পাইকারি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি তরমুজ দেড় থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। সাধারণত শীতকালে চাষ করে মার্চ-এপ্রিল মাসে জমি থেকে তরমুজ উত্তোলন করা হতো। বর্তমানে উন্নতমানের কৃষি প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সারা বছরই তরমুজ চাষাবাদ করা হচ্ছে। এতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফসল। উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের বড়হিত গ্রামের কৃষক শামীম আহমেদ জানান, প্রথমবারের মতো সূর্যডিম জাতের তরমুজ আবাদ করেছি। ২০ শতক জমি থেকে ইতোমধ্যে ৯২ হাজার টাকা তরমুজ বিক্রি করেছি। আরও ৫০ হাজার টাকা বিক্রির সুযোগ আছে। অতি অল্প সময়ে এ ফসল আবাদে অনেক কৃষকের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
নবীনগর পূর্ব ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবু নোমান জানান, পুকুর পাড় ও পরিত্যক্ত জমিতে তরমুজ আবাদের জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। অসময়ে এ ধরনের চাষাবাদে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই