সিলেট এমসি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ বেলা ১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৯৫ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়- এমসি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে নিপু ও রায়হান গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে নিপু গ্রুপের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। বেলা ১টার দিকে রায়হান গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। গুলিবিদ্ধ হন নিপু গ্রুপের রতন গুপ্ত ও খায়রুল ইসলাম শাহীন। তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া সংঘর্ষে আরও অন্তত ৮ জন আহত হন। পরে শাহপরাণ থানা পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে ৯৫ রাউন্ড রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী বলেন- রবিবার পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনতে কলেজে যান ছাত্রলীগ কর্মী বিকাশ চন্দ্র সাহা। এসময় হিরণ মাহমুদ নিপু ও তার নেতাকর্মীরা বিকাশকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে বিকাশের সহকর্মীরা ক্যাম্পাসে গেলে নিপু গ্রুপের আকাশ, হোসেইন, শামীম আলী ও রাসেলের নেতৃত্বে তাদের অনুসারীরা গুলি ছুঁড়ে। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
হিরণ মাহমুদ নিপু জানান- সকাল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল। হঠাৎ করে রায়হান গ্রুপের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে গুলি করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। রায়হান গ্রুপের ছোঁড়া গুলিতে ছাত্রলীগের রতন ও শাহীন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন নিপু।
শাহপরাণ থানার ওসি নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান- আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯৫ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন