রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাংবাদিক আরাফাত রাহমানের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক মানববন্ধনে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলা মানেই গণমাধ্যমের ওপর হামলা। হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের শুধু সংগঠন থেকে বহিষ্কার করলে হবে না। বহিষ্কার করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, মারধরের ঘটনায় আরাফাত রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ প্রশাসন যেন আসামিদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। নাহলে সাংবাদিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে রাজশাহী ও রাবিতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট, রাবি ছাত্র ফেডারেশন, ঝিনাইদহ জেলা সমিতি সংহতি জানায়।
রাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজ রনির সঞ্চালনায় মানববন্ধনের বক্তব্য দেন রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কায়কোবাদ খান, সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মিঠু, রাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাসান আদিব, সহ-সভাপতি মুস্তাফিজ মিশু, রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি তাসলিমুল আলম তৌহিদ, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক সোহাগ, দৈনিক সমকাল ও ডিবিসি নিউজের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য জাবিদ অপু এবং বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল মজিদ অন্তর, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য রাশেদ রিমন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক, রাজশাহী শহরের সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী রাবি শাখার সভাপতি প্রদীপ মার্ডি।
গত সোমবার একটি বাসে হামলা করে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী। ঘটনার ছবি তুলতে গেলে আরাফাতের ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতারা। এঘটনায় আরাফাত নিজেই বাদী হয়ে নগরীরর মতিহার থানায় রাবি শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান লাবন জনসহ আরো ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা