অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গত সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় ক্যাম্পাসে দুই গ্রপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও বঙ্গবন্ধু হলের দুটি কক্ষ ভাংচুর করার দায়ে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গেও অভিযোগ এনে মঙ্গলবার তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গেও অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন জন সহ সভাপতি যথাক্রমে ইয়াসির আরাফাত, মাহমুদ চৌধুরী আসিফ, আব্দল্লাহ আল মারুফ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহমুদ কামাল তুহিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সাথে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেন স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারন দর্শানোর জন্যে বল হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এ প্রসঙ্গে সাময়িক বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোমবারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এর সাথে আমি কোন ভাবেই জড়িত ছিলাম না। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে বহিস্কার করানো হয়েছে। আশা করি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করবেন।
অপরদিকে সদ্য বহিষ্কৃত সহ সভাপতি ইয়াসির আরাফাত বলেন, ঘটনার জন্যে প্রকৃতই যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। একই সাথে কেন্দ্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমাদের নিকট যে কারন দর্শানোর নোটিশের জবাবে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরবো। আশা করি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নোটিশের জবাব পেলে আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এ বিষয়ে জানতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সাধারন সম্পাদক ওয়ালী উল্লার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, পাবনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ গ্রুপের সাথে সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত গ্রুপের মধ্যে ক্যম্পাসে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কওে সোমবার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষ হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে, সাধারন শিক্ষার্থীরা দিগবিদিক ছুটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ক্যাম্পাস থমথমে পরিবেশ বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ইট পাটকেল নিক্ষেপের সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৮ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান