চট্টগ্রাম নগরীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাজি মোহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে কলেজের ভিতরেই এ ঘটনা ঘটে বলে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন।
হাজি মোহাম্মদ মহসিন কলেজে সংঘটিত এ সংঘর্ষের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কলেজ এলাকা, গণি বেকারি, চকবাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে মহসিন কলেজের গণিত বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মায়মুন উদ্দিন মামুন, স্নাতক (পাস) কোর্সের শেষ বর্ষের আনোয়ার হোসেন পলাশ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের জিসান, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের নূর উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের মনিরুল ইসলাম, ইংরেজি প্রথম বর্ষের ছিদ্দিক সোহান, দ্বাদশ শ্রেণির মোহাম্মদ আরমান এবং অর্থনীতি প্রথম বর্ষের হানিফ সুমন।
যুবলীগ নেতা নুরুল মোস্তফা টিনু ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণির অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষ ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত নায়েক আবু হামিদ বলেন, মহসিন কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত চারজনকে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আরও চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১টার দিকে চন্দনপুরা এলাকার ছাত্রলীগ নেতা রউফের অনুসারীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। মহসিন কলেজের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে এসময় তাদের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া দেয় এবং লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরেই দফায় দফায় মহসিন ও চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় নেতারা। এসব ঘটনার নেপথ্যে কাজ করেন সিনিয়র নেতারা। দ্রুত এসবের সমাধান না হলে অচিরেই বড় ধরণের ঘটনার আশঙ্কা করছেন নেতারা।
বিডি প্রতিদিন/৫ আগস্ট ২০১৭/এনায়েত করিম