রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে আটক শিবিরের ১৩ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় নাশকতার সঙ্গে থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরে নাশকতার উদ্দেশ্য মিলিত হয়েছিল। বিভিন্ন সময় ইট, পাটকেল ও লাঠি-শোঠা নিয়েও পুলিশের ওপরও হামলা চালিয়ে ছিলেন আটককৃত ওই নেতাকর্মীর। রবিবার রাতে নগরীরর মতিহার থানা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আটককৃত শিবিরের ১৩ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৭ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে মতিহার থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য ৬ জন এখনো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে থানার উপ পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মাহবুব আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটককৃত শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে ৬ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। আটককৃতরা বিভিন্ন সময় নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শিবিরের রাবি শাখার সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নাবিউল ইসলাম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সভাপতি সাহেব রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে হলের ১৫০, ১৫৫, ২৫৪, ২৭৬ ও ৩৫৮ নম্বর কক্ষ থেকে শিবির নেতা জাকির হোসেন, সাহারুল আলম, শিবির কর্মী আশিকুল হাসান, আরিফুল ইসলাম, রাকিব আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, শরীফুল ইসলাম, আব্দুর রাকিব, অলিউল ও গোলাম রাব্বানিকে ধরে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেই শিবির নেতাকর্মীদের রাতভর মারপিট করে ছাত্রলীগের নেতারা। এসময় ছাত্রলীগের নেতারা একজন শিবিরের আঙ্গুল কর্তন ও দুই জনের পা ভেঙ্গে দেয়। পরে ভোর ৪ টার দিকে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার