ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ২টায় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকূপা রুটের বাস আটকিয়ে দিয়ে এ অবরোধ করে তারা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার আশ্বাসে প্রায় আধাঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্যাম্পাসের বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শতভাগ আবাসিকতার মাস্টারপ্লান নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর অতিক্রম করলেও প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন বঞ্চিত। ক্যাম্পাসে আবাসন সুবিধা না থাকা ও ক্যাম্পাসের আশেপাশে নিন্ম পরিবেশের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরে থাকতে হয়। তারা ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়া করা পরিবহনে। তবে এ বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে পরিবহন সেবা দেওয়ার মতো নিজস্ব গাড়ি নেই বিশ্ববিদ্যালয়টির। এ অবস্থায় নিজস্ব গাড়ি সংকটের কারনে ভাড়া গাড়ি দিয়ে এ চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পরিবহন সংকট। আর যেগুলো গাড়ি আছে তাও আবার ফিটনেসবিহীন। গাড়ি সংকটের মধ্যে আবার এসব লক্কড়ঝক্কড় মার্কা গাড়িতে তাদের অনেক কষ্ট ও অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষর্থীদের নিয়ে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা। এছাড়া ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা বছর বছর বাড়লেও বাড়ছে না পরিবহন ও আবাসিক হল।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহন করার জন্য বাস আছে মোট ৪৭টি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মাত্র ১৬টি। এ ১৬টির মধ্যে আবার সচল রয়েছে মাত্র ১১টি। ভাড়ায় চালিত ৩১টি বাসের মধ্য ১৫টি কুষ্টিয়া সড়কে, ১১টি ঝিনাইদহে ও ৫টি শৈলকুপা সড়কে চলাচল করে।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে পিকনিক ও ওরশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় মালিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়কে গাড়ি না দিয়ে বাইওে ভাড়া দেওয়াকে বেশি লাভজনক মনে করছে। এছাড়া চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন আটটি বিভাগ চালু হওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ায় মূলত হঠাৎ পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এ সমস্যা অতিদ্রুত যাতে সমাধান হয় সে জন্য আমারা পরিচালনা কমিটি আমাগীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে দেখা করবো।’
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর