চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুই শিক্ষার্থীকে এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ এইচ রাকিব নামে এক সংবাদকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে প্রীতিলতা হল থেকে ছাত্রীরা মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবন হয়ে শহীদ মিনারের সামনে এসে মানববন্ধন মাধ্যমে শেষ হয়।
মানববন্ধন চলাকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বার বার বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে ছাত্রফ্রন্টের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বি ও রাজেস্বর দাস গুপ্তকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে, এ সময় তিন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার সময় ছবি তুলতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ রাকিব। আজাদ হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী এসময় তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে। মোবাইল ফেরত আনতে গেলে আব্দুল্লাহ রাকিবকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেয় এক ছাত্রলীগ নেতা।
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে। আন্দোলনের চেষ্টা করা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তবে সাংবাদিক মারধর ও লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এদিকে, সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে সাংবাদিক সমিতি। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত। প্রশাসন দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ জুলাই, ২০১৮/মাহবুব