বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান নোবেল শেখের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় এ হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দেবদারু সড়ক হয়ে মিছিল নিয়ে বিজয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দু'দিক হতে ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করা হয় আন্দোলনকারীদের। এতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্য শিক্ষার্থীরাও লাঞ্চিত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও জানা যায়, শহীদ মুখতার ইলাহী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান আলী, কর্মী বাঁধন, জয়সহ ১৫/২০ জন এ হামলায় অংশ নেন।
বেরোবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহবায়ক ওয়াদুদ সাদমান অভিযোগ করে বলেন, মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে ৫জন আহত হয়। আহতদের জীবনের ঝুঁকি থাকায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না করে অতি গোপনে বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের উপর পুনঃরায় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে নাম বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, যখন হামলা চালানো হয় তখন পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ফটক বন্ধ করে দেন। ফলে আন্দোলনকারীরা সহজে পালাতে পারেনি।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের মুঠো ফোনে কয়েকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, অধ্যাপক আবু কালাম মোহাম্মদ ফরিদ উল ইসলাম বলেন, হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মমতাজুল ইসলাম বলেন, যাতে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের বাহিরে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করতে না পারেন সেই জন্য ফটক বন্ধ করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, কতজন আহত হয়েছেন তা জানা নেই।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে প্রজ্ঞাপনের দাবীতে বেরোবি ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ মিছিল করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন