'আছি মোরা প্রগতির পথে চলতে চাই এক সাথে' শ্লোগানকে ধারণ করে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৮ জন শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়ার সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাপলা ফোরামের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ, অধ্যাপক মুঈদ রহমান, অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম জিল্লু, অধ্যাপক ড. রেজোয়ানুল ইসলামসহ শতাধিক শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যরা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যদের পদচারণায় ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে উঠে। তাদের আগমনে সবুজ ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার হয়।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শাপলা ফোরামের প্রবীণ সদস্যরা অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন ৫৮ জন শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক ও অসাম্প্রদায়িক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে একঝাক তরুণ ও প্রগতিশীল শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। প্রগতিশীলরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তবে আর কোন প্রতিক্রিয়াশীল মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, বঙ্গবন্ধু কর্নার, একুশে কর্নার এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল 'মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব' প্রতিষ্ঠা করেছি। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান