বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সাইফুল ইসলাম বরিশালের বানারীপাড়ার কুমারপাড়া গ্রামের মো. নূরুজ্জামানের ছেলে। নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার এক ধনাঢ্য পরিবারে বিয়েও করেন তিনি।
হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্র জানায়, আটক সাইফুল এক বছর ধরে নিজেকে কখনো ইন্টার্ন চিকিৎসক আবার কখনও মেডিকেল অফিসার দাবি করে গলায় একটি স্টেথিস্কোপ ঝুলিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ইউনিটে রাউন্ড দিয়ে আসছিলো। এসময় তিনি রোগী ও স্বজনদের সাথে বিভিন্ন প্রতারণা করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতেন। এমনকি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার এক বিত্তবান পরিবারের মেয়েকে বিয়েও করেন।
সাইফুল বরিশাল নগরীর সাগরদী ইসলামী আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাশ করেন বলেও জানানো হয়।
এদিকে, চিকিৎসক পরিচয়ধারী সাইফুল কিছুদিন আগে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী আব্দুর রশিদের ছেলেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আব্দুর রশিদ ক্যান্সার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তরিৎ কুমার সমাদ্দারকে জানান।
ডা. তরিৎ কুমার সাইফুলকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভুয়া চিকিৎসকের বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে সাইফুলকে হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনের কাছে সোপর্দ করেন তিনি।
পরিচালক ডা. বাকির হোসেন সাইফুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে একজন ভুয়া চিকিৎসক আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম