ঝিনাইদহে শৈলকূপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম মোল্লাকে মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। এ সময় যুবলীগ সভাপতির ব্যবহৃত গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিস এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টাকা ও চেকসহ যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে।
যুবলীগ সভাপতি শামীম মোল্লা দাবি করেন, ঝিনাইদহ শহরের পূবালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা তুলে তিনি নামাজ পড়তে ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিসে যান। এ সময় জনতা তাকে ব্যাপক মারপিট করে রক্তাক্ত করে এলজিইডি একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। তার ব্যবহৃত গাড়িটিও আন্দোলনকারীরা ভেঙে ফেলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৭৪ হাজার টাকা ও চেক উদ্ধার করে। বাদবাকি টাকার কোন হদিস নেই জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে শামীম মোল্লা এলজিইডি আফিসে আসে টেন্ডার সংক্রান্ত কাজে। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এসময় উত্তেজিত ছাত্রজনতা শামীম মোল্লার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, শামীম মোল্লার গাড়ি থেকে আমরা মাত্র ৭৪ হাজার টাকা ও একটি চেক উদ্ধার করেছি। বাকি টাকার ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। আটক শামীম মোল্লার বিরুদ্ধে কোথাও কোন মামলা না থাকায় শৈলকুপা থানার হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল