খসে পড়ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক ভবনের ছাদের পলেস্তরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবার নিয়ে আতঙ্কে সময় কাটছে শিক্ষকদের। সম্প্রতি খসে পড়া ভারি পলেস্তরার টুকরোর আঘাতে শিক্ষক পুত্রের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক হোসেন জানান, মাঝে মাঝেই ছাদের নিচের অংশ খসে পড়ে। কিছুদিন আগে আমার ছেলে শুয়ে থাকা অবস্থায় পেটের উপর পড়ে আহত হয়। গতকাল সোমবার দুপুরেও এমন ঘটনা ঘটে। গোসলের জন্য ওয়াশরুমে গেলেই খসে পড়েছে ছাদের পলেস্তরা। দুই বালতিতে করে ছাদের টুকরা গুলো ফেলে দিয়েছি। একটুর জন্য মাথার উপর পড়েনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে দোতলা, তিনতলা ও চারতলা মিলিয়ে প্রায় ৮৮টি ভবন আছে। উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের ভবনসহ এ-বি-সি এই তিন ক্যাটাগরির আবাসিক ভবনগুলোর ৩১৯টি বাসায় শিক্ষক-কর্মকর্তার পরিবার থাকার ব্যবস্থা আছে। প্রায় প্রতিটি ভবনেই একই সমস্যা বলে জানান শিক্ষকরা।
হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের শিক্ষক সোহেল মেহেদী বলেন, পুরাতন ভবনগুলো দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় এমন সমস্যা। যাদের ভবনে এমন সমস্যা হচ্ছে তাদের পরিবারের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগগুলো পুরাতন হওয়ায় নিয়মিতই এমন ঘটনা ঘটছে। এখন প্রয়োজন ভবনের ছাদ পরিবর্তন করার, এতে বড় বাজেটের প্রয়োজন। চেষ্টা করছি যাতে ওই ভবনের ছাদগুলো পরিবর্তনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানে যাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল