রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসসি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিংএর অভিযোগ উঠেছে। একই বিভাগের প্রথম বর্ষের (২০১৮-১৯) শিক্ষার্থীরা অপরিচিত মুঠোফোন থেকে সভাপতিকে মেসেজ দিয়ে এই অভিযোগ করেন।
মুঠোফোনের বার্তায় বলা হয়, "স্যার গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের সিএসসি বিভাগের প্রথম বর্ষের সব শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় বর্ষের বড় ভাইয়া এবং আপুরা সৈয়দ আমীর আলী হলের মাঠে ৩.৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত র্যাগ দেন।"
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, বিভাগের সভাপতি এই মেসেজ পাওয়ার পর তার কাছে বেশ কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ পাওয়ার পর বিভাগ থেকে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানুকে জানানো হয়।
ওইদিন বেলা ১২ টা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লাইলা আরজুমান বানু, কম্পিউটার সাইন্স ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের সভাপতি ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন ড. মো. একরামুল হামিদ, সিএসসি বিভাগের অধ্যাপক ড. একে এম আখতার হোসেন, শামীম আহমেদ, ড. বিমল কুমার প্রামাণিক, ড. মো. আনিসুজ্জামান সিদ্দিক, ড. মু. ইকবাল আজীজ খান, সুব্রত প্রমাণিক, মো. রোকানুজ্জামানসহ আরও বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ একটি মিটিং করেন।
মিটিং এ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনজন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং এর মূল হোতা হিসেবে চিহিৃত করা হয়। তারা হলেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহীম আবির, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো: রিফাত হোসেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। আর মো: রিফাত হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রমজান আলী বলে নিজের পরিচয় দেন।
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সভাপতি বিমল কুমার পরামাণিক বলেন, অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে আমাকে মেসেজে অভিযোগ করা হয়। পরে কিছু অভিভাবকও একই অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগের একাডেমিক কমিটির একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় র্যাগিং এর সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জানি। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর