বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি স্মারকলিপি জমা দিচ্ছেন তারা। এতে, কর্মকর্তাদের মধ্যকার ক্ষোভ প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার বেলা ২ টায় ‘স্বাধীনতা পরিষদ’ নামে কর্মকর্তাদের একটি সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গত মাসের ১১ তারিখ ও ২৬ তারিখে ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। এতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমানকে উপাচার্যের একান্ত সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি এবং সংস্থাপন শাখা থেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার খন্দাকার গোলাম মোস্তফাকে অন্য দপ্তরে বদলির দাবি জানানো হয়। দাবি বাস্তবায়নের জন্য তিনদিনের আল্টিমেটাম বেঁধে দেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে কৃষিবিদ খন্দকার গোলাম মোস্তফা ২৭ তারিখে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁর বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পরে গত সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার একটি স্মারকলিপি জমা দেয় ‘স্বাধীনতা পরিষদ’ নামে কর্মকর্তাদের একটি সংগঠন। তারা উপাচার্যের একান্ত সচিব আমিনুর রহমান এবং সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফাকে বদলির আল্টিমেটাম দাতাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে।
কর্মকর্তাদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারণে তাদের পারস্পারিক ক্ষোভ ও হিংসা বাড়ছে। এতে, যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
এবিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপাচার্যের অনুপস্থিতির সুযোগে পিএস আমিনুর রহমান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করে চলেছেন। তারা কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনিক কার্যক্রমে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। তাই তাদেরকে সড়ানোর জন্য অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন দাবি জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অতিদ্রুত তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া দরকার।
উপাচার্যের একান্ত সচিব আমিনুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের একান্ত সচিবের পদ থেকে আমার অপসারণ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোন কারণ দেখানো হয়নি। কোন কারণ ছাড়া কারও অপসারণ কিভাবে চাওয়া যায়?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘কর্মকর্তারা স্মারকলিপিটি দিয়েছে। খুব শীঘ্রই এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল