রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘একুশ শতকে বাংলাদেশকে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর এক অত্যাধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ‘ডিজিটাল’ শব্দটি উল্লেখ করে, তখন বিএনপি-জামায়াত এটাকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করেছিল। ২০০৯-১০ সালের দিকে আমার রাজশাহী শহরের সাহেববাজার এলাকায় আমি বলতে শুনেছি- জামায়াত-বিএনপির লোকেরা দোকানে বলত, এক কেজি ডিজিটাল আলু দেন, এক কেজি ডিজিটাল বেগুন। এভাবে নানা রকম শব্দ ব্যবহার করে তারা ডিজিটাল বাংলাদেশকে উপহাস করতো। কিন্তু সেই উপহাসকারী বিএনপি-জামায়াতের মুখের ওপর ঝাঁটা মারা হয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে।’
শনিবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘From a bottomless Basket to an Emerging Economy: Role of Bangabandhu and Sheikh hasina in the Transformation of Bangladesh’ নামক এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বইটি রচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে লেখকের প্রকাশিত ৪৫টি প্রবন্ধ এই বইয়ে স্থান পেয়েছে।
বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরো বলেন, ‘জামায়াতের চেয়েও বিএনপি খারাপ। জামায়াত সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে। এখনো তারা বিরোধীতা করে। কিন্তু বিএনপি মুখে মুখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের কথা বলে, আর ভেতরে ভেতরে স্বাধীনতা বিরোধীদের মদদ দেয়। দেশকে ধ্বংস করার খেলায় মেতে উঠে। দেশে বোমাবাজি, মানুষ হত্যাসহ নানা রকম ভয়ংকর কর্মকাণ্ড চালায়। বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়তেই আছে। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১০ এর কাছাকাছি চলে যাবে।’
এ সময় বইয়ের লেখক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘আমি একাডেমিক কাজের পাশাপাশি ইংরেজি পত্রিকায় লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। আমার লেখায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা করি। বর্তমানে বাংলাদেশের যে উদীয়মান অর্থনীতি এবং এর পেছনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের যে অবদান সে সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় বইয়ে তুলে ধরেছি। আমার মনে হয় বইটির মাধ্যমে আমাদের কর্মকাণ্ড গুলো সম্পর্কে বাইরের দেশের মানুষ জানতে পারবে।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চিত্ত রঞ্জন মিশ্রের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুম সোবহান, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন