চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে অপহরণ হওয়ার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। অপহরণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
রবিবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমির আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার বাদি মো. এমদাদুল হক ময়মনসিংহ গৌরিপুর থানার মো. আজিজুল হকের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের ছাত্র।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্র আনোয়ার হোসেন, একই বিভাগের আসিফ মাহমুদ শুভ, মোকসেদ আলী ওরফে মীলু প্রামানিক, একই বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের জাহিদুল হাসান, রফিকুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের আসির উদ্দিন ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শরিফ উদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদির আইনজীবী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, গত ২৭ মার্চ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে যান এমদাদুল হক। ওইদিন সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে প্রশাসনিক ভবন থেকে তুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারধর করে। পরে প্যাগোডায় নিয়ে আরেক দফা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর ফলে এমদাদ মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারেননি।
মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, এমদাদ বিভাগের প্রথম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। এছাড়া তার তিনটি জার্নালও রয়েছে। শিক্ষক হওয়ার দৌড়ে প্রথম দিকে থাকায় এমদাদকে তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া দেয়নি। হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় চট্টগ্রাম আদালতে এ মামলাটি করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা