গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেছেন, তিনি 'শিক্ষক রাজনীতি'র শিকার হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সেখানে ৩৩ বিভাগ ও তিনটি ইনিস্টিউটে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জি. মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন হয়রানি অভিযোগ তোলেন গত ডিসেম্বর মাসে। তারা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করা হয় বলে দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরলে আলোচনায় উঠে আসে পুনরায়। এ বিষয়টি এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সুজন-এর সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শিক্ষক আক্কাস আলী ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করে যে অপরাধ করেছেন তার জন্য অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
গোপালগঞ্জ সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষক আক্কাস আলী সম্পর্কে যে কথা শোনা যাচ্ছে সেটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। বিষয়টি শুধু শিক্ষক সমাজ নয়, গোটা জাতির জন্য কলঙ্কজনকও বটে।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আক্কাস আলী জানিয়েছেন, তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্স-এর শিকার হতে হয়েছে। একই বিভাগের অন্য শিক্ষকের সাথে বিভাগীয় প্রধান হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলে আসছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসাবে তাকে শিক্ষার্থী দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল