চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গত দুইদিন (৭ ও ৮ এপ্রিল) ধরে বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন। সোমবার আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে চবির শাটল ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। যার ফলে আন্দোলনের শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
জানা যায়, গত সোমবার ছাত্রলীগ উপাচার্যের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় মঙ্গলবার যথারীতি শাটল ট্রেন চলার কথা থাকলেও সারাদিনের সিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তির শিকার হন হাজার হাজর শিক্ষার্থী। এদিন সকাল থেকে চারবার ট্রেন আসা-যাওয়ার কথা থাকলে মাত্র একবার আসা-যাওয়া করেছে। তাও সিডিউলে থাকা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে। এর মধ্যে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে একটি ট্রেন নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, এবং ১টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা ট্রেন শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া বিকেলে তিনটায় শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে একটা ট্রেন ছেড়ে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় রুটে শাটল চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানা যায়।
এদিকে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ কেউ আবার ট্রাকে চড়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন।
ষোলশহর স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) তন্ময় চৌধুরী বলেন, গত দুইদিন ক্যাম্পাসে ঝামেলা হওয়ায় ট্রেন চলেনি। ধর্মঘটের প্রথমদিন আমাদের এক লোকমাস্টারকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে শিডিউলে বিপর্যয় ঘটছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, চালকদের সঙ্গে আলোচনা করে খুব দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। সকালে একটু সমস্যা থাকলেও বিকেলে স্বাভাবিক হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল