উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের পদত্যাগের একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের ১৫তম দিন আজ বুধবারও ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বেলা ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কর্মকাঠী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। মহাসড়কে শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে আগুন জ্বালিয়ে থেমে থেমে বিক্ষোভ করছেন তারা। ফাঁকে ফাঁকে গান গেয়ে চাঙ্গা থাকার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ভুক্তভোগী যাত্রীরা এর একটি আশু সমাধান চেয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ শিফাত বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবীতে তারা গত ১৪দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করছেন না। এ কারণে দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
সাধারণ জনগনকে দুর্ভোগে ফেলে শিক্ষার্থীরা কেন মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়েছে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীদের আরেক নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে চাননি। কিন্তু সরকার তাদের দাবির প্রতি কোন ধরনের কর্ণপাত না করায় এর কোন বিকল্প ছিল না। গণদুর্ভোগের বিষয়টি সরকারের নজরে এলে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত আসবে বলে মনে করছেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মহাসড়কেই অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের নেতা শফিকুল ইসলাম।
এদিকে, ঘটনাস্থলে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করার কথা জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের মহাসড়ক অবরোধ তুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া অবরোধের সার্বক্ষণিক চিত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। তাদের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা।
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল, ২০১৯/মাহবুব