টানা ৩৪ দিন শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে পূর্ণ মেয়াদে (২৬ মে) ছুটি দেওয়া হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হককে। গত সোমবার উপাচার্যকে পূর্ণ মেয়াদে ছুটি দেওয়ার খবরে পরিসমাপ্তি ঘটেছে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত আন্দোলনের।
তবে সোমবার আন্দোলনের পরিসমাপ্তি হলেও দির্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের তালা খোলা হয়নি। অবশেষে স্থানীয় সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবনের তালা খুলে দেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
তালা খোলার পরই এক মাস ধরে অচল বিশ্ববিদ্যালয় সচল হতে শুরু করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ অফিসের কার্যক্রমে মনযোগ দেয়।
এদিকে উপাচার্যকে পূর্ণ মেয়াদে ছুটি দেওয়ার মধ্য দিয়ে আন্দোলনে সফলতা পাওয়ায় রং উৎসব এবং বিজয় মিছিল করেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীরা। উপাচার্যকে ছুটি দেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের বিজয় হয়েছে বলে তারা মনে করেন। এখন দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে চান শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এলেও আগামী ২ মে থেকে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার কথা জানান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান।
এর আগে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাঁচ্চা’ বলে কটাক্ষ করার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। পরদিন থেকে ওই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তাদের আন্দোলনে যুক্ত হয় শিক্ষক সমিতি বং একর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এক পর্যায়ে এই আন্দোলন উপাচার্যের অপসারণ আন্দোলনের পরিণত হয়। সব শেষ গত সোমবার উপাচার্যকে পূর্ণ মেয়াদে ছুটি দেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ এক মাসের আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন