বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বকালের সেরা বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নিজের এবং তার পরের প্রজন্ম অর্থাৎ সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেখানো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ এমনিতেই হয়ে যাবে না। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
উদ্যোক্তা খুঁজে বের করার সর্বোচ্চ আয়োজন 'স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ; চ্যাপ্টার ওয়ান'- এর বিশ্ববিদ্যালয় পর্বের ওয়ার্কশপে এসব কথা বলেন তিনি। বুধবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরো ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, প্রক্টর ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুব্রত কুমার, আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া প্রকল্প কনসালটেন্ট মো. আরাফাত হোসেন, ইয়াং বাংলার স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ চ্যাপ্টার ওয়ানের পাবলিক রিলেশন অফিসার এস এম আমানুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আয়োজনে ছিলেন ইয়াং বাংলার ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর রুদ্র দেবনাথ।
আয়োজকরা জানান, উদ্ভাবনী ভাবনা, উদ্যোগ ও স্টার্টআপকে ব্যবহার করার লক্ষ্যে ‘আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’ শ্লোগানে আলোকিত হয়ে গত ৮ মার্চ কেন্দ্রীয় সমন্বয় কর্মশালার মাধ্যমে শুরু হয় ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআাপ; চ্যাপ্টার ওয়ান’- এর যাত্রা। দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ; চ্যাপ্টার ওয়ান’ প্রতিযোগিতা। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও অংশ নিতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই করা হবে ৩টি দল। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০ দল নিয়ে সাভারে অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প’। পরবর্তীতে দর্শক এবং বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৩০ স্টার্টআপ। সবশেষে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ উদ্ভাবনী ভাবনা বা স্টার্টআপ নির্বাচন করা হবে যাদের সব ধরণের সহায়তা প্রদান করবে ‘আইডিয়া’ প্রজেক্ট।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিয়া) প্রজেক্ট এবং দেশের তরুণদের জন্য সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলার যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া এই স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার প্রথম অধ্যায় ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলেও পরবর্তী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার