২৭ মে, ২০১৯ ২১:২৫

চবির নেতারাও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে 'বঞ্চিত'

বাইজিদ ইমন, চবি:

চবির নেতারাও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে 'বঞ্চিত'

মৌলবাদের আখড়া খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ক্যাম্পাসকে জামাত-শিবির মুক্ত করতে অনেকে দিয়েছেন নিজের জীবন। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে। যার ফলে আজ মৌলবাদমুক্ত এ ক্যাম্পাস। যেখানে উড়ছে মুক্তিযুদ্ধের আর্দশের পতাকা। চলছে সাংস্কৃতিক চর্চা। যার কারণে এ শাখার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আলাদা একটা মর্যদা বহন করে চলছেন। 

আরো পড়ুন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বরাবরই 'বঞ্চিত' রাবির নেতারা

এ শাখার অনেক নেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এমনকি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন মাঈদুদ্দিন হাসান চৌধুরী। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। মূল্যায়িত হচ্ছে না কেউ-ই। যার ফলে কার্যত স্থবির এ শাখার কার্যক্রম। সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেয়েছে শুধু একজন। 

জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই গুঞ্জন উঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রায় ডজন খানেক নেতা কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য শক্ত লবিং করেছেন অনেকে। 

বাংলাদেশের অন্যান্য ইউনিটের নেতা-কর্মীদের চেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের রয়েছে নানামুখী ত্যাগ। অর্জনও রয়েছে অনেক। এ শাখার অনেক সভাপতিই হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার। কিন্তু সব সময় কেন্দ্রীয়ভাবে অবহেলিত এ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত ১৩ মে ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেয়েছেন একজন ছাত্রী। পদপ্রত্যাশি নেতা ছিলেন প্রায় ডজনখানেক। যার কারণে ক্ষুদ্ধ শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এ নিয়ে কমিটি ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানান সমালোচনার ঝড় উঠে। শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ কামনা করে স্ট্যাটাস দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের কারা নির্যাতিত নেতা জামান নূর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জামাত-শিবিরের নানামুখি হামলার শিকার হয়েছি। কারাবরণ করেছি কয়েকবার। তারপরেও শিবিরের মিনি ক্যান্টম্যান্ট খ্যাত এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পতাকা উড্ডয়ন করেছি। আজ আমরা অবহেলিত। অবমূল্যায়িত। নেত্রী ছাড়া আজ আমাদের দেখার কেউ নেই।

ছাত্রলীগের আরেক সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে জামাত-শিবির মুক্ত একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে এ শাখা ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী তাদের জীবনবাজি রেখেছেন। আজ সেখানে তারাই সব চেয়ে বেশি অবহেলিত।

সোহাগ ও জাকির কমিটির সদস্য ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসাইন জেমস ও সাবরিনা চৌধুরী, তারাও নতুন কমিটিতে কোন পদে আসেননি। অথচ তাদেরই ভালো কোন পদে থাকার কথা। এ নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।

এছাড়াও অবহেলিত হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, মনসুর আলম, নাছির উদ্দিন সুমন, আব্দুল মালেক, গোলাম রসূল নিশান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ আবু সাঈদ, তারেকুল ইসলামসহ আরো অনেকে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর