১৯ মে, ২০১৯ ১৫:১৭

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বরাবরই 'বঞ্চিত' রাবির নেতারা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বরাবরই 'বঞ্চিত' রাবির নেতারা

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বরাবরই বঞ্চিত হয়ে আসছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাবি ছাত্রলীগ উপেক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই ইউনিটের নেতাকর্মীরা। সদ্য ঘোষিত ছাত্রণীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছে মাত্র দুইজন।

এর আগে ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটিতেও পদ পেয়েছিলেন মাত্র তিনজন। সেই কমিটিতে আবু হোসেন লিপুকে সহসভাপতি, সরকার ফারহানা আকতার সুমিকে উপ-সমাজ সেবা সম্পাদক ও সব্যসাচি হালদারকে সহ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আর বর্তমান ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের মাত্র দুজন নেতার জায়গা হয়েছে। এরা হলেন সহ-সভাপতি পদে খালেদ হাসান নয়ন এবং সহ-সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম। তবে এই দুইজন ছাড়াও এবার বেশ কয়েকজন নেতা পদপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাই রাবি ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, বরাবরের মতো এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদালয় ছাত্রলীগ বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মেধাবীরা রাজনীতিতে আগ্রহ হারাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই রাবি ছাত্রলীগ স্থানীয় রাজনীতির যে কোন্দল সেখানে তাদের ইসলামী ছাত্র শিবিরকে মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয়। অনেক ত্যাগ স্বীকারের পরও বরাবরই কেন্দ্রীয় কমিটিতে যথাযথ মূল্যায়নহীন থাকছেন তারা। রাবি ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী শিবিরের হামলার শিকার হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে জীবন যাপন করছেন। এদের মধ্যে কাউকে কোন সন্তোষজনক কোনো পদে মূল্যায়ন করা হয়নি।

রাবি শাখা ছাত্রলীগের একাধিক সাবেক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের অন্য যেকোনো ক্যাম্পাসের তুলনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকা অত্যন্ত দুর্বহ। এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে শিবিরের আধিপত্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। রাজনীতিতে ‘ঢাকা কেন্দ্রিক’ মনোভাবের ফলে অনেক যোগ্য নেতা থাকা সত্ত্বেও এখানকার কাউকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয় না। 
রাবি ছাত্রলীগ নেতারা মনে করছেন, সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যেসব হাইব্রিড, বিতর্কিত নেতা স্থান পেয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হোক। আর এই কমিটিতে রাবি শাখা ছাত্রলীগকে যেন যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়।

এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, যারা পদ পেয়েছেন, তাদেরকে শুভেচ্ছা। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ যাদেরকে যোগ্য মনে করেছে তাদেরকে পদ দিয়েছে। তবে আমি আশা করবো, যারা কেন্দ্রীয় কমিটি দেওয়ার দায়িত্বে আছেন তারা যদি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অতীত বর্তমান ইতিহাসের দিকে লক্ষ করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাবি ছাত্রলীগকে বিবেচনায় আনে তাহলে অনেক নেতাকর্মী রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়বে না। তাছাড়া এ ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে গিয়ে যেসব নেতা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের মূল্যায়ন না করার কারণে পরবর্তী সময়ে তারা আর দলের জন্য কাজ করতে আগ্রহ পান না।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর