কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যকার খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিভাগ দুটির শিক্ষার্থীরা। রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনাল খেলা-চলাকালীন সময় ফাউল করাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে বাংলা বিভাগের রিয়াদ, আবব্দুর রহমান, সাকিবসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে মার্কেটিং বিভাগের এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা দেন। পরে দু’পক্ষে উত্তেজনা শুরু হলে আয়োজক কমিটি প্রায় ২০ মিনিটের মতো খেলা বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে খেলা শেষ হলে পূর্বের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এবং খেলা দেখতে আসা দর্শকরা তা থামাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন তারা। এতে শাখা ছাত্রলীগের ইমাম হোসেন মাসুম, জুনায়েদ আহমেদসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করলে তারা বাংলা বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয়কে বেধড়ক মারধর করেন। পরে বিজয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনার সহকারী প্রক্টর মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক নূর মোহাম্মদ রাজু, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজীম হোসেন সোহাগ, বাংলা ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয়সহ দু’পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বলেন, ‘মারামারি চলাকালীন সময় আমি থামাতে গেলে কেউ একজন ধাক্কা দেয় এবং আরেকজন আমার পেটে ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে জখম করে। এতে আমার পেটের কিছু অংশ কেটে যায়। তখন উত্তেজিত অবস্থায় হয়তো কাউকে ধাক্কা দিয়েছিলাম।’
আরেক ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ বলেন, ‘আমি ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাকে মারধর করে। পরে মারধর থামাতে অনেককেই সরাতে হয়েছে।’ আহত বিজয়কে মারার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব