ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা এক দর্শনাথীকে মারধর করে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে নাহিদ হাসান নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ছিনতাইয়ের সময় সহযোগী হিসেবে নাহিদের সাথে ছিলো বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আহমেদ রনি। তার মাধ্যমেই ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি ও নাহিদ একটি বাইকে করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায়। সেখানে আবদুল্লাহ নামে এক দর্শনার্থীকে জোরপূর্বক বাইকে তুলে ফুলার রোডে নিয়ে যায়। সেখানে নাহিদ তাকে বেদম প্রহার করে তার মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। পরে আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে তার এক আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করলে মুহসীন হলের এক ছাত্রলীগ নেতার মাধ্যমে ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে মুহসীন হলের সেই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘হাসান দর্শনার্থীকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে চলে আসে। পরে তার ফোনটি উদ্ধার হয়েছে।’
ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হল ছাত্রলীগের মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের বলে জানান রনি। তিনি ও হলের আরেক সহ-সভাপতি সৌরভ হল ছাত্রলীগের বরিশাল গ্রুপ চালায়। উভয়ই ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের রাজনীতি করে। আরিফের মোটরসাইকেল কীভাবে ছিনতাইকারীদের কাছে গেল, সে বিষয়ে জানতে তাকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায় নাহিদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। কয়েক মাস আগে ভিসি চত্বরে এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের নির্জন স্থানে নিয়ে ভুক্তভোগীদের হাতে গাঁজা ধরিয়ে, কখনও জামায়াত-শিবির অপবাদ দিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে নাহিদ হাসানকে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ছিনতাইয়ের বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব