চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পক্ষ দুটি হলো ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও বাংলার মুখ (বিএম)। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ আবদুর রব হলের ৮টি কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের ভেতরে টাকা জমা দিতে গিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে উভয় পক্ষ শহীদ আবদুর রব হলের সামনে গিয়ে ধাওয়া পাল্টায় জড়িয়ে পড়ে।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এস এইচ শিপন ও বাংলা বিভাগের ফাহাদ, ২০১৬-১৭ সেশনের সিএসই বিভাগের শাহ আজহার হোসেন। এদের মধ্যে দু'জন বাংলার মুখের কর্মী ও অন্যজন (শিপন) ভিএক্সের। আহতদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকে বিভাগের পরীক্ষার ফি জমা দিতে লাইনে দাঁড়ান ফরহাদ ও আজহার নামের বাংলার মুখের দুই কর্মী। একই সময়ে ভিএক্সের দুই কর্মী লাইনে না দাঁড়িয়ে জোরপূর্বক ফি জমা দিতে চাইলে এর প্রতিবাদ করেন বাংলার মুখের দুই সদস্য। এসময় ভিএক্সের দুই সদস্য তাদের গায়ে হাত তুলে। পরে ঘটনার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে। উভয় পক্ষ শহীদ আব্দুর রব হলের সামনে ধাওয়া পাল্টায় জড়িয়ে পড়ে। এতে দু'পক্ষের তিনজন আহত হয়।
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমরা বসে মিমাংসা করে নিয়েছি।
এদিকে, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ও বাংলার মুখের নেতা আমির সোহেল বলেন, আমরা সিনিয়ররা বসে বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, দুইপক্ষ বসে বিষয়টা সমাধান করে নিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম