চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। শহর থেকে ক্যাম্পাস অথবা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে বাসে। আবার নির্ধারিত সময়ের দেরিতে বাস ছাড়ায় হেটেই বাসায় ফিরেছেন কেউ কেউ।
ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন রুটের বাসে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা দাঁড়িয়েই ক্যাম্পাসে পৌঁছেছেন। পরীক্ষার ফলে অন্যান্য দিনের চেয়ে শিক্ষক বেশি হলেও ছোট বাস দেওয়া হয়েছে বলেও উঠেছে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন মিত্র বলেন, পরীক্ষার হলে যাওয়া ও আসা দুই সময়েই সমস্যা হয়েছে। আমি যে বাসে ছিলাম সেখানে আট থেকে দশজন শিক্ষক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমনিতেই শিক্ষক সংখ্যা বেশি, কিন্তু ছোট বাস দেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা আক্তার বলেন, আমি ক্যাম্পাসে থাকি। একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু আজকে একটু এরকম প্রবলেম হতেই পারে।
প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেল বলেন, আসলে একসাথে অনেকজন হওয়ায় এরকম হয়েছে। পরের বাসগুলোতে অল্প কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিল। আমিও ছিলাম। কিন্তু এটাকে বিগ ইস্যু মনে করি না। ভর্তি পরীক্ষার সময় বেশি চাপ থাকে।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম বলেন, সকালের বাসে দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে। বাস ছোট ছিল। আবার বিকেলে ফেরার সময় বাস স্টপে সাড়ে চারটার সময় উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু পাঁচটা বেজে গেলেও বাস আসেনি৷ তখন সমুদ্রবিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রায় ১৫ জন শিক্ষক বাসায় হেটে এসেছি। আমরা যখন লাইব্রেরির সামনে দিয়ে আসছিলাম তখন দেখি বাস যাচ্ছে সমুদ্রবিজ্ঞানে। শুনেছি ওই বাসগুলোতেও শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষক বাস আধা ঘণ্টা দেরিতেও না পৌঁছালেও কর্মচারীরা সঠিক সময়ে আসতে পেরেছে।
তবে পরিবহন দপ্তরের পরিচালক আবু তাহের চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আমরা জানি না।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে একটু দেরিতে হতে পারে। এটা হতেই পারে। কিন্তু কেউ আমাদের কোন অভিযোগ দেয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন