চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের বাস সংকট দেখা দিয়েছে প্রথম দিন থেকেই। বাস সংকটের কারণে শিক্ষকদের দাঁড়িয়ে পরীক্ষার হলে যেতে দেখা গেছে। এতে করে শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে দাবি শিক্ষকদের।
সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন মিত্র বলেন, প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত বাস সংকটের কারণে আমরা দাঁড়িয়ে পরীক্ষার হলে যাচ্ছি। পরিবহন দপ্তরকে বিষয়টি জানানোর পরেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, আজকে পরীক্ষার হলে যাওয়া ও আসা দুই সময়েই সমস্যা হয়েছে। আমি যে বাসে ছিলাম সেখানে আট থেকে দশজন শিক্ষক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমনিতেই শিক্ষক সংখ্যা বেশি, কিন্তু ছোট বাস দেওয়া হয়েছে।
সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ বাবু বলেন, পরীক্ষার হলে ডিউটি পালন করতে ১২৯ জন শিক্ষক কর্মকর্তার জন্য একটি গাড়ি। যে গাড়ির সিট সংখ্যা ৫০ টি। প্রায় ৭০ জন মতো শিক্ষক-কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে পরীক্ষার হলে গেছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম রাসেল বলেন, প্রতিদিন একই সমস্যা হচ্ছে। কোন ধরনের উন্নতি নেই। সকালের বাসে দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে। বাস ছোট ছিল। আবার বিকেলে ফেরার সময় বাস স্টপে সাড়ে চারটার সময় উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু পাঁচটা বেজে গেলেও বাস আসেনি৷ তখন সমুদ্রবিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রায় ১৫ জন শিক্ষক বাসায় হেটে এসেছি।
ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন রুটের বাসে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা দাঁড়িয়েই ক্যাম্পাসে পৌঁছেছেন। পরীক্ষার ফলে অন্যান্য দিনের চেয়ে শিক্ষক বেশি হলেও ছোট বাস দেওয়া হয়েছে বলেও উঠেছে অভিযোগ। শহর থেকে ক্যাম্পাস অথবা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে বাসে। আবার নির্ধারিত সময়ের দেরিতে বাস ছাড়ায় হেটেই বাসায় ফিরেছেন কেউ কেউ।
তবে পরিবহন দপ্তরের পরিচালক আবু তাহের চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন