দীর্ঘদিন ধরে মৌখিকভাবে ‘নিষিদ্ধ’ থাকা রোড পেইন্টিং করার মধ্য দিয়েই প্রশাসনের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শীতকালীন ছুটিতে আবাসিক হল খোলা রাখা, শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ আটটি দাবিকে কেন্দ্র করে অষ্টম দিনের মত শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন যাবত নিষিদ্ধ রোড পেইন্টিং ও বিভিন্ন স্থানে ‘চিকা’ মারে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রোড পেইন্টিংয়ের সংস্কৃতি চলে আসছে। তবে গত দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অনেকেই রোড পেইন্টিংয়ের অনুমতি পায়নি।
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী রোড পেইন্টিংয়ের ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের এ ব্যাপারে অনুমোদন নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা অনুমোদন নেয় নি। বরং তারা অর্বাচীনের মত আচরণ করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি চিরতরে রোড পেইন্টিং বন্ধ করে দেইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা বিভাগের প্রতিটা সেমিস্টার থেকে রোড পেইন্টিং করতে চাইলে বছরে গড়ে চারশ’র মত রোড পেইন্টিং হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হবে।’
অনুমোদন না নিয়ে রোড পেইন্টিং করায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
প্রসঙ্গত, শীতকালীন ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত বুধবার মানববন্ধনে দাঁড়ায়। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে মানববন্ধন পণ্ড হয়। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মশাল মিছিল, সম্মিলিত গান, গ্রাফিতি ও রোড পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে অষ্টম দিনের মত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল