চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেরিন সায়েন্স অনুষদ ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে চাঁদা দাবি করেছে শাখা ছাত্রলীগের ১০ নেতা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে দেখা গেছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করে সেই চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুর চালিয়ে শ্রমিকদের মারধর করার অভিযোগও উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াকুব অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক নাঈম উল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত রবিবার (২১ জুন) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ছাত্রলীগ পরিচয়ে পাঁচজন যুবক নির্মাণাধীন ভবনে এসে আমাদেরকে হুমকি দেয়। এসময় তারা বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনার আগ পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হবে। গত সোমবার (২২ জুন) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে তারা আবার আসেন। এসময় সাইট অফিস ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন ফল পায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত সোমবার রাত ৮টা ২৭ মিনিটে মেরিন সায়েন্স অনুষদের নির্মাণ প্রকল্পে ১০ জন যুবক প্রবেশ করেন। এ সময় ভেতরে বসে থাকা কয়েকজন শ্রমিককে কিছু বলতে দেখা যায় থ্রি-কোয়ার্টার পরা এক যুবককে। এরপরই শ্রমিকদের চলে যেতে দেখা যায়। আরেকটি ফুটেজে দেখা যায় সাদা শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরা একজনের হাতে লোহার রড।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে তিনটি বাইকে করে আবার নির্মাণাধীন ভবনে যান সাত যুবক। এ সময় বাইক থেকে নেমে এক যুবককে ভবনের ফটকে লাথি মারতে দেখা যায়। পরে তারা বাইক নিয়ে চলে যান।
তবে এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ কোনও দায়ভার নেবে না বলে জানিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
তারা বলেন, চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত কেউই ছাত্রলীগ দাবি করার সুযোগ নেই। অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, ভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় অংশ নেয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তারা হলেন- সাবেক সহ-সভাপতি মনসুর আলম, আল-আমিন রিমন, আবদুল মালেক, সুমন নাছির ও সাবেক সদস্য প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর