ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় সংগঠন একে অপরকে দোষারোপ করেছে। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায় ভিড় না করতে মাইকিং করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সদস্য তানবীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা। সেখানে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজ চৌধুরী ও কবি জসীম উদ্দীন হলের জিএস ইমাম হাসানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় হাতাহাতিতে।
এ ব্যাপারে ইমাম হাসান সাংবাদিকদের জানান, আমি মাইকিং করছিলাম। এসময় ছাত্রদলের একজনকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে বললে তিনি যাবেন না জানান। তিনি ক্যাম্পাসের পরিচয় দেন। তখন আমি বললাম ক্যাম্পাস বন্ধ, তাই আপনাকে চলে যেতে হবে। এ কথা বলায় তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আমার শার্টের কলার ধরেন। তখন ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও আমাকে মারধর শুরু করেন।
তবে ছাত্রদল নেতা মাহফুজ তা অস্বীকার করেছেন। তিনি গণমাধ্যমে পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, আমি টিএসসিতে গাড়ি নিয়ে দাঁড়াতেই ইমাম হাসান হ্যান্ডমাইকে আমাকে চলে যেতে বলেন। আমি বললাম, ভাই একজন আসবে তাই দাঁড়িয়েছি। তখন ইমামসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করেন।ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সদস্য সচিব আমান উল্লাহ দাবি করেন, সৈকত ও তার অনুসারীরা সূর্যসেন হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান চৌধুরীকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু মাহফুজ তা না মানলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সৈকত ও তার অনুসারীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন মাহফুজকে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
