করোনা মহামারীর কারণে এ বছর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পালিত হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে দিবসটি পালনের জন্য প্রস্তুতি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ পাঁচজন ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ দুই জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। শ্রদ্ধা জানাতে আসা সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো শহীদ মিনার এলাকায় বাঁশের বেরিকেড দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ধোয়া-মোছা ও নতুন করে রং করা হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ে পরিবেশ পরিষদের সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ-বিসিএল, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীসহ অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো অংশ নেয় বলে জানা যায়। সভায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি পর্যায়ক্রমে চলছে। ইতোমধ্যে পরিবেশ পরিষদের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি রাষ্ট্রীয় আচার হিসেবে প্রতিবছর যেভাবে পালিত হয়, এবারও তা-ই হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও প্রতিবারের মতো থাকবে। শুধু করোনা ঝুঁকির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রের ব্যায়ামাগারে যে সমাগম ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকতো, সেটি হবে না। সরাসরি সবাই শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা