প্রায় ৩০টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশনের প্রথম পর্ব। এ সকল শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ে পরিচালিত নির্দিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স করবেন।
প্রাথমিক রাউন্ডে অংশগ্রহণকারীদের অনলাইন লার্নিংয়ের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয় এবং চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ধারাবাহিকতা এবং শেখার কার্যকারিতা মূল্যায়নের লক্ষ্যে একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় এমসিকিউ, সত্য-মিথ্যা এমন ধরনের প্রশ্ন থাকবে। শীর্ষ ২০ বিশ্ববিদ্যালয় সেমি-ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হবে, যেখানে তাদেরকে হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি সহযোগী (এইচসিআইএ) ২ সপ্তাহ আরঅ্যান্ডএস ট্রেনিং প্রদান করবে এবং আগামী ৪ মার্চ এ পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে, বাছাইকৃত শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হবেন। আগামী ১৮ মার্চ ই-ল্যাব প্র্যাকটিস আকারে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যক্ষ করে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়াং গুয়োবিং বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করেছি। এ অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণ এবং সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আকাঙ্ক্ষার একটি দুর্দান্ত প্রতিফলন। প্রযুক্তিখাতে তরুণদের জ্ঞানকে আরও জোরদার করতে প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা ডিজিটালাইজেশন এবং তরুণদের দক্ষতা বিকাশে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন আইসিটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার ব্যাপারে তিন মাস আগে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক