স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আরেকটি শব্দ বললে নেড়ি কুত্তার মতো পিটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার বিকালে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় ‘অদম্য অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাহিত্য বিষয়ক উপ-সম্পাদক এস এম রিয়াদ হোসন, শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা প্রমুখ।
একই সময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সমাবেশে তাদের দিকে ইঙ্গিত করে সনজিত বলেন, ‘আইএস, মোসাদ এবং বৈদেশিক কুটনৈতিকদের টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্রের লেলিহান শিখা দিয়ে গড়া যে কয়েকটি তথাকথিত সংগঠন, যাদের কেউ ছাত্রসংগঠন হিসেবে স্বীকার করে না, সেই তথাকথিত জঙ্গি সংগঠনগুলো কালো পতাকা মিছিল করে। আসলে এই কালো পতাকা তাদের মনের ভেতরে যে স্বাধীনতার অপশক্তি রয়েছে সেটিরই পরিচায়ক। আপনারা কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন সেটি রীতিমতো গবেষণার বিষয়। আপনারা স্বাধীনতার অর্থ বুঝেন না, আপনারা বাংলাদেশের অর্থ বুঝেন না, আপনারা বাংলাদেশের সাথে একটি দেশের যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে সুসম্পর্ক রয়েছে সেটি বুঝেন না। আপনারা হিংসাতে বিশ্বাসী, আপনারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করেন, আপনারা ধর্মের নামে উগ্রবাদে বিশ্বাস করেন।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আরেকটি শব্দ বললে নেড়ি কুত্তার মতো পিটাব।’
সমাবেশে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজ যাদের হাতে কালো পতাকা তাদের হৃদয়ে রয়েছে পাকিস্তানের চাঁনতারা পতাকা।’
তিনি বলেন, ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় অনুষ্ঠান। এতে পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিবর্গ রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়ে আসবেন। তাদের বাধা দেওয়া আসলে পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক নীতির পর্যায়ে পড়ে না।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ